বাংলাদেশের শিক্ষা ক্ষেত্রে অপব্যবহার মাত্রা বেড়েই চলেছে এবং মান ও কমছে তাই কোমলমতি শিশুরা পড়া শুনার প্রতি আগ্রহ হারাচ্ছে। যেখানে উন্নত দেশগুলো শিক্ষা ব্যবস্থা উন্নত, সেখানে আমাদের দেশ অবনতির দিকেই ধাবিত।
শিক্ষা ক্ষেত্রে অপব্যবহার বলতে বোঝায় যখন শিক্ষা ব্যবস্থায় অন্যায় এবং অনুচিত আচার-আচরণ সংগঠিত হয়, বেশিরভাগ স্বার্থ সিদ্ধির জন্যই এটি হয়ে থাকে।
শিক্ষা ক্ষেত্রে অপব্যবহার গুলো সাধারণত হয়ে থাকে উপরের মহলের কিছু ক্ষমতাবান ব্যক্তিদের স্বার্থ লাভের আশায়, কিন্তু তাদের এই অপব্যবহারের জন্য দেশের শিক্ষা ব্যবস্থা চরম ক্ষতির মুখে। শিক্ষা ক্ষেত্রে অপব্যবহারের এমনি কিছু কারণ নিচে উল্লেখ করা হল।
শিক্ষা ক্ষেত্রে অপব্যবহারের কারণ :
এক জন শিক্ষার্থী পড়ার প্রতি আগ্রহ তখনি হবে যখন তারা একটি উন্নত শিক্ষা পরিবেশ পাবে কিন্তু বাংলাদেশের মত দেশে যেন চেষ্টা থাকা সত্ত্বে ও সেই পরিবেশ তৈরি হতে পারছে না।
একজন শিক্ষর্থী পড়ায় তখনি আগ্রহী হবে, যখন সে পড়ায় আনন্দ পাবে কিন্তু বাংলাদেশের শিক্ষা ব্যবস্থা বাধাঁ ধরা নিয়মে সীমাবদ্ধ। উন্নত বিশ্বে কোমল মতি শিশুদের পড়ার প্রতি আগ্রহ তৈরি করার জন্য ভালো এবং আনন্দদায়ক শিক্ষা মূলক পরিবেশ সৃষ্টি করা হয়,
যার মাধ্যমে শিক্ষার্থীরা আনন্দ সহ কারে পড়াশুনার করে জীবন ধারণ এবং পৃথিবীর সম্বন্ধে অনেক কিছু জানতে পাচ্ছে, অনেক কিছু শিখতে পারছে কিন্তু এদেশের শিক্ষা ক্ষেত্রে তা যেন খুবই সীমিত।
বাংলাদেশ শিক্ষা ক্ষেত্রে দুর্নীতি, জালিয়াতির মত অপব্যবহার ও বেড়ে চলেছে, এ বছরই আমাদের দেশের নিয়োগ ক্ষেত্রে দুর্নীতি লক্ষ্য করা যায়। যার পরিপেক্ষিতে ৬৭৮ জন শিক্ষক এবং শিক্ষাকর্মী কে বরখাস্ত করা হয়।
শিক্ষকদের ঘুষ দিয়েও পরীক্ষা পাস এর ব্যাপার টি এখন ও চলে আসছে। অনেক স্কুল, কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয়ের মত প্রতিষ্ঠানে অনেক শিক্ষক জাল সার্টিফিকেট মাধ্যমে শিক্ষা ক্ষেত্রে শিক্ষকতা করছেন। এসব শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে শিক্ষার্থীরা শিক্ষার সঠিক পর্যায় থেকে বঞ্চিত হচ্ছে, তারা এসব শিক্ষাকদের থেকে ভুল গুলোই শিখছে।
শিক্ষা জাতির মেরুদণ্ড, আর এই মেরুদণ্ড এর দায়িত্ব যদি এই ধরনের শিক্ষকদের হাতে পড়ে তাহলে অচিরেই বাংলাদেশের শিক্ষা ব্যবস্থা মান ভালোর চেয়ে খারাপ এর দিকেই চলে যাবে। নষ্ট হবে শিক্ষাগুরুর মান,নষ্ট হবে মেধাবী কোমলমতি শিক্ষার্থীদের মেধা।
একজন মেধাবী শিক্ষার্থী তার মেধাকে কাজে লাগিয়ে দেশের সেবা করতে ততদিন সক্ষম হবে না যতদিন না শিক্ষা ক্ষেত্রে অপব্যবহার থামানো যাচ্ছে।
বাংলাদেশের সর্ব প্রথম বিশ্ববিদ্যালয় হিসেবে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ই উল্লেখযোগ্য হওয়া সত্বেও আন্তর্জাতিক শিক্ষা মানের র্যাংকিং এর দিক দিয়ে প্রায় পেছনের সারিতে রয়েছে এই শতবর্ষনীয় পুরাতন বিশ্ববিদ্যালয়টি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় আন্তর্জাতিক র্যাংকিং ভিত্তিতে ৮০১ এ রয়েছে,
যেখানে এই বিশ্ববিদ্যালয় আরো উপরে দিকে থাকার কথা সেখানে শিক্ষা ক্ষেত্রে অপব্যবহার বেড়ে যাওয়াতে এর অবস্থান বিশ্ব দরবারে আরো পিছনে যাচ্ছে।
যে ছয়টি সূচকের ভিত্তিতে আন্তর্জাতিক ভাবে র্যাংকিং করা হয় তাতে বাংলাদেশের বিশ্ব বিদ্যালয় গুলো প্রায় তলানিতেই পড়ে আছে । আর তার কারণ শিক্ষা ক্ষেত্রে অপব্যবহার আগের থেকে অনেক গুন বেড়ে গিয়েছে।
শিক্ষা ক্ষেত্রে অপব্যবহার দূরীকরনের উপায় এবং প্রতিকার :
১. আমাদের দেশ শিক্ষা ক্ষেত্রে থেকে অবনতি এবং অপব্যবহার দূর করার জন্য রাষ্টপ্রধান শেখ হাসিনা যেসব উদ্যোগ গ্রহণ করেছেন তাতে দেশের জনগন,শিক্ষার্থী, শিক্ষাবিদ সহ রাষ্টের প্রধান ব্যক্তিদের এগিয়ে আসতে হবে।
২. বিশ্ববিদ্যালয় গুলোতে গবেষনা মূলক প্রকল্প গুলো সঠিক সময়ে এবং যথাযথ ভাবে করার ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে।
৩. উন্নত মানের ক্যাম্পাস রিসোর্স, ক্লাব, বিভিন্ন সংস্থা, বিনোদনের আয়োজন করতে হবে তাহলে শিক্ষার্থীরা শিক্ষা পরিবেশ এ স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করবে, এতে শিক্ষা ক্ষেত্রে বেশি সফলতা পাওয়া যাবে এতে অপরাধ মূলক কার্যক্রম অনেক টা হ্রাস পাবে।
৪. অপব্যবহার দূরীকরনে আইনি ব্যবস্থা অনেক বেশি জোরালো করতে হবে, যাতে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান গুলো জালিয়াতি, দূর্নীতির হাত থেকে রেহাই পেতে পারে।
৫. সৃজনশীলতা বাড়াতে হবে এবং সোশ্যাল মিডিয়া গুলো তে শিক্ষা ক্ষেত্রে অপব্যবহার দূর করার জন্য বিভিন্ন পরিকল্পনা এবং সেই অনুযায়ী ব্যবস্থা গঠন করতে হবে।
৬. মেধাবী শিক্ষার্থীদের জন্য শিক্ষা ক্ষেত্রে বিভিন্ন মেধা ভিত্তিক পর্যায় সৃষ্টি করতে হবে, এতে করে মেধাবীরা শিক্ষা কার্যে সুযোগ বেশি পাবে এবং এর কারণে শিক্ষার অপব্যবহার অনেক কমে যাবে।
৭. ভালো ও মেধাবী শিক্ষার্থীদের শিক্ষা ক্ষেত্রে অবস্থান জোরালো করতে হবে তাহলে দূর্বলদের প্রতিহত করা সম্ভব হবে, দূর্বলদের উপরের দিকে উঠার অবস্থান অনেক আংশে হ্রাস পাবে।
৮. একেক শিক্ষার্থীরা একেক বিষয়ের উপরে পারদর্শী হয়ে থাকে তাদের সে সব বিষয়ের উপর মূল্যায়ন করে আত্নকর্মস্থানের সুযোগ তৈরি করে দেওয়ার ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে।
৯. সুশিক্ষা এবং স্বশিক্ষায় শিক্ষিত করতে শিক্ষার্থীদের শিক্ষামূলক বিভিন্ন কর্মসূচীতে অংশগ্রহণ করতে সহায়ক ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে এভাবে ও শিক্ষার অপব্যবহার দূর করা সম্ভব।
১০. শিক্ষক এবং শিক্ষার্থীদের মধ্যে অপরাধ মূলক কার্যক্রম রোধ করার জন্য বিভিন্ন পদক্ষেপ নিতে হবে যাতে শিক্ষা ক্ষেত্রে অপব্যবহারে বাধাঁ দেওয়া সহজ হয়।
এগুলো ছাড়াও আরো অনেক পদ্ধতি রয়েছে যা ব্যবহার করে শিক্ষার অপব্যবহার রোধ করা সম্ভব।
উপরের যে পয়েন্ট গুলো দেখানো হয়েছে তা যদি যথাযথ ভাবে মানা হয় তাহলে শিক্ষার মান উন্নতি করার ক্ষেত্রে সক্ষমতা লাভ করে সহায়ক ভূমিকা পালন করবে।
শিক্ষা ক্ষেত্রে অপব্যবহার যদি প্রতি রোধ করা না যায় তাহলে শিক্ষা ব্যবস্থার কখনি উন্নয়ন সাধন করা সম্ভব হবে না তাই আমাদের শিক্ষা ব্যবস্থার পদক্ষেপ গুলো মেনে চলা উচিত তাহলেই বেঁচে যাবে বাংলাদেশের আগামী দিনের ভবিষ্যত, হ্রাস পাবে শিক্ষা ক্ষেত্রে অপব্যবহার।
আসসালামু আলাইকুম,
আপনার আর্টিকেল পরলাম অনেক তথ্য আছে আপনার আর্টিকেলে।
আমি নিজেও এই ওয়েবসাইটে লেখা লেখি করি। আচ্ছা আপনি এখানে কাজ করছেন আপনি কি আপনার ইনকাম নিতে পারছেন। কারন আমি টাকা ওইড্রো দিয়েছি ৩দিন আগে এখনো পাই নি। আমাকে একটু জানাবেন।
মোবাইল নম্বর : ০১৭৪১৩৬১৬৭০
You must be logged in to post a comment.