অনলাইন ইনকাম ২০২২: অনলাইনে ইনকাম করার ১২ টি সহজ মাধ্যম

অনলাইন ইনকাম ২০২২: অনলাইনে ইনকাম করার ১২ টি সহজ মাধ্যম: আশা করি সবাই ভাল আছেন যারা অনলাইনে ইনকাম করতে চান তাদের জন্য সুখবর। এখন বর্তমানে সারা বিশ্বেই অনলাইনে ইনকাম করে এগিয়ে চলেছে,

তাই আমরা কেন পিছিয়ে থাকব আমরা অনলাইনে ইনকাম করতে চাই, তাহলে আর দেরি নয়। আজ আমি আপনাদের মাঝে অনলাইনে ইনকাম করার ১২ টি সহজ মাধ্যম গুলো নিয়ে আলোচনা করব তাই আপনারা মনোযোগ সহকারে পড়ুন।

অনলাইনে ইনকাম করার ১২ টি সহজ উপায়

অনলাইনে ইনকাম ২০২১ আপনি নিশ্চয়ই অনলাইনে ইনকাম করার জন্য আগ্রহী তাহলে আর দেরি নয়। সবাই চাই ঘরে বসে অনলাইন থেকে টাকা ইনকাম করতে।

অনেকে সঠিক গাইডলাইন এর কারনে অনলাইন ইনকাম করতে পারে না। আবার কারও ধৈর্য থাকে না। অনলাইন থেকে ইনকাম করতে হলে আপনার প্রয়োজন সঠিক গাইডলাইন এবং প্রচুর ধৈর্য্য ও শ্রম। তাহলে  অনলাইন থেকে ইনকাম আসবে।

অনেক আছে বাংলাদেশি  সাইটে থেকে কাজ করে পেমেন্ট ও পাচ্ছেন না। আজকে আপনাদের কে ১২ টি উপায় বলবো সঠিক  ভাবে আপনি টাকা পাবেন ১০০% তবে অনলাইন থেকে টাকা ইনকাম করার জন্য কোন শটকার্ট অবলম্বন করলে আপনি টাকা আয় করতে পারবেন না। একটু কষ্ট করলে সঠিকভাবে টাকা ইনকাম করা সম্ভব।

কিভাবে আপনি ঘরে বসে আয় করবেন?

হয়তো আপনি একজন ছাত্র, গৃহিনী,বা চাকরিজীবী অথবা অনলাইন ব্যবসায়ী যাই হয়ে থাকেন না কেন আপনার টাকা ইনকাম প্রতি আগ্রহ আছে, অনলাইনে ইনকাম করতে চান।

কে না চাই ঘরে বসে বসে টাকা ইনকাম করতে। আপনার লেখা-পড়া বা কাজের ফাঁকে কিংবা চাকরির পাশাপাশি কিছু সময়ে ব্যয় করে আপনি প্রতি মাসে ভালো একটা অনলাইনে ইনকাম করা যায়।

আপনি যদি চাকরি করেন বা চাকরি করে ও অন্য ভাবে যদি আরেকটা থেকে অর্থ আয় আসে তাহলে মন্দ কি।

আবার সেটা যদি হয় ঘরে বসে তাহলে তো কোন কথায় নেই বর্তমানে অনেকেই ঘরে বসে অনলাইনে ইনকাম করে আসছে।মূল প্রফেশন ঠিক রেখেও সামান্য কিছু সময় ব্যয় করে অনলাইন হতে বাড়তি কিছু টাকা ইনকাম করে নিতে পারেন।

একটু ভেবে দেখুন তো অন্য মানুষের মতো যদি আপনি ফেইসবুক, ইনস্টাগ্রামে, ইউটিউব এইসব পিছনে আপনার মূলবান সময়টা নষ্ট হচ্ছে। এই সময় টা যদি  আপনি অন্য ক্ষেত্রে ব্যায় করলে আপনি একটা ভালো এমাউন্ট অনলাইনে ইনকাম করতে পারবেন।

সময়ের মূল্য অপরিসীম যারা সময়কে কাজে লাগাতে পেরেছে তারা এই পৃথিবীতে সফল হয়েছে যারা সময় কে কাজে লাগাতে পারে নাই তারা অনেক পিছনে রয়েছে (এর জন্য সময়ের মূল্য অনেক বেশি)।

আজকে থেকে সময় অপচয় করা বন্ধ করুন সময়কে  কাজে লাগান । অনলাইনে ইনকাম ২০২১ এটা একদিন আপনাকে অনেক উপরে নিয়ে যাবে আপনার কর্মের ক্ষেত্রে।

আমাদের আশেপাশে অনেক  মানুষ আছে একইভাবে বিভিন্ন সামজিক যোগাযোগের সাইটে চ্যাট করে ফানি ভিডিও দেখে  প্রতিদিন ঘন্টার পর ঘন্টা সময় পার করে দিচ্ছে।

একজন মানুষ যদি প্রতিদিন গড়ে প্রতিদিন ২-৩ ঘন্টা শুধু সোশ্যাল মিডিয়ায় ব্যয় করে। তাহলে প্রতি সপ্তাহে ১৬-১৮ ঘন্টা এটা যদি মাসে হয় তাহলে ৬০-৭০ ঘন্টা আমরা সোশ্যাল মিডিয়ায় অপচয় করি এটা যদি বছরের হিসাব করলে কত ঘন্টা হয় একটু ভেবে দেখুন।

একবার হলেও নিজেকে প্রশ্ন করুন অথবা আপনার ভালো কোন বন্ধু সাথে পরামর্শ করে দেখুন তো এটা আসলে কি ভালো না খারাপ দিক।

আমরা যদি এই সময়কে কাজে লাগাতে পারি তাহলে কতই না ভালো হয়, আমরা এখন বুঝবো না বুঝবো পড়ে। আমরা আমাদের এই মূল্যবান সময়টাকে প্রতিমাসে আমরা ৬০-৭০ ঘন্টা যদি অনলাইনে ইনকাম করার দিকে যদি সময় দেই, তাহলে ভালো একটা ইনকাম খুব সহজে করতে পারবো।

আপনাদের মনে রাখতে হবে অনলাইন মানে সোশ্যাল মিডিয়ায়,ইউটিউব এবং অনলাইনে গেইম খেলা নয়। অনলাইন থেকে আয় করে নিজের মতন করে প্রয়োজন মিটাতে পারেন।

আপনার ইচ্ছে শক্তি এবং ধৈর্য অনলাইন থেকে ইনকাম করতে পারেন।অনলাইনে আয় ২০২১ আপনি ঘরে বসে মোবাইল দিয়ে এবং কম্পিউটার  দিয়ে উভয় ভাবে অনলাইনে আয় করতে পারবে।

সেই ক্ষেত্রে আপনার ভালো স্পিডের ইন্টারনেট বা ওয়াইফাই এর প্রয়োজন, যেহেতু কাজগুলো অনলাইনে।

আজকে আপনাদের মাঝে শেয়ার করবো মোবাইল এবং কম্পিউটার দিয়ে কি করে অনলাইন থেকে ইনকাম ২০২১ করবে।এই বিষয় গুলো আমি শুরুতে ক্লিয়ার করে নিচ্ছি,কারণ অধিকাংশ লোকের কাছে কম্পিউটার বা ল্যাপটপ না থাকার কারনে অনলাইনে কাজ করতে পারে না এবং কাজ করতে চায় না।

এই মন মানষিকতা পরিবর্তন করতে এ-সব শেয়ার করা অনেকে মনে করে থাকেন কম্পিউটার ছাড়া মোবাইল দিয়ে অনলাইন হতে আয় করার সম্ভব নয়।

হয়ত অনেকে  জানেন না যে কম্পিউটার ছাড়াও মোবাইল দিয়ে বিভিন্ন উপায়ে ঘরে বসে অনলাইনে অতি সহজে আয় করা যায়।এখন মনের ভিতর প্রশ্ন আসে, সত্যি কি মোবাইল দিয়ে অনলাইনে টাকা ইনকাম করা যায়।তাহলে দেখা যাক আপনার প্রশ্নের উওর।

অনলাইন আয় করে টাকা কি ভাবে পাবো?

সবার মনে একটাই প্রশ্ন থাকে অনলাইনে আয় করার পর সেই টাকা কিভাবে হাতে পাব বা কিভাবে আসবে।অনলাইনে আয়ের টাকা কিভাবে হাতে পাবেন সেই বিষয় নিয়ে আপনাকে চিন্তত না করে বেশি বেশি পরিশ্রম আর ধৈর্য  ধারণ করুন।

টাকা পাবেন টাকা আপনাকে দিবে গুগুল নিজেই বিশ্বাস হচ্ছে না হ্যাঁ সত্যিই গুগল আপনাকে টাকা দিবে। কখনো আপনার পরিশ্রমের টাকা গুগোল মেরে খাবে না এটা হানড্রেড পারসেন্ট সত্য।

বন্ধুবান্ধব আত্মীয়স্বজন সবাই বেইমানি করবে বা করে কিন্তু গুগোল বেইমানি করে না।

অনলাইনের যে কোন প্লাটফর্ম হতে আপনি টাকা ইনকাম করুন না কেন সেই টাকা আপনার হাতে পৌছতে কোন ধরনের সমস্যা হবে না। আপনাদের মাঝে সে সব বিশ্বস্ত প্রতিষ্ঠানের সাথে কাজ করবেন।

টাকা কি বিকাশ পাবেন  এমন কোন কথা নাই টাকা আপনি ব্যাংকের  মাধ্যমে ও পাবেন।এখন প্রশ্ন, আসতে পারে আমার তো কোন ব্যাংক একাউন্ট নেই।

আপনার পরিবারের যে কারও ব্যাংক একাউন্ট দিয়ে ও সম্ভব অথবা না হয় নিজে একটা ব্যাংক একাউন্ট খুলবেন বা করে নিবেন।

ব্যাংক একাউন্ট করা কোন বড় কাজ না প্রথমে আপনাকে ধৈর্য আর পরিশ্রম করে টাকা উপার্জন করুন পরে সে টাকা ব্যাংকে কি করে আনতে হয় বলবো। আর তখন আপনি নিজেই সব পারবেন।

অনলাইনে  ইনকামের মানি সাইট 2022

বর্তমানে আমরা মানি সাইট বলতে কি বুঝি আসলে আমরা যেখানে কাজ করবো সব গুলোই তো মানি সাইট মানে টাকার সাইট তাই এগুলো কে মানি সাইট নাম দিলাম।

সবচেয়ে বড় কথা হলো রাতারাতি সাকসেসফুলি হওয়ার যায় না সাকসেস হতে গেলে প্রচুর সময় আর প্রচুর ধৈর্য ও পরিশ্রম প্রয়োজন।

একটু ভেবে দেখুন ১৫-২০ বছর পড়াশোনা করতে কত সময় কতই না ধৈর্য ধারণ করিছি আমরা পড়াশোনা শেষ করে বাংলাদেশ একজন মাস্টার্স ডিগ্রী পাশ করা একজন বেতন দেওয়া ১৩-১৫ হাজার টাকার মধ্যে সচারাচর তাহলে আমরা কেন অনলাইন কিছু সময় দিতে পারবো না।

একটু ভেবে দেখুন, আশাকরি আপনি ধৈর্য্যধারণ করে কাজ করলে আপনিও মাসে  অনলাইনে টাকা আয় করতে সক্ষম হবেন১০০% অনলাইনে কাজ শুরুর দিকে আপনার কাছে খুব আকষ্মিক হবে একটু বিরক্তি  মনে হবে কিন্তু সেটা কে  বিরক্তিকর মনে করা যাবে না।

কিছু সময়ের পর আপনার কাছে সহজ হয়ে উঠবে।

আজকে  আমি অনলাইন হতে আয় করা১২ টি সহজ কিছু মাধ্যম দেখাবো আর যেখান থেকে আপনিও  অনলাইনে আয় করতে পারবেন।

১। ব্লগিং (Blogging)

সবচেয়ে জনপ্রিয় মাধ্যম সবচেয়ে ভালো দিক হলো ব্লগিং। এটা একদম ঠিক কথা যে Blogging থেকে অর্থ উপার্জন করা যায়।

এই মুহূর্তে বাংলাদেশ সহ সারা পৃথবীতেই অনেক মানুষ ব্লগিং থেকে অর্থ উপার্জন করছেন। মোবাইলে  দিয়ে সবচেয়ে সহজেই ব্লগিং করতে পারবেন। এখন প্রশ্ন আসতে পারে এটা কি এটা কি ভাবে শুরু করবো বা কাজ করব।

আসলে ব্লগিং কি?

ব্লগিং আসলে হল অনেক টা ডিজিটাল নিউজ পেপার এর মত যেমন অনলাইনে এরকম অনেক সাইট আছে, যেমন আপনাদের অতি পরিচিত একটা সাইট প্রথম আলো এনটিভি নিউজ ইত্যাদি নানান সাইট আছে ঠিক এইরকমই একটা সাইট। আপনি যে আমার এই পোস্টটি পড়তেছেন এটাও একটি ব্লগ সাইট।

সাধারণ কথায় বলতে গেলে লেখালেখি করার নাম-ই ব্লগ।

আপনি চাই লে আপনার দক্ষতা অনুযায়ী লেখালেখি করতে পারেন আপনার নিজের মতন করে।  আপনার যদি  ভ্রমন নিয়ে আইডিয়া থাকে তাহলে এটা দিয়ে ও লেখা লেখি শুরু করে দিতে পারবেন।

আপনি যে বিষয় দক্ষ সেটা নিয়ে কাজ করলে সবচেয়ে ভালো হবে। না হলে কিছু দিন পর সে বিষয় এর প্রতি ইন্টারেস্ট চলে যাবে। সেই জন্য বলছি যে বিষয়ে ভালো জানবেন সে বিষয় নিয়ে লেখালেখি করবেন।

মনে করুন আপনি মানুষের জীবনি, ভ্রমন, রান্না, খেলা ধুলা, বিনোনমূলক, নিয়ে লেখা লেখি করবেন। এখান থেকেই একটা নিয়ে কাজ করতে হবে এটাকে ইংলিশে niche বলে।

যেহেতু মানুষ প্রতিনিয়ত ইন্টারনেটে এর সাথে জড়িয়ে আছে। এই মুহূর্তে ব্লগিং সত্যিই খুবই উপযোগী। দিনদিন খবরের কাগজের প্রতি মানুষের পড়ার আগ্রহটা চলে যাচ্ছে অনলাইন নিউজ পোর্টাল দিকে ঝুঁকতেছে।

বিভিন্ন নিউজ  সাইটে গিয়ে সেই বিষয় সম্পর্কে নানা রকম খবর নিতে পারি। এবার আসা যাক কোথায় করবেন ব্লগিং কোথায় লেখা লেখি করবেন।

ব্লগিং করতে গেলে আপনাকে ফ্রীতে এবং টাকা খরচ করে উভয় ভাবে ব্লগিং শুরু করতে পারেন এই বিষয়টা আপনার মতামত আপনি কোনটি করবেন। কোন টা সবচেয়ে ভালো হয় ফ্রি নাকি টাকা খরচ করে তাহলে আমি বলবো টাকা খরচ করে। কেন টাকা খরচ করে ব্লগিং করবো তাহলে একটা উদাহরণ শুনুন। বলছি..

রহিম সাহেব একটা বাড়ি তৈরি করবেন, সে কি করবে একটা জমি কিনবেন তারপর সে জমির ওপর বাড়ি করবে। একটু ভেবে দেখুন তো করিম সাহেব যদি বাড়ি করার সময় যদি জমি ক্রয় না করে অন্যর জমিতে বাড়ি করলে সে টা কেমন হবে বিষয়টা ভালোভাবে বুঝুন।

পরের  জমি পরের হয়। এখন আসি বাস্তব উদাহরণ আপনি যখন কষ্ট করে লেখালেখি করবেন তাহলে এটা অন্যর সাইটে কেন করবেন নিজের নামে তৈরি করা ওয়েব সাইটে করলে কেমন হয় একবার ভাবুন তো। নিজের ওয়েবসাইট লোকের কাছে ও পরিচিত হলো।

মানুষ ফ্রি সাইটের ভিজিট কম করে থাকে। আচ্ছা ভেবে দেখুন তো একটা ব্যবসা করবেন ব্যবসায় তো কিছু ইনভেস্ট করতে হবে। সমান্য কিছু ইনভেস্ট করে ব্লগিং শুরু করতে পারেন আর হ্যাঁ যারা কোন ইনভেস্ট করবেন না তারা ফ্রিতে ব্লগিং শুরু করতে পারেন।

খরচ কেমন হতে পারে ব্লগ সাইট তৈরি করতে গেলে?

একটা ডট কম ডোমেইন একটা ১জিবির মতো হোস্টিং। ১টা ফ্রি থিম এই গুলো দিয়ে ব্লগিং শুরা করা যায় অনলাইনে।

ডোমেইন কি?

ডোমেইন হলো একটা নাম বা পরিচয়। মনে করুন আপনার একটা দোকান আছে সে দোকানের তো একটা নাম প্রয়োজন। যদি দোকানে নাম না থাকে মানুষ চিনবে কি করে আপনার দোকানটা।

ঠিক তেমনি অনলাইনেও কোন ওয়েবসাইট করতে গেলে একটা নাম প্রয়োজন না হলে লোকে চিনবে কি করে এটাকে বলা হয় ডোমেইন।

হোস্টিং কি?

আপনি তো দোকানে নাম দিলেন সে দোকান টা কত বড় হবে কি রকম জিনিস পত্র থাকবে দোকানের জায়গা  কত বড় হবে।দোকানে জিনিস পত্র রাখার জায়গাকে আমরা হোস্টিং ধরতে পারি।

ঠিক তেমনি আপনার ওয়েবসাইটের নাম তো হলো এই ওয়েবসাইট টা কোথায় রাখবো সেটার জন্য আপনার প্রয়োজন হোস্টিং।

কত টাকা খরচ হতে পারে?

নতুন অবস্থায় বেশি খরচ না করলেও কম খরচে মধ্যে  একটা ভালো নামে ডোমেইন এর জন্য আপনাকে ১০০০-১২০০ টাকার মধ্যে ডোমেইন নাম নিবেন।

হোস্টিং এর জন্য আপনার বাজেট ভালো থাকলে ভালো দেখে ৪-৫ হাজার টাকার দামে হোস্টিং নিবেন। বাজেট কম থাকলে ২০০০-৩০০০ টাকার দামে একটা হোস্টিং নিবেন। একদম লো বাজেট ১ জিবি একটা হোস্টিং নিবেন তার জন্য খরচ হতে পারে ১২০০-১৫০০ টাকা।

একদম চাই লে লো বাজেটে ৩০০০ টাকার মধ্যে একটা ছোট খাটো সেট-আপ করতে পারেন কম খরচে। এই খরচ শুধু মাত্র প্রতিবছর এর জন্য। তবে এটা নতুন অবস্থায় পরবর্তী তে আপনাকে এর চেয়ে ও ভালো হোস্টিং নিতে হবে।

মনে রাখবেন ভালো ডোমেইন -হোস্টিং ক্রয় করার সময় ভালো ডোমেইন হোস্টিং কোম্পানি থেকে নিবেন এবং সেই দিকে একটু লক্ষ্য রাখবেন।

ফ্রীতে ব্লগিং?

গুগল ব্লগারে অথবা ওয়ার্ডপ্রেসে বিনা মূল্যে একটি ব্লগ তৈরী করে নিতে পারেন। এগুলো আপনাকে একটা করে সাব- ডোমেন এর মাধ্যমে ফ্রী ব্লগ করতে দিবে। সাব- ডোমেইন কি? সাব-ডোমেইন হলো মেইন ডোমেইন এর আগে নতুন একটা নাম নেওয়াকে বুঝায় ,

যেমন আমার ডোমেইন নাম হলো goodbangla.com যদি একটা সাবডোমেইন নিয় আমি তা হবে blog.goodbangla.com. আমরা অনেক সময় ওয়েব সাইট ভিজিট করা সময় দেখি blog.domain.com এ-রকম অনেক গুলো সাব ডোমেন দেখতে পাই। 

গুগল ব্লগার সম্পূর্ণ ফ্রিতে একটি ব্লগ তৈরি করার সুযোগ দিচ্ছে তা হলো সাব ডোমেইন আকারে। yourdomain name.blogspot.com এই রকম একটা সাব ডোমেন দিবে blogspot।

ব্লগার দিয়ে ব্লগ তৈরি করা খুব সহজ হওয়ায় আপনি চাইলে মোবাইল দিয়ে মাত্র ১০-১৫ মিনিটে মধ্যে  একটি ব্লগ তৈরি করে নিতে পারেন।

শুধু গুগল না আপনি চাইলে ও অন্য কোন থার্ড পার্টি ওয়েবসাইট ব্যবহার করেও ওয়েবসাইট তৈরি করতে পারেন সবচেয়ে ভালো হয় ব্লগার দিয়ে করা।

শুধু  ব্লগ তৈরী করে থেমে থাকলে হবে না নিয়মিত কন্টেন্ট পাবলিশ করতে হবে ভালো মানের কনটেন্ট লিখতে হবে আপনাকে যেহেতু আপনার সাইটে অনেকেই দেখবে এমনকি সারা বিশ্বে আপনার সাইটটি দেখে থাকবে সেজন্য আপনাকে ভাল মানের কনটেন্ট লিখতে হবে।

প্রতিদিন নতুন  নতুন আর্টিকেল লিখবেন। আপনার বিষয়টি যদি ইউনিক এবং জ্ঞানগর্ভপূর্ণ হয় তাহলে ভিজিটর অবশ্যই আপনার ব্লগে আসবে।নতুন অবস্থায় আপনি  প্রতি সপ্তাহে ৩-৪ টি কন্টেন্ট লেখতে পারেন।

আপনার ব্লগে যখন ভিজিটর নিয়মিত আসবে তখন প্রতি সপ্তাহে ২টি কন্টেন্ট লেখলে ও হবে বেশি লিখলে ভাল হয় সে বিষয়টা আপনার। নতুন ব্লগে প্রথম দিকে ভিজিটর কম আসবে আপনার ব্লগ পরিচিত হলে প্রচুর ভিজিটর পাবেন।

কিছু কথা: ফ্রি ব্লগিং করবেন নাকি টাকা খরচ করে করবেন। আমি বলবো টাকা খরচ করে ব্লগিং করলে এটাতে আপনার ব্যান্ডিং ভালো হবে আর ফ্রি ব্লগিং চাই তে নিজের নামের ব্লগ কে গুগল পাইরেসি বেশি দেয়। হয়তো আপনার থেকে প্রতিদিন ১০-১৫ টাকা খরচ হবে ডোমেইন এবং হোস্টিং এর জন্য। টাকা খরচ করে নিজের নামে সুন্দর করে ওয়েবসাইট তৈরি করে নিবেন।

ডিভাইসঃ মোবাইল এবং কম্পিউটার দিয়ে উভয় ভাবে করা যায়?

২। ইউটিউব (YouTube)

এতোদিন ইউটিউব ব্যবহার করেছেন বিনোদন বা অন্য কারনে আপনি চাইলে ইউটিউব থেকে ভালো ইনকাম করতে পারেন। এই বিষয়টা হয়তোবা শুনেছেন কিন্তু কেমনে করে তা জানতেন না। ইউটিউব থেকে কি মোবাইল দিয়ে ইনকাম করা যায় অবশ্যই পারবেন।

কি বিষয়ে আপনি কাজ করবেন সেটা আগে সিলেট করতে হবে আপনাকে মনে করুন আপনি ভ্রমন নিয়ে ইউটিউব এ যাত্রা শুরু করতে পারেন।

কি করে ভ্রমন করতে হয় এসব নিয়ে ইউটিউব ভিডিও আপলোড করতে পারেন।মনে রাখতে হবে আপনার কনটেন্ট ভালো হতে হবে তাহলে মানুষ পছন্দ করবে।

বর্তমান সময়ে অনেক ভিডিও এডিটিং সফটওয়্যার পাবেন এগুলো দিয়ে ভিডিও এডিটিং করে আপলোড করতে পারেন তবে কারও কনটেন্ট কপি করে আপলোড করবেন না তাহলে কপিরাইট স্টাইক চলে আসবে।

কপিরাইট স্ট্রাইক এরকম তিনবার আসলে আপনার সাইট বাতিল করে দেবে ইউটিউব। তাই নিজের জ্ঞান দিয়ে বা প্রতিভা দিয়ে কাজ করতে হবে।

ইউটিউব থেকে আয়:প্রতিদিন সারা বিশ্বে ৪০০ কোটির বেশি মানুষ ইউটিউব ভিডিও মানুষ দেখে থাকে। পরিসংখ্যান বলছে, একজন দর্শকের ইউটিউব দেখার গড় সময়কাল ৪০ মিনিট করে। অর্থাৎ ইউটিউবের মাধ্যমে এক বিপুল সংখ্যক মানুষের কাছে পৌঁছে যাওয়ার সুযোগ তৈরি হয়েছে সারা বিশ্বে,

আর তাই বিজ্ঞাপনদাতাদের কাছে ইউটিউব আজ এক অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ও কার্যকরী মাধ্যম হয়ে দাঁড়িয়েছে। এবং এর ফলে ঘরে বসেই অনলাইনে ইউটিউব থেকে আয়ের সুযোগ তৈরি হচ্ছে আজকাল।

ঘরে থাকা মহিলাদের জন্যও আয়ের একটি সহজ মাধ্যম হল ইউটিউব চ্যানেল। অনলাইন ইনকাম অনলাইন ইনকাম

ইউটিউব থেকে আয় করতে চান? জেনে নিন কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ ধাপ

ইউটিউব চ্যানেল থেকে আয় কী?

ইউটিউব থেকে আয়ের প্রধান উৎস হল বিজ্ঞাপন। এর অর্থ আপনি আপনার ইউটিউব চ্যানেলটিকে বিজ্ঞাপন দাতাদের ব্যবহার করতে দেবেন,এবং পরিবর্তে আপনি তাদের থেকে টাকা বা প্রেমেন্ট পাবেন।

অর্থাৎ আপনার ইউটিউব ভিডিওর শুরুতে বা মাঝে বিজ্ঞাপনদাতারা তাঁদের বিজ্ঞাপন দেখাবেন, যেমন আমরা কোন কিছু ইউটিউবে দেখতে গেলে 5 মিনিট যাওয়ার পরে যে বিজ্ঞাপন হয়, তখনি আপনি ইউটিউব থেকে রোজগার করবেন।

এছাড়া, চ্যানেল মেম্বারশিপ, সুপার চ্যাট, পণ্য বিক্রি, ইউটিউব প্রিমিয়াম ইত্যাদি বিভিন্নভাবেই ইউটিউব থেকে টাকা রোজগার করা সম্ভব হবে আপনার।

ইউটিউব থেকে আয়ের উপায় হল

ইউটিউব থেকে আয় করতে হলে আপনাকে প্রথমেই নিয়ম মোতাবেক একটি ইউটিউব চ্যানেল খুলতে হবে। আপনি আপনার জি-মেল অ্যাকাউন্টের সাহায্যে সম্পূর্ণ বিনামূল্যেই নিজেই নিজের ইউটিউব চ্যানেল খুলতে পারবেন।

তবে আপনার ইউটিউব চ্যানেল খুললে এবং লোকে সেই ভিডিও দেখলেই সেখান থেকে আয় হবে না আপনার। আপনাকে যেগুলো কাজ করতে হবে।

সেগুলো হলো, ইউটিউব থেকে আয় করার জন্য আপনাকে ইউটিউব পার্টনার প্রোগ্রাম-এ আপনার চ্যানেলকে নথিভুক্ত করতে হবে আপনার ইউটিউব চ্যানেল।

আপনার চ্যানেল-কে ইউটিউব পার্টনার প্রোগ্রামে নথিভুক্ত করার পরই ইউটিউব বিভিন্ন বিজ্ঞাপনদাতাদের ভিডিও সেখানে দেবে ও আপনি সেখান থেকে টাকা ইনকাম করতে পাবেন।

ইউটিউব পার্টনাশিপ প্রোগ্রামে অংশগ্রহণ করার জন্যও আপনাকে কয়েকটি প্রাথমিক শর্ত পূরণ করতে হবে।এবং সেই শর্তগুলি পূরণ হলে শুধুমাত্র তখনই আপনি এই প্রোগ্রামে অংশগ্রহণের জন্য আবেদন করতে পারবেন গুগল এডসেন্স এ।

গুগল এডসেন্স এ আবেদন করতে গেলে আপনাকে যে শর্তগুলো পূরণ করতে হবে তা নিচে আলোচনা করা হলো:

আপনার চ্যানেলে অন্ততপক্ষে ১০০০ জন সাবস্ক্রাইবার থাকতে হবে।

১ম দিন থেকে শেষ ১২ মাসে মধ্য আপনার চ্যানেলের ৪,০০০ ঘন্টা পাবলিক ওয়াচ আওয়ার টাইম থাকতে হবে।

১০০০ সাবস্ক্রাইব হওয়ার পর এবং ৪০০০ ঘন্টা ওয়াচ টাইম হওয়ার পর আপনার ইউটিউব চ্যানেলের সঙ্গে একটি গুগল্ অ্যাডসেন্স অ্যাকাউন্ট সংযুক্ত থাকতে হবে।

আপনি চাইলে আপনার চ্যানেলর সেটিং থেকে নোটিফিকেশন অন করে রাখতে পারেন। সেক্ষেত্রে এই শর্তগুলি পূরণ হলে ইউটিউব থেকে আপনাকে নোটিফাই করা হবে আপনার চ্যানেলটিকে।

এই শর্তগুলি একবার পূরণ হয়ে গেলেই আপনি ইউটিউব পার্টনারশিপ প্রোগ্রামে অংশগ্রহণের জন্য আবেদন জানাতে পারবেন গুগল এডসেন্স এর জন্য।

ইউটিউব পার্টনারশিপ প্রোগ্রামে আবেদন করবার প্রক্রিয়া জানতে গুগলের এই নির্দেশাবলী ভালোভাবে পড়ুন

ইউটিউব কত ভিউতে কত টাকা দেয়:

আপনার ভিডিওর জন্য ইউটিউব থেকে আপনি কতটাকা পাবেন তা বিভিন্ন বিষয়ের উপর নির্ভর করবে আপনার ভিডিওর উপর, যেমন ভিডিওর বিষয়, দর্শকের ধরন, দর্শকের ভৌগলিক অবস্থান, দর্শকদের বয়স, ইত্যাদি।

ইউটিউব সিপিএম অথবা কস্ট পার মাইলস/থাউস্যান্ডের হার এবং সিপিসি বা কস্ট পার ক্লিক-এর ভিত্তিতে টাকা দেয় ইউটিউব। একজন ইউটিউবারের সিপিএম রেটও সময়ের সঙ্গে সঙ্গে ওঠানামা করে থাকে।

সাধারণত প্রযুক্তি ভিত্তিক চ্যানেলগুলির সিপিএম এর রেট সব থেকে বেশি থাকে। ভারতীয় ট্রাফিক অর্থাৎ আপনার দর্শকরা যদি মূলত ভারতীয় হন সেক্ষেত্রে প্রযুক্তি ভিত্তিক চ্যানেল-এ আপনরা সিপিএম ৫ ডলার অবধি হতে পারে।

অন্যদিকে শিক্ষাভিত্তিক চ্যানেলগুলির সিপিএম সাধারণত কমের দিকে হয়ে থাকে, কারণ তাদের দর্শকদের বয়স মূলত ১৮ বছরের নীচে থাকে, এই বয়সের দর্শকদের প্রতি বেশিরভাগ বিজ্ঞাপনদাতাদের আগ্রহ কম থাকে।

একটি শিক্ষাভিত্তিক ব্লগ জানাচ্ছে তাদের সিপিএম (CPM) রেট ০.৫০ ডলার থেকে ২ ডলারে মধ্যে ওঠানামা করে থাকে। বিনোদন ভিত্তিক চ্যানেলের ক্ষেত্রে এই সংখ্যাটা ১ থেকে ৩ ডলার পর্যন্ত।

অন্যদিকে কস্ট পার ক্লিক হল দর্শক নির্দিষ্ট বিজ্ঞাপনের লিংক-এ লিংকে ক্লিক করলে তার পরিবর্তে টাকা পাওয়া। এটির মূল্য অনেকাংশেই নির্ভর করে বিজ্ঞাপনদাতার প্রোফাইলের ওপর লক্ষ্য করে।

বিশেষজ্ঞদের মতে, একবার আপনার চ্যানেলের সাবস্ক্রাইবার সংখ্যা ১০ লক্ষ ছুঁলে তবেই আপনি ইউটিউব থেকে পর্যাপ্ত পরিমাণ প্রেমেন্ট/টাকা পয়সা আয় করতে পারবেন।

ইউটিউব কিভাবে টাকা দেয়

ইউটিউব গুগল্ অ্যাডসেন্স-এর মাধ্যমে টাকা দেয়। প্রতি মাসের ১০ থেকে ১৪ তারিখের মধ্যে ইউটিউব আপনার অ্যাডসেন্স অ্যাকাউন্টে টাকা পাঠাবে গুগল।

আপনার অ্যাডসেন্স অ্যাকাউন্টে ১০ ডলার জমা হলে গুগল্ আপনার ঠিকানায় ডাক মারফৎ একটি কোড পাঠাবে আপনার ঠিকানায়। আপনাকে আপনার অ্যাকাউন্টে সেই কোডটি ভেরিফাই করাতে হবে আপনাকে।

এরপর আপনার অ্যাকাউন্টে ১০০ ডলার জমা হলে গুগল্ আপনার ব্যাঙ্ক / মাস্টার কার্ড অ্যাকাউন্টে আপনার আয় করা টাকা পাঠিয়ে দেবে আপনার কার্ডে।

ইউটিউব থেকে আয়ের টিপস্

একথা পরিষ্কার ইউটিউব ব্যবসায় সাফল্যের মূলমন্ত্র দর্শক সংখ্যা বৃদ্ধি করছে। এমনকি ইউটিউব থেকে আয় শুরু করার জন্যও আপনার ১০০০ জন নিয়মিত দর্শক প্রয়োজন হবে।

এছাড়াও দর্শকের প্রোফাইলের ওপরও নির্ভর করে আয় আসবে আপনার। একজন সফল ইউটিউবার হতে হলে কয়েকটি জিনিস আপনার মাথায় রাখা প্রয়োজন, তা নিচে দেয়া হল:

সঠিক ক্ষেত্র টি বেছে নিন

ইউটিউব থেকে আয়ের প্রাথমিক শর্ত হল সর্বপ্রথম সঠিক ক্ষেত্রটিকে বেছে নেওয়া। নিজের আগ্রহ, পারদর্শিতার ওপর যেমন তা নির্ভর করবে, তেমনই নির্ভর করবে কোন ধরনের দর্শকের কাছে আপনি পৌঁছতে চান তার ওপরও। প্রযুক্তি, বিনোদন, শিক্ষা, খেলাধুলো, লাইফ হ্যাকস্, নিজে করুন, পর্যটন, কৌতুক ইত্যাদি,

বিভিন্ন বিষয়ের ইউটিউব চ্যানেল বিশ্বজুড়ে জনপ্রিয়তা লাভ করে আসছে। নিশ্চিত করুন আপনি যে বিষয়ের ওপর ভিডিও করবেন করছেন সেই বিষয়টি আপনার যথেষ্ট জানা আছে আপনার, তাহলেই সেই বিষয় সম্পর্কিত একাধিক সফল ভিডিও আপনি তৈরি করতে পারবেন যা দর্শককে আকৃষ্ট করবে এবং আপনার চ্যানেলের ভিউ বাড়বে।

ইউটিউবারদের প্রাথমিকভাবে ধৈর্য রাখতে হবে

একটি ইউটিউব চ্যানেলের প্রাথমিক ১,০০০ এমন ১০,০০০ হাজার সাবস্ক্রাইবার সংখ্যায় পৌঁছতে প্রচুর পরিশ্রম করতে হয় ইউটিউবারদের অনেক সময় ও দিতে হয়।

কোনওরকম লাভ না করেই আপনারে একের পর এক ভিডিও বানিয়ে চালিয়ে যেতে হবে আপনাকে, যে পর্যন্ত আপনার ভিডিও না ভাইরাল হয় সে পর্যন্ত আপনাকে পরিশ্রম ও চালিয়ে যেতেই হবে।

পেশাদার মানের ভিডিও বানাতে হবে

ইউটিউব থেকে আয় করতে হলে ভাল পেশাদার মানের ভিডিও বানাতে হবে।আপনার ভিডিও যতই তথ্য সমৃদ্ধ হোক না কেন, আপনার উপাস্থাপনা ভাল না হলে দর্শক ভিডিওটি পুরো বা ভালোভাবে দেখবে না বা আপনার চ্যানেলে ফিরে আসার জন্য সাবস্ক্রাইব করবে না।

তাই আপনাকে ভালো উপস্থাপন ও ভালো মানের ভিডিও বানাতে হবে।

আজ কাল বিভিন্ন স্মার্টফোনেই অত্যন্ত ভাল মানের ক্যামেরা দিয়ে থাকেন স্মার্টফোন কোম্পানিরা, সেই ক্যামেরা ব্যবহার করেও আপনি ভালো মানের ভিডিও বানাতে পারেন।

ভিডিও সম্পাদনা ও শব্দ বিন্যাসের দিকে বিশেষ নজর দিতে হবে আপনাকে। অনেক সময়েই খুব ভাল মানের ভিডিও খারাপ এডিটিং-এর জন্য নষ্ট হয়ে যায় আমাদের কে সেই দিকে লক্ষ্য রাখতে হবে। ভিডিও উপস্থাপনার ফরম্যাট সম্পর্কেও যত্নবান হতে হবে, সে দিকে লক্ষ্য রাখতে হবে।

কোন ভাষায় ভিডিও করবেন তা নিশ্চিত করুন

আপনি যদি বাংলা ইংরেজি দুটো ভাষাতে ভাল অভিজ্ঞতা থাকে তাহলে আপনাকে নিশ্চিত করতে হবে কোন ভাষায় আপনি আপনার ভিডিওটি করবেন বা বানাবেন।

ইংরেজি ভাষায় ভিডিও করলে বিশ্বের বিভিন্ন দেশের দর্শকের কাছে পৌঁছনোর সুযোগ রয়েছে তখন আপনার চ্যানেল এর ভিউ বেশি হবে,

আবার ভারতের বাইরের বিভিন্ন দেশের ট্রাফিকের ক্ষেত্রে ইউটিউবের টাকার হারও বেশি পাওয়া যায়, অন্যদিকে আবার ইংরেজি ভাষায় প্রতিযোগিতাও অনেক বেশি হয়ে থাকে।

পরিশেষে,মনে রাখবেন

প্রতি মিনিটে ৬০০ ঘন্টারও বেশি ইউটিউব ভিডিও আপলোড হচ্ছে সারা বিশ্বে। আবার ইন্টারনেট ক্রমশ সুলভ হওয়ার বাড়ছে দর্শক সংখ্যাও বেশি। এই তীব্র প্রতিযোগিতার বাজারে ইউটিউব থেকে আয় করতে মেধা, পরিশ্রম ও সৃজন ও শ্রম প্রতিটিই প্রয়োজন হয়।

একবার প্রতিষ্ঠিত ইউটিউবার হয়ে যেতে পারলে আপনাকে আর পিছন দিকে তাকাতে হবে না আস্তে আস্তে আপনিও উপরের লেভেলে উঠে যাবে তখন আপনার ভাল লাভ করা সম্ভব হবে।

তবে তার জন্য পরিশ্রম করতে হবে অনেকটাই বেশি। এছাড়া চাকরির পাশাপাশি বাড়তি রোজগারের জন্যও ইউটিউব একটি ভাল মাধ্যম হয়েছে আজকাল।

নতুন কিছু না তৈরি করলেও নতুনভাবে উপস্থাপন করতে পারলে দর্শকের নজর কাড়ার সম্ভাবনা বেশি রয়েছে, আর ইউটিউব ব্যবসার সাফল্যের মূল কথাই হল দর্শকের নজরে আসা একটি ইউটিউব চ্যানেল।

 ইউটিউব কি ভিউয়ের হিসাবে টাকা দেয় না ইউটিউব টাকা দেয় আপনার ইউটিউব চ্যানেল মনিটাইজ করার মাধ্যমে। আপনার চ্যানেল মনিটাইজ করে গুগল এডসেন্স মাধ্যমে ভালো আয় করা যায়।গুগল এডসেন্স কি এসব এখন জানবো।

৩। গুগল এডসেন্স (Google Adsense)

Google  Adsense হচ্ছে বিশ্বের সবচেয়ে বড় বিজ্ঞাপনের (Advertisement) কোম্পানি। এটি গুগল কর্তৃপক্ষ  নিজে পরিচালনা করছে। এটার মাধ্যমে আপনার ব্লগ বা ইউটিউব ইউটিউব চ্যানেলকে মনিটাইজ করে ইনকাম করা যায়।

যদি আপনার ব্লগে প্রচুর পরিমানে ভিজিটর আসে প্রতিমাসে আপনি ভালো একটা ইনকাম করতে পারবেন যা আপনি চাকরি করে ও এমন ইনকাম করতে পারবেন না।

বর্তমানে সময় গুগুল এডসেন্স অনুমোদন পাওয়া একটু কঠিন হয়ে গেছে। আপনি এই ব্লগে দেখে থাকবেন অনেক গুলো এড দেখাচ্ছে সব গুলো Google AdSense দ্বারা চালিত।

গুগল এ্যাডসেন্স অনুমোদন খুব সহজে পাওয়া যায় না অনুমোদন পেতে হলে আপনার ব্লগে ৪০-৫০ টি ভালো ইউনিক কনটেন্ট থাকতে হবে তাহলো খুব সহজে অনুমোদন পাবেন তার জন্য প্রয়োজন টপ লেবেল ডোমেইন যেমনঃ (.com) (.net) (.org) (.xyz) ইত্যাদি আরো অনেক টপ লেবেল ডোমেইন আছে। আর হা blogspot ও অনুমোদন পাওয়া যায়,

  আমি সাজেস্ট করবো ডট কম ডোমেইন নিয়ে করাকে। অনেকে বলে থাকে Google  Adsense Approve করাটা অনেক কঠিন কাজ আসলে কঠিন না আমি একদম খুব সহজে পেয়ে গেছি এই সাইটের জন্য।

আপনি যদি জানতে চান কি করে কনটেন্ট লিখতে হয় কি করলে গুগল এডসেন্স খুব সহজে পাওয়া যাবে তাহলে আপনি আমাদের পেইজে পোস্ট করতে পারেন সম্পন্ন আপডেট আমাদের হট নিউজ অল ডটকম নিচে কমেন্ট বক্সে কমেন্ট করে জানাবেন আমরা  সকল প্রশ্নর উওর দেব।

৪।ফ্রিল্যান্সিং (Freelancing)

ফ্রিল্যান্সিং ফ্রিল্যান্সিং অনলাইনে আয়ের ক্ষেত্রে ফ্রিল্যান্সিং কাজ সবচেয়ে জনপ্রিয় ফ্রিলান্সিং এর মাধ্যমে আপনি প্রতিমাসে ভালো একটি এমাউন্ট ইনকাম করতে পারেন। ফ্রিল্যান্সিং কি করে করতে হয় এই নিয়ে সংক্ষিপ্ত আলোচনা করা হলোঃ 

আপনারা যদি চান ফ্রিল্যান্সিং কি করে শুরু করতে হয় তাহলে কমেন্ট মাধ্যমে জানিয়ে দিন।

ফ্রিল্যান্সিং কি? ফ্রিল্যান্সিং করে টাকা আয়: মানুষ এখন অনলাইনে অর্থ আয়ের জন্য নানা কৌশল প্রয়োগ করে আসছে। অনলাইনে আয়ের নানা পথও তৈরি হয়েছে এখন বর্তমান বিশ্বে।

তবে অনলাইনে কাজ করে আয় করতে গেলে কোন প্ল্যাটফর্ম ধরে এগোচ্ছেন, আপনাকে সে বিষয়ে সতর্ক থাকতে হবে। অনলাইনে ফ্রিলান্সিং কাজ করে রাতারাতি কোটিপতি বনে যাওয়ার কোন সুযোগ নেই।

কিছু অনলাইন প্ল্যাটফর্ম, ওয়েবসাইট ও রিসোর্স আছে, যা কাজে লাগিয়ে ফ্রিলান্সিং করে অনলাইনে আয় করতে পারবেন।

আগে আপনাকে যে কোন একটা বিষয়ে দক্ষ হতে হবে। এরপর অনলাইন মার্কেটপ্লেস গুলতে একটু বেশি সময় দিতে হবে। একটু বেশি ঘাটাঘাটি করতে হবে। যারা অনেক দিন থেকে কাজ করে, তাদের প্রোফাইল দেখতে হবে। তাদের প্রোফাইল দেখে তাদের প্রোফাইলের মত নিজের প্রোফাইল ভালোভাবে সাজাতে হবে।

এবং ইংরেজীতে একটু বেশি দক্ষ হতে হবে। এমন না যে ফ্লুয়েন্টলি আপনাকে কথা বলতে হবে বা যোগ করতে হবে বা লিখতে হবে। অন্তত একটি জব পোস্ট পড়ে কি কি করতে বলছে,

কি কি করতে হবে এবং ক্লায়েন্টের সাথে কথা বলার মত ইংরেজী জ্ঞান দক্ষতা থাকতে হবে।

 ফ্রিল্যান্সিং করে টাকা আয়

অনলাইনে অর্থ উপার্জনের জন্য ফ্রিল্যান্সিং সর্বদা একটি জনপ্রিয় সহজ উপায় এবং ইন্টারনেটের বিভিন্ন বিকল্প রয়েছে। বিভিন্ন দক্ষতা আছে এমন লোকদের জন্য ফ্রিল্যান্স টাস্ক অফার করে আসছে।

এমন বেশ কয়েকটি ওয়েবসাইট রয়েছে। আপনাকে যা করতে হবে তা হ’ল প্রথমে একটি অ্যাকাউন্ট তৈরি করা, তালিকাগুলির মাধ্যমে ব্রাউজ করা,এবং আপনার পক্ষে উপযুক্ত কাজের জন্য অনলাইনে আবেদন করা।

কিছু ওয়েবসাইট এমনকি আপনার স্কিলসেটের বিষয় সহ একটি ব্যক্তিগত তালিকা তৈরি করার প্রয়োজন হতে পারে, যাতে আগ্রহী ক্লায়েন্টরা সরাসরি আপনার সাথে ভালোভাবে যোগাযোগ করতে পারে।

আউটফিভার ডটকম, আপওয়ার্ক ডটকম, ফ্রিল্যান্সার ডটকম এবং ওয়ার্কহাইনার ডট কম এমন কিছু ওয়েবসাইট যা ফ্রিল্যান্স জব সরবরাহ করে থাকে।

আপনি এই ওয়েবসাইটগুলির মাধ্যমে ৫ ডলার থেকে এবং ১০০ ডলার এর মধ্যে যে কোনও জায়গায় আপনি উপার্জন করতে পারবেন।

তবে মনে রাখবেন যে, প্রদত্ত কাজটি সফলভাবে শেষ করার পরে আপনি কেবলমাত্র অর্থ পরিশোধ করবে। এবং এটি আপনার ক্লায়েন্টের দ্বারা অনুমোদিত হয়ে গেছে।

এটি এমনকি আপনার ক্লায়েন্টদের প্রয়োজনীয়তা পূরণ না করা হলে, কাজটি কয়েকবার সংশোধন করার অর্থ হতে পারে।

বেশিরভাগ ক্লায়েন্টরা এর মাধ্যমে ডিজিটাল মাধ্যমে অর্থ প্রদান করতে পছন্দ করায়, কিছু সাইট আপনাকে একটি পেপাল অ্যাকাউন্ট সেট আপ করতে বলবে। অনলাইনে টাকা আয় করার সবচেয়ে ভালো পদ্ধতি।

৫। আর্টিকেল রাইটিং

আপনি যদি ভালো লেখক হন বা লেখালিখির জ্ঞান আছে বা আপনি এই বিষয়ে ভালো পারদর্শী আপনি চাই লে আর্টিকেল রাইটিং কাজ খুব সহজে শুরু  করতে পারেন।

আর্টিকেল রাইটিং কি?

আপনি এখন এই পোস্টটি পড়িতেছেন এটা হলো একটা আর্টিকেল। এ-ই ধরনের আর্টিকেল এর প্রতি যদি আপনার ধারণা থাকে তাহলে আপনি শুরু করতে পারেন।

সহজে বলতে গেলেকোন কিছু বিষয়ের উপর লেখা। যে বিষয়ে আপনার জ্ঞান অভিজ্ঞতা আছে সেই বিষয়ের উপর ভিত্তি করে আপনি আর্টিকেল লিখবেন।

সেটি হতে পারে আপনার পছন্দের কোন বিষয় ভ্রমন হতে পারে,মোটিভেশান হতে পারে,পড়াশোনা এর বিষয় হতে পারে এবং বিনোদন আরো ইত্যাদি বিষয়।

আর্টিকেল রাইটিং কাজের অনেক চাহিদা রয়েছেম, অনলাইন মার্কেট প্লেসে।  আপনি চাইলে কোন  কম্পানির হয়ে আর্টিকাল রাইটিং এ কাজ করতে পারেন। তাদের দেওয়া বিষয়ের উপরেই অথবা নিজের ব্লগে আর্টিকেল লিখেও বেশ  ইনকাম  করতে  পারবেন।

আর্টিকাল রাইটিং চাহিদা বিপুল পরিমাণ রয়েছে ফ্রিলান্সিং মার্কেটে তবে এটা ইংরেজি আর্টিকেল এর জন্য। এটাকে ক্যারিয়ার হিসাবে নেওয়া যেতে পারে। কাজের চাহিদা বিপুল পরিমাণ রয়েছে বিদায় ক্যারিয়ার হিসাবে নিতে কোন সমস্যা হবে না আশা করি।

৬। Playing Game  (প্লেয়িং গেইম)

অনেকে আছে গেইম খেলতে ভালোবাসেন আবার সেটা যদি গেইম খেলা করে টাকা আয় করা যায় তাহলে মন্দ কি। বর্তমান সময়ে অনেক অনলাইন ওয়েবসাইট রয়েছে তাদের সাইটে গিয়ে যদি আপনি গেইম খেলা করেন তাহলে আপনাকে ওরা কিছু টাকা দেয়।

তবে এটা অনলাইনে আয়ের ভালো দিক না ভিন্ন ভিন্ন ওয়েবসাইট গেইম খেলে অনেকেই প্রতরনা শিকার হয়েছে। টাকা দেয় না আবার অনেক সাইটে পেপাল মাধ্যমে পে করে বলে সে টাকা নিজের পকেটে আনা অনেক কষ্ট হয়েছে।

কারণ বাংলাদেশ পেপাল সাপোর্ট না তাই গেইম খেলে টাকা উপার্জন করাটা ভালো দিকনা আমি বলবো এটাতে সময় নষ্ট না করে অন্য কোন ওয়েতে আয় করার চেষ্টা করা।

৭। ই-কমার্স(e-commerce )

অনলাইন থেকে আয়ের সবচেয়ে ভালো এবং অন্যতম মাধ্যমে হলো ই-কমার্স।অন্যতম বলার কারণ হলো দিন দিন মানুষ অনলাইন ইনকামের দিকে বেশি ঝুঁকতেছে। মানুষ বেশি সময় অনলাইনে থাকে।

বর্তমান সময়ে  কেনা কাটা  অনলাইন থেকে বেশি  করে থাকে। ই-কমার্স বলতে আমরা স্বাভাবিক ভাবে বুঝিয়েছি অনলাইন থেকে কেনাকাটা করা।

আপনি যদি অনলাইন থেকে কেনাকাটা করেন তখন অবশ্যই সেটি যে কোন একটি ওয়েবসাইট থেকে কিংবা কোন ফেইসবুক পেইজে এর মাধ্যমে ক্রয় করেছেন একটু খেয়াল করে দেখবেন।

সেটা যদি আপনার ওয়েবসাইট কিংবা আপনার নিজস্ব ফেইসবুক পেইজ থেকে অন্য মানুষ কিনে তাহলে কেমন হয় বিষয়টা একটু ভেবে দেখুন।

তার জন্য আপনার প্রয়োজন নিজস্ব প্রোডাক্ট এবং কিছু ইনভেস্ট প্রয়োজন ই-কমার্স ব্যবসার জন্য আপনি যদি পোশাক নিয়ে ই-কমার্স শুরু করবেন তাহলে সেই পোশাক আগে থেকে ক্রয় করে রাখতে হবে।

সামান্য কিছু ইনভেস্ট দিয়ে শুরু করতে পারেন।

ই-কমার্স শুরু করার জন্য ওয়েবসাইট আর ফেইসবুক পেইজ প্রয়োজন হবে। ইনভেস্ট যদি বেশি থাকে তাহলে ওয়েবসাইট এর মাধ্যমে শুরু করতে পারেন এটাতে গ্রাহকের কাছে ট্রাস্ট হয়।

কাস্টমাররা ওয়েবসাইটের মাধ্যমে আপনাকে কোন প্রোডাক্ট অর্ডার করবে সে অনুযায়ী আপনাকে কাজ করতে হবে।

এর জন্য আপনাকে কাস্টমার এর কাছ থেকে বিশ্বস্ততা অর্জন করতে হবে এবং সময় মত ডেলিভারি দিতে হবে। ই-কমার্স ওয়েবসাইটের জন্য আপনি, ডিজিটাল প্রোডাক্ট ইউজ করতে পারেন।

কম ইনভেস্ট ফেইসবুক পেইজে হতে পারে আপনার জন্য সবচেয়ে ভালো মাধ্যমে।

তবে ই-কমার্স শুরু করার আগে অনেক কিছু ধারণা থাকা প্রয়োজন হয়। সব কিছু জেনে শুনে ই-কমার্স শুরু করতে হবে না হলে লস হওয়ার সম্ভাবনা বেশি রয়েছে। 

এবং আপনি যে সমস্ত পণ্যগুলো বিক্রি করবেন সে সমস্ত পণ্য গুলো আপনাকে নিজ দায়িত্বে কাস্টমারের কাছে সঠিক সময়ে সঠিক পণ্য  পৌঁছে দিতে হবে।

০৮। অনলাইন সেলার (Online Seller)

Online Seller  হচ্ছে, অনলাইনে কোন প্রোডাক্ট বা পণ্য বিশ্বস্ত সহকারে  বিক্রয় করা। অনলাইনে আপনি অনেক ধরনের পণ্য বিক্রি করতে পারেন তবে পণ্য খুব সহজে  বিক্রি হয় না তার জন্য প্রয়োজন বিশ্বস্ত।

বিশ্বস্ত অর্জন এর জন্য আপনার কাস্টমারদেরকে সঠিক পণ্য কম দামের মধ্যে দিতে পারেন। সঠিক সময়ে পন্য পেরন করতে হবে প্রথম অবস্থায় বিশ্বস্ত অর্জন করতে হবে।

নতুন অবস্থায় লাভ না করাটাই ভালো আগে বিশ্বস্ত অর্জন করে লাভের চিন্তা করা যেতে পারে।

অনলাইন সেলার এবং ই-কমার্স এর মধ্যে বেশি পার্থক্য নেই। প্রথম অবস্থায় চাইলে মানুষের নিত্য প্রয়োজনীয় যে কোন পণ্য দিয়ে শুরু করতে পারেন।

আপনার কাছের পরিচিত মানুষদের কাছে প্রথম অবস্থায় পণ্য বিক্রি করে তাদের মতামত শেয়ার করুন এবং আপনার ওয়েবসাইট বা ফেইসবুক পেইজে। অনলাইনে প্রোডাক্ট বিক্রয় করার জন্য আপনি একটি ই-কমার্স ওয়েবসাইট  প্রয়োজন।

৯। Dropshipping

নামের মধ্যে ও শপিং এর মতো কিছু একটা আছে। তাহলে জেনে নিও

Dropshipping কি?

ধরুন আপনি একজন কাপড় ব্যাবসায়ি অথবা আপনার আশেপাশে পরিচিত লোকজন কাপড় এর ব্যবসা করে তাদের দোকান একটা ভালো মানের শার্ট এর  প্রতি পিছ দাম ৪৫০ টাকা মতো।

ঠিক সেইম ক্যাটাগরির শার্ট অনলাইনে কোন ই-কমার্স প্রতিষ্ঠানে ৭০০-৮০০ টাকার মতো বিক্রি হচ্ছে বা করতেছে। এমনকি অন্য কোন বড় বড় দোকানে এই শার্টের দাম ৯০০-১০০০ টাকার মতো বিক্রি করে থাকে।

উদাহরণ: হিসাবে ধরা যাক ব্যবসায়িরা চাষীদের কাছ থেকে কম টাকায় শাক-সবজি ক্রয় করে  ঢাকা শহরে তার চেয়ে ২ গুণ  টাকায় বিক্রয় করা হয় মূলত  Dropshipping হয় এই ভাবে এটা করার জন্য আপনার প্রয়োজন একটা ই-কমার্স ওয়েবসাইট যার সাহায্য আপনি Dropshipping করতে পারেন।

১০। Sell Photos Online:

আপনার যদি ফটোগ্রাফিক এর শখ থেকে থাকে তাহলে এই ফটো গুলো আপনি অনলাইন সেল করতে পারেন। এমন ও তো হতে পারে, আপনার ঘরের আশে পাশে অবহেলায় পড়ে থাকা এমন কিছু সিনারী বা সুন্দর ছবি  রয়েছে যাকে ক্যামেরাবন্দী করার পর অনলাইনে বিক্রয় করতে পারেন বিষয়টা একবার ভাবুন।

আপনি যদি ভালো ফটোগ্রাফার হন তাহলে নিয়মিত বিভিন্ন ফটো তুলে সে ফটে বিভিন্ন অনলাইনে সেল করতে পারেন। এই খান থেকে একটা ভালো ইনকাম আর্ন করা যায়। ভালো বলতে প্রতিমাসে তো $200-$300 ডলার ইনকাম করা যেতে পারে। নিছে কয়েকটি  ইমেজ সেলের সাইট দেওয়া আছে চাইলে এগুলো দেখতে পারেন।

1.500px.com

2. shutterstock.com 

3. envato.com

4. stock.adobe.com

5. imagesbazaar.com ইত্যাদি।

 ১১। অনলাইন টিচার (Online Teacher)

যারা কলেজ ভার্সিটিতে লেখা পড়ার পাশাপাশি ঘরে ঘরে গিয়ে ছাত্র ছাত্রীদেরকে  টিউশন করান। আপনি চাইলে এই টিউশন টা অনলাইনে করাতে পারেন তার জন্য ভালো মাধ্যম হলো ইউটিউব।

এই ইউটিউব থেকে আপনি অনলাইন টিউশন করাতে পারেন।অনলাইন টিউশন করে প্রতিমাসে ভালো টাকা ইনকাম করা যায়। কিন্তুু আপনাকে একটা ভালো স্মার্টফোন ও ভালো ক্যামেরা ফোন হতে হবে।

বর্তমানে অনলাইন কে কাজে লাগিয়ে অনেকেই অনলাইন টিউশন করে আরো অনেক বেশি ইনকাম করছেন। আপনি  হয়তো জানেন না বর্তমানে উন্নত বিশ্বে প্রায় শিক্ষক অনলাইনে টিউশন করছেন।

এবং এটা দিন দিন বাড়তেছে। যদি আপনার  যে কোন একটি বিষয়ে আপনার প্রচুর দক্ষতা রয়েছে, তাহলে আপনিও অনলাইন টিউশন করে ভাল উপার্জন করতে পারবেন। অনলাইনে আয় এর ভালো একটা মাধ্যম হতে পারে।

১২। ই-বুক (e-Book)

eBooks: ই-বুক বানিয়ে বিক্রির মাধ্যেমে অনলাইন থেকে ইনকাম করতে পারবেন। ধরুন আপনি ডগ ট্রেনিং নিয়ে ভালো জানেন আপনি ডগ ট্রেনিং এর উপর ই-বুক লিখেও অনলাইন ইনকাম করতে পারবেন খুব সহজে।

e-book  হলো একটা  পিডিএফ ফরমেটে সিস্টেম।এটা ও এক প্রকার অনলাইন টিচার করার মতো তবে ভিন্ন হলো এটাতে লেখতে হয় লেখে বই আকারে প্রকাশ করতে হয়।

আপনি যদি ভালো লেখতে পারেন তাহলে পিডিএফ আকারে প্রকাশ করে ভালো ইনকাম করতে পারেন। তার জন্য প্রয়োজন আপনার একটা ওয়েবসাইট যার মাধ্যমে ই-বুক অনলাইনে সেল করতে পারেন।

Enjoyed this article? Stay informed by joining our newsletter!

Comments

You must be logged in to post a comment.

Related Articles
Recent Articles