স্বপ্নের দেশ কানাডায় যেতে চাইলে কানাডার ভিসা ক্যাটাগরি সম্পর্কে ধারণা থাকতে হবে। কারণ ক্যাটাগরি অনুযায়ী ভিসা নির্বাচন করতে হয়।
কানাডা উত্তর আমেরিকার একটি বড় দেশ। বিভিন্ন দেশের মানুষ বিভিন্ন উদ্দেশ্যে কানাডায় অভিবাসন করছে। আমাদের দেশ থেকে কেউ হয়তো ভ্রমণের উদ্দেশ্যে কানাডায় পাড়ি জমাচ্ছেন, কেউ হয়তো পড়াশোনার উদ্দেশ্যে আবার কেউ হতে পারে কাজের উদ্দেশ্যে।
স্বপ্নের এই দেশে পাড়ি জমাতে অনেক নিয়ম-কানুন মেনে চলতে হয়। এর মধ্যে একটি হল কানাডার ভিসা ক্যাটাগরি নির্বাচন করা। আর এর জন্য আপনাকে অবশ্যই ভিসার ক্যাটাগরিগুলো ভালোভাবে জানতে হবে।
কানাডা ভিসা ক্যাটাগরি
ভিসা ক্যাটাগরি বলতে আসলে ভিসার ধরন বোঝায়। আপনি যদি কানাডার মত অন্য কোন দেশে যেতে চান তাহলে আপনাকে ভিসার ক্যাটাগরি সম্পর্কে জানতে হবে। কারণ ভিসার জন্য আবেদন করার সময় ভিসার ক্যাটাগরি উল্লেখ করতে হয়।
এজন্য আপনাকে ভালোভাবে জানতে হবে আপনি আসলে কোন ধরনের ক্যাটাগরিতে পড়েন এবং কোন ধরনের বিষয় ক্যাটাগরি আপনার জন্য উপযুক্ত।
কানাডার ভিসার ক্যাটাগরি মূলত পাঁচ ধরনের। যথা:
1 | ফ্যামিলি স্পন্সরশীপ ভিসা |
2 | টুরিস্ট ভিসা (টেম্পোরারি রেসিডেন্ট ভিসা) |
3 | ওয়ার্ক পারমিট ভিসা |
4 | স্টুডেন্ট ভিসা |
5 | পার্মানেন্ট রেসিডেন্ট ভিসা |
এই 5 ধরনের ভিসার ক্যাটাগরি সবচেয়ে জনপ্রিয়। এগুলি ছাড়াও, উপরের ক্যাটাগরির অধীনে আরও অনেক ধরণের ভিসা রয়েছে। তারা হল:
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
ভিসার খরচ এবং যোগ্যতা ভিসার বিভাগ অনুসারে পরিবর্তিত হয়।
কানাডা জব ক্যাটাগরি
কানাডায় বিভিন্ন চাকরির বিভাগ রয়েছে। একই ক্যাটাগরিতে বিভিন্ন ধরনের কাজ করা যায়।
তথ্য প্রযুক্তি | সফ্টওয়্যার ইঞ্জিনিয়ার, সিস্টেম বিশ্লেষক এবং আইটি বিশেষজ্ঞ। |
ইঞ্জিনিয়ারিং | সিভিল ইঞ্জিনিয়ার, মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ার এবং ইলেকট্রিক্যাল ইঞ্জিনিয়ার। |
স্বাস্থ্যসেবা | ডাক্তার, নার্স এবং অন্যান্য স্বাস্থ্যসেবা পেশাদার। |
দক্ষতা ভিত্তিক | ছুতার, ইলেকট্রিশিয়ান, প্লাম্বার এবং অন্যান্য দক্ষ শ্রমিক। |
ফাইন্যান্সিং | হিসাবরক্ষক, আর্থিক বিশ্লেষক এবং ব্যাংকার। |
শিক্ষা | শিক্ষক, অধ্যাপক এবং শিক্ষাবিষয়ক প্রশাসক। |
উৎপাদন | কারখানার কর্মী, উৎপাদন তত্ত্বাবধায়ক এবং মান নিয়ন্ত্রণ বিশেষজ্ঞ। |
প্রশাসনিক সেবা | রিসেপশনিস্ট, প্রশাসনিক সহকারী এবং অফিস ম্যানেজার। |
প্রাকৃতিক সম্পদ | বন, খনি, এবং তেল শিল্পের শ্রমিক। |
আতিথেয়তা এবং পর্যটন | হোটেল এবং রেস্তোরাঁর কর্মী, ট্যুর গাইড এবং ইভেন্ট পরিকল্পনাকারী। |
কানাডা ডি ক্যাটাগরি ভিসা
কানাডা ডি ক্যাটাগরিতে 4 ধরনের ভিসা রয়েছে। সেগুলো নিচে উল্লেখ করা হলো:
D-0 Visa (Company-sponsored): | কানাডিয়ান কোম্পানি কোন ব্যক্তিকে স্পন্সর করলে তখন এই ভিসা ক্যাটাগরিতে পড়বে। সেটা কাজের জন্য হতে পারে, অবদান কিংবা অর্জনের জন্যও হতে পারে। |
D-1 Visa (Permanent Residency): | এই ক্যাটাগরিতে বিদেশী শ্রমিকেরা স্থায়ী বাসিন্দা হতে চায়। |
D-2 Visa (Government or High Authority): | সরকারি কর্মকর্তা, বিজ্ঞানী এবং রাজনৈতিক আশ্রয় ইত্যাদি এই ক্যাটাগরিতে পড়ে। |
D-3 Visa (Student or Military Personnel): | এই ভিসা শিক্ষার্থী এবং সেনাবাহিনীর লোকদের জন্য। |
কানাডা ভিসা পাওয়ার সহজ উপায়
বিভিন্ন ক্যাটাগরির ভিসায় কানাডায় যাওয়া যায়। প্রতিটি বিভাগে অনুসরণ করার জন্য একটি ভিন্ন প্রক্রিয়া আছে। স্টুডেন্ট ভিসায় কানাডা যেতে হলে ইংরেজি ভাষার দক্ষতা থাকা আবশ্যক। এর জন্য ভাষা পরীক্ষার স্কোর (Ielts) লাগবে।
আর আপনি যদি ট্যুরিস্ট ভিসায় যেতে চান তাহলে আপনার অবশ্যই ভালো ভ্রমণ ইতিহাস থাকতে হবে। আপনি যদি খুব সহজে এই ধরনের ভিসা পেতে চান তবে আপনাকে প্রথমে থাইল্যান্ড, মালয়েশিয়া, সিঙ্গাপুর, ভিয়েতনাম এবং মিশর যেতে হবে।
তারপর ইউকে যেতে হবে। কারণ আজকাল UK ভিসা পাওয়া খুবই সহজ। এই দেশগুলিতে যাওয়ার পরে, আপনি কানাডার ভিসার জন্য আবেদন করতে পারেন।
আপনি যদি ভ্রমণের ইতিহাস তৈরি করেন এবং এইভাবে আবেদন করেন, আশা করি আপনি কানাডার ভিজিট ভিসা পাবেন। ভ্রমণের সময়, নিশ্চিত করুন যে এক দেশ থেকে অন্য দেশে ভ্রমণের সময়ের পার্থক্য এক থেকে দুই মাসের বেশি না হয়।
তারা সহজেই বিশ্বাস করবে যে আপনি একজন ভ্রমণপ্রিয় মানুষ। এছাড়াও, আপনি চাইলে ফ্যামিলি স্পন্সরশিপ ভিসায় কোনো ভ্রমণ অভিজ্ঞতা ছাড়াই কানাডায় অভিবাসন করতে পারেন।
এর জন্য একজন কানাডিয়ান নাগরিকের একটি আমন্ত্রণ প্রয়োজন হবে। এটি আপনার পরিবারের সদস্য বা আত্মীয় বা কানাডিয়ান নাগরিক হতে পারে।
কানাডায় যেতে কত টাকা লাগে?
খরচ এবং কাগজপত্র ভিসার ধরনের উপর নির্ভর করে ভিন্ন, নীচে খরচের তালিকা দেওয়া হল:
ভিসা ক্যাটাগরি | আনুমানিক মোট খরচ (লক্ষ) |
ওয়ার্ক পারমিট | ৮-১২৳ |
স্টুডেন্ট | ৫-৬৳ |
টুরিস্ট | ৩-৫৳ |
এছাড়াও, কানাডার ভিসা ক্যাটাগরি সম্পর্কে আপনার কোন প্রশ্ন বা পরামর্শ থাকলে মন্তব্য করতে ভুলবেন না। আমরা অবিলম্বে মন্তব্য করে আপনার মূল্যবান মন্তব্য প্রতিক্রিয়া হবে।
আজ এই পর্যন্তই, যে কোন দেশে যাওয়ার আগে অবশ্যই আপনাকে সেই দেশ সম্পর্কে জানতে হবে।
You must be logged in to post a comment.