মোবাইল ফোনের উপকারীতা এবং ক্ষতিকারকতা

বিসমিল্লাহি রাহমানির রাহিম: প্রথম জেনে মোবাইল ফোনের আবিষ্কার নিয়ে কিছু কথাঃ-আমেরিকার নিউইয়র্ক শহরের স্বনামধন্য ইঞ্জিনিয়ার মার্টিন কুপারকে মোবাইল ফোনের জনক বলা হয়। তিনি ১৯৭৩ সালে প্রথম মোবাইল ফোনটি তৈরি করেছিলেন। তার এই বিখ্যাত আবিষ্কারটি ছাড়া এখন এক মুহূর্ত আমরা কল্পনা করতে পারি না।

মোবাইল ফোনের উপকারীতাঃ এই মোবাইল ফোন আছে বলে পৃথিবীটা অল্প সময়ের মধ্যে বিশ্বগ্রামে পরিণত হয়েছে। একে অন্যের সাথে অল্প সময়ের মধ্যে যোগাযোগ করতে পারছে। মোবাইল ফোন দিয়ে ক্ষতি হচ্ছে এমন না বরং এর সঠিক ব্যবহারের দ্রুত উন্নয়ন সম্ভব হচ্ছে।

বাংলাদেশে এই মোবাইল ফোন অনেক জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে সল্প সময়ের মধ্যে। এই উন্নতির মূলে রয়েছে অদম্য পরিশ্রম ও অনেক আত্মত্যাগ। মোবাইল ব্যবহারের মাধ্যমে পৃথিবী অনেক ছোট হয়ে এসেছে।বাড়ছে জনসংখ্যা কমে আসছে খরচ।

এই উন্নতি বিশ্বে মোবাইল ফোনে প্রয়োজনীয়তা যে কত রয়েছে যার মোবাইল নেই সেই বুঝতে পারবে যে মোবাইল তার কত প্রয়োজন ছিল। বাংলাদেশে যতপ্রকার মেধাবী ছেলে-মেয়েদের উপবৃত্তির ব্যবস্থা করে সেটাও মোবাইল ফোনের মাধ্যমে।

গরিব ও মেধাবী শিক্ষর্থীরা এতে অনেক উপকৃত হচ্ছে।মোবাইলের অনলাইনের মাধ্যমে দেশ বিদেশি অনেক ধরনের উন্নতি সাধিত হচ্ছে যা মানবজাতি হলে শেষ করতে পারবে। বিদেশি যোগাযোগের অন্যতম মাধ্যমও হলো আমাদের এই মোবাইল ফোন।

শুধু বাংলাদেশ না পুরো পৃথিবী এখন মোবাইল ছাড়া অকল্পনীয়। অতীতে এটাকে মুঠোফোন বলা হলে ও এর বর্তমান নাম হলো মোবাইল ফোন।এটার প্রচার দিনদিন বেড়েই চলেছে। যত বেশি এর ব্যবহার বাড়ছে বিশ্ব তদ্রূপ উন্নতি হয়েই চলেছে।

পৃথিবীর উন্নতি যত বেশি বাড়ছে ততবেশি বাড়ছে মোবাইল ফোনের ব্যবহার এটা বাড়ছে এবং বাড়তে থাকবে কারণ এর দ্বারা অনেক উন্নতি সম্ভব হচ্ছে।

পৃথিবীর প্রত্যেকটা দেশে এখন তীব্র গতিতে মোবাইল ফোনের ব্যবহার বেড়েই চলেছে এবং ভবিষ্যতে আরও বাড়বে বলে আশা করা যায়।মোবাইল ফোন শুধু কথা বলাই না এর আরও ব্যবহার লক্ষ্য করা যায়। মোবাইল ফোন শিক্ষা ক্ষেত্রেও ব্যাপক উন্নতি সাধন করে আসছে সেই অনেক আগে থেকেই আরও উন্নতি করবে বলে আশা করা যাচ্ছে।

মোবাইল ফোন চিকিৎসা ক্ষেত্রেও অনেক ভূমিকা পালন করে আসছে।এখন প্রতিযোগিতার এই যুগে মোবাইলের গুরুত্ব রয়েছে অনেক অনেক বেশি। এখন এমন হয়েছে যে, একটা মোবাইল হাতে থাকা মানে পুরো পৃথিবী নিজের হাতের মুঠের মধ্যে থাকা।

যে ব্যক্তি একটা মোবাইল ফোন ভালোভাবে ব্যবহার করবে সে খুব দ্রুত উন্নতি করতে পারবে। এই দ্রুত উন্নতির মুলে মোবাইল ফোনের প্রয়োজনীয়তা যে কতো রয়েছে তা বলটা ও বোকামি। সুতরাং মোবাইল ফোন ভালোভাবে ব্যবহার করতে হবে যাতে দেশ ও দেশের মানুষের উন্নতি হবে।

নিজের দেশের উন্নতি আমরা সবাই চাই কারণ দেশপ্রেম ঈমানের ও একটা অংশ যার মধ্যে দেশপ্রেম নেই তার ঈমান ও নেই। মোবাইল ফোন এখন অনেক ধরনের হয়ে গিয়েছে এর মধ্যে বর্তমানের এই স্মার্ট ফোনের কদর সব থেকে বেশি বলে লক্ষ্য করা যায়।

আমরা যদি দেশ ও দেশের উন্নয়নের কথা চিন্তা করি,তাহলে আমাদের মোবাইল ফোন সঠিক ভাবে ব্যবহার করতে হবে। মোবাইল ফোন যেভাবে ক্ষতি করেঃ-মোবাইল ফোন রেডিও ফ্রিকোয়েন্সি ওয়েভের  মাধ্যমে কাজ করে। তাই এর ভেতর থেকে অদৃশ্য রে আমরা অনেকেই দেখতে পাই না।

এক্সরে আলট্রা ভায়োলেট বা গামা বিকিরণের মাত্রার চেয়ে এর মাত্রা কম হলেও মানব শরীরে এর প্রভাব কতটুকু তা এখনো পরিষ্কারভাবে কিছু জানা যায়নি।

তেজস্ক্রিয়তা হলো ভারী মৌলিক পদার্থের একটি গুণ যেগুলোর নিউক্লিয়াস থেকে স্বতঃস্ফূর্তভাবে অবিরত আলফা, বিটা, গামা রশ্মি বিকরণ হয়।কিন্তু আলফা, বিটা, গামা রশ্মির চেয়ে মোবাইল টাওয়ার ও মোবাইল ফোনের রেডিয়েশন কম হওয়াতেও এই রশ্মি মানবদেহে অনেক ক্ষতি করে।

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, মোবাইল ফোন থেকে যতটা সম্ভব দূরত্ব বজায় রাখাই ভালো। অতিরিক্ত মোবাইল ফোনের ব্যবহার আমাদের চোখের ওপর নেতিবাচক প্রভাব ফেলে। রাতে মোবাইল ফোনের ব্যবহার আমাদের ঘুমের বিঘ্ন ঘটায়।

মোবাইল ফোনের ব্যবহার মানব শরীরে কী প্রভাব ফেলে তা নিয়ে একাধিক গবেষণা হয়েছে। এসব গবেষণার ভিত্তিতে হাফিংটন পোস্টের এক প্রতিবেদনে বলা হয় মোবাইল ফোনের অতিরিক্ত ব্যবহারে ব্যবহারকারীরা শারীরিক ও মানসিক নানা সমস্যায় ভোগেন।

নিজের মোবাইল ফোনটি ঠিক জায়গায় আছে কিনা তা বারবার চেক করার প্রবণতা শতকরা ৯৫ ভাগ লোকের মধ্যে এখন দেখা যায়। এই ধরনের মোবাইল ফোনের হারানোর ভয়কে বিশেষজ্ঞরা নোমোফোবিয়া অসুখ বলে আখ্যায়িত করেছেন।

গবেষণায় দেখা গেছে ঘুমাতে যাওয়ার আগে আমাদের সোশাল মিডিয়া স্ক্রল করা, কাউকে ম্যাসেজ পাঠানো এখন অভ্যাসে পরিণত হয়েছে। বিশেষজ্ঞরা এই সমস্যাকে স্লিপ টেক্সটিং বলে আখ্যায়িত করেছে।

মোবাইলে অনেকক্ষণ ধরে কথা বলার ম্যানিয়া থেকে অনেকেই রাতে ঘুম না হওয়া, কানে কম শুনতে পাওয়ার সমস্যায় ভোগেন। দীর্ঘক্ষণ ধরে মেসেজ বা বার্তা টাইপ করা হলে আঙুলের জয়েন্টগুলোতে ব্যথা হতে পারে এবং অবস্থা বেশি খারাপ হলে আর্থরাইটিসের মতো সমস্যা দেখা দিতে পারে।

এ ছাড়া পিঠে, ঘাড়ে কিংবা কাঁধে ব্যথাও হতে পারে অতিরিক্ত মোবাইল ফোন ব্যবহার করার ফলে। তাই অপ্রয়োজনে মোবাইল ফোন ব্যবহার করা থেকে বিরত থাকার পরামর্শ দিয়েছেন গবেষকরা। ধন্যবাদআল্লাহ হাফেজ।

Enjoyed this article? Stay informed by joining our newsletter!

Comments

You must be logged in to post a comment.

Related Articles
Recent Articles