ইউরোপের শেষ মুসলিম দেশ কসোভো 2008 সালে স্বাধীনতা লাভ করে। আমেরিকাসহ অনেক দেশ এটিকে স্বীকৃতি দিয়েছে। ইউরোপের অংশ হওয়ায় বাংলাদেশ থেকে অনেকেই কাজের ভিসা নিয়ে দেশে যাচ্ছেন। দেশটিতে ভিসা পাওয়া তুলনামূলক সহজ।
বাংলাদেশ থেকে 10-12 মাস কসোভোতে কাজ করার পর আপনি বৈধভাবে ইউরোপের অন্যান্য দেশে (যেমন ইতালি) যেতে পারেন। কিভাবে কসোভো থেকে ইতালি যেতে হয় তার বিস্তারিত জানতে এই পোস্টটি শেষ পর্যন্ত পড়ুন। কসোভো থেকে ইতালি যেতে কত খরচ হয় এবং কত খরচ হয় তাও জানতে পারবেন।
কসোভো থেকে ইতালি যাওয়ার উপায়
ইউরোপের দোরগোড়ায় অবস্থিত ইতালি অনেকের কাছেই স্বপ্নের দেশ। কসোভো থেকে এই স্বপ্ন পূরণের দুটি পথ রয়েছে: বৈধ এবং অবৈধ। অধিকাংশ মানুষ (প্রায় 95%) দুর্ভাগ্যবশত ঝুঁকিপূর্ণ অবৈধ পথ বেছে নেয়। এর পেছনে বেশ কিছু কারণ রয়েছে। প্রথমত, রোমানিয়ার ওয়ার্ক পারমিট ভিসা বন্ধ হয়ে যাওয়ায় অনেকেই বিকল্প খুঁজছেন। দ্বিতীয়ত, কসোভোতে কাজের ভিসা পাওয়া তুলনামূলকভাবে সহজ।
তবে মনে রাখবেন, অবৈধভাবে ইতালি ভ্রমণ অত্যন্ত ঝুঁকিপূর্ণ। আপনি আইনি জটিলতা এবং শাস্তির সম্মুখীন হতে পারেন। প্রতারণা এবং শোষণের শিকার হওয়ার সম্ভাবনাও বেশি। অন্যদিকে, বৈধভাবে ইতালি ভ্রমণ নিরাপদ এবং ঝামেলামুক্ত। কসোভো থেকে ইতালি যাওয়ার দুটি নিরাপদ এবং ঝামেলামুক্ত উপায় রয়েছে। যথা:
ইতালি টুরিস্ট ভিসা
প্রথমে কসোভোতে যেকোনো কোম্পানিতে ১০ থেকে ১২ মাস কাজ করতে হবে। |
কাজের পর কোম্পানি থেকে TRC কার্ড সংগ্রহ করতে হবে। |
এরপর কোম্পানির ছুটির জন্য অপেক্ষা করতে হবে। |
ছুটি পেলে ইতালি টুরিস্ট ভিসার জন্য আবেদন করতে হবে। |
ভিসা পেলে ইতালিতে গিয়ে কাজ খুঁজে নিতে পারবেন। |
ইতালি কাজের ভিসা
প্রথমে ইতালিতে কোনো কোম্পানিতে কাজের অনুমোদন পত্র সংগ্রহ করতে হবে (আপনার আত্মীয় বা পরিচিত লোকের মাধ্যমে)। |
এরপর কসোভোতে যে কোম্পানিতে কাজ করছেন তাদের থেকে এনওসি (NOC) পত্র সংগ্রহ করতে হবে। |
উভয় কাগজপত্র সহ ইতালি কাজের ভিসার জন্য আবেদন করতে হবে। |
অনেক কসোভো প্রবাসী একটি উন্নত জীবনের স্বপ্ন নিয়ে ইতালিতে অভিবাসনের চেষ্টা করে। কিন্তু মনে রাখতে হবে অবৈধভাবে ইতালি যাওয়া খুবই বিপদজনক এবং ঝুঁকিপূর্ণ। ধরা পড়লে আটক, জরিমানা ও নির্বাসনের ঝুঁকি থাকে। অনুগ্রহ করে নিজেকে ঝুঁকির মধ্যে ফেলবেন না। বৈধভাবে ইতালিতে অভিবাসনের চেষ্টা করুন।
কসোভো থেকে ইতালি কত টাকা লাগে
কসোভো থেকে ইতালি যাওয়ার সবচেয়ে নিরাপদ এবং সবচেয়ে সুবিধাজনক উপায় হল আইনি পথ। এই রুটে যাত্রার খরচ হতে পারে ৩ লাখ থেকে ৪ লাখ টাকা। যদিও এই রুটে কিছুটা বেশি খরচ হয়, তবে ঝামেলামুক্ত এবং নিরাপদ যাত্রার জন্য এটিই সেরা বিকল্প।
বৈধ পথে ভ্রমণ করলে আপনি কোন ঝুঁকির সম্মুখীন হবেন না এবং ইতালিতে প্রবেশ করতে কোন সমস্যা হবে না। আর কসোভো থেকে অবৈধভাবে ইতালি যেতে খরচ হবে দুই থেকে তিন লাখ টাকা। অবৈধ পথে গেলে তাছাড়া পথে পথে নানা সমস্যায় পড়তে হয়।
You must be logged in to post a comment.