বিজ্ঞানের উন্নয়নে হারিয়েছি মোর ভোরবেলা।

বিজ্ঞানের অভূতপূর্ব উন্নয়নের সাথে তার চাহিদাকে অন্তহীন, সীমাহীন বলয়ে আবদ্ধ করে ফেলেছে। চাহিদার যেন শেষ নেই। আর সীমাহীন চাহিদার মূল্য দিতে গিয়ে মানুষ আজ বিবেচনা হীন,বিবেকহীন বর্বতার সাথে সামঞ্জস্যপূর্ণ  হয়ে গেছে। বর্বরতা তায় সামান্য মনে হয় মানুষের কাছে। ধীরে, ধীরে মানুষ ভুলের মঞ্চে দাঁড়িয়ে নাটক মঞ্চস্থ করছে।হারিয়ে গেছে শৈশব, কৈশোর, যৌবন শুধু ভর করে আছে শেষবেলা।

কিন্তু এ কেমন ভুল,এ কেমন ভুলে যাওয়া। পাওয়াটাকেই কেন মানুষ প্রাধান্যের উর্বরতা ভাবছে?

আসলে মানুষ যেটা বুঝতে চায়, মানুষ যেটা পেতে চায় তার কাল্পনিক অস্তিত্বগুলো প্রকট। এটাও ঠিক মানুষ যা পেয়েছে তার সার্বিক এবং উপসংহারটা আরও চাওয়ার প্রবনতা তৈরি করছে। কেননা মানুষ আকাশে উড়ছে, সমুদ্রে ভাসছে, মহাকাশে বসবাস করছে।

সবই তো শুধু চাওয়ার আকাঙ্খা বাড়িয়ে দেয়।তবু্ও আমার ভাবনা কেন যেন মনে হয় বিজ্ঞানের উন্নয়নের ব্যাক্ষা বিজ্ঞানীসহ সাধারণ মানুষ ভুল ভাবে পেয়েছে। 

বিজ্ঞান আমাদের উন্নত জীবন দিয়েছে সত্য কিন্তু বাতাশে দিয়েছে বিষ বলয়।বিজ্ঞান তরিৎ জীবন উপহার দিয়েছে সত্য কিন্তু জীনকে করেছে গন্ডিবদ্ব।বিজ্ঞান আমাদের সভ্যতার পরিবর্তন এনেছে কিন্তু জীবন কেড়ে নিচ্ছে অসময়ে।

অসম্ভবকে সম্ভব করেছে বিজ্ঞান কিন্তু মানুষকে বানিয়েছে হিংস্র। যান্ত্রিক জীবন উপহার দিয়েছে বিজ্ঞান আমাদের কিন্তু জীবনকে করেছে সীমিত। তাহলে বিজ্ঞানের কল্যানে যাহাকিছু সুন্দর দেখি আমরা তার মধ্যে লুকায়িত আছে বিষাক্ত কালো জীবন। 

আবার বিজ্ঞানকে ভরনপোষণ করতে আমাদের ব্যায়ের পরিধিও বিস্তর।যন্ত্র তথা কল্যানকর যান্ত্রিক সুবিধাজন দ্রব্যাদি সাধারণ মানুষের ব্যাবহারে এখনও নাগালের বাইরে। চিকিৎসা বলেন, কৃষি বলেন, অবকাঠামো গত উন্নয়ন বলেন বৃহৎ বাজেট ছাড়া বিজ্ঞানের সুফল পাওয়া দুস্কর।তাহলে বিজ্ঞানের এতো,এতো উন্নয়ন মানুষের অনেক ক্ষেত্রেই দুঃসাধ্য। 

আত্মতুষ্টির নির্ভরতা অনেকটাই প্রাপ্তিতে, অপ্রাপ্তি তায় মেনে নিতে মানুষের সমস্যা। কিন্তু জানা ছিলো অপ্রাপ্তির একটা ক্ষমতা থাকে, যা মানুষকে বিজয়ী করতে সাহায্য করে। পৃথিবীতে মানুষের ব্যার্থতার জায়গা নেই বললেই চলে কিন্তু ভুলের কিছু উপসংহার রয়েই গেছে। আর এই উপসংহার আরও বিস্তৃতি করতে বিজ্ঞান মরিয়া।

আজ বিশ্বে করোনা মহামারীর ভয়ংকর থাবা বিজ্ঞানের দ্বারা নিয়ন্ত্রণহীন।বিজ্ঞানের হাতের মুঠোয় পৃথিবী। অথচ করোনার মতো এতো ছোট জীবাণুকে পরাস্ত করতে পারছেনা। মিসাইল, রকেট, গ্রেনেড, এল,এমজি,মেশিনগান, যুূদ্বজাহাজ সবই তৈরি করছে। কিন্তু কাদের জন্য? আমি দেখি সবই মানুষকে মারার জন্য। কিন্তু কেন? 

বিজ্ঞানের উন্নয়নে কেমিক্যাল পেয়েছে  মানুষ, কেমিক্যালের যত্রতত্র ব্যাবহারে আমাদের পেটে আলসার, শরীরে ক্যানসার,যান্ত্রিক রেডিয়েশনে ঘুমহীন রাত,খাদ্যে অনিহা,মানুষের মস্তিষ্ক বিকৃত, বিষক্রিয়া দেহ এর সবই বিজ্ঞানের ফল নির্নয় হিসাবে কাজ করছে। তায় বিজ্ঞান এখন ধ্বংসের দ্বার প্রান্তে দাঁড়িয়ে। বিজ্ঞান মনে হয় তার উপসংহার নিজেই টেনে দিয়েছে। তায় আমি কি চাইতে পারিনা আমার শৈশব, কৈশোর, যৌবন?

কেন চাইবোনা?এজন্যই চাইবো আমি আমার দেহে টক্সিন মুক্ত রাখতে চাই,আমি রাতে ঘুমাতে চাই,আমি ভোরের সূর্য উঠাকে অবলোকন করতে চাই।হেটে, হেটে অনেক পথ অতিক্রম করতে চাই।আত্মতৃপ্তির খিদে কে বিষহীন খাবারে নিবারন করতে চাই।

সজীব নিঃশ্বাসে আমি আমার ফুসফুসকে ভরে রাখতে চাই।তায় বলতে চাই বিজ্ঞানের ভুল ব্যাক্ষায় বলয় থেকে বাঁচতে হলে সবাই আহ্বান করে বলে ওঠো ফিরে পেতে চাই মোর ভোরবেলা, ফিরিয়ে পেতে চাই মোর সুস্থ্য সকাল। 

Enjoyed this article? Stay informed by joining our newsletter!

Comments
Sakhawat Hossain - Jul 5, 2021, 1:33 PM - Add Reply

ফেলে আসা দিন। হারিয়ে ফেলা মেঠো পথ। ফিরে কি পাবো আর?

You must be logged in to post a comment.
Sakhawat Hossain - Jul 5, 2021, 1:37 PM - Add Reply

সুন্দর লেখা

You must be logged in to post a comment.
Sakhawat Hossain - Jul 5, 2021, 1:42 PM - Add Reply

বিজ্ঞান শুধু ধোঁকা দিয়েছে মানুষকে। কেড়ে নিয়েছে সে ধুলো ভরা পথ,ভোরের পাখির আওয়াজ।

You must be logged in to post a comment.

You must be logged in to post a comment.

Related Articles
Recent Articles