কসোভো কাজের ভিসা | কসোভো বেতন কত

অনেকেই কসোভো কাজের ভিসা সম্পর্কে জানতে চান। প্রতি বছর কসোভো সরকার বিভিন্ন দেশ থেকে দক্ষ ও অদক্ষ শ্রমিক নিয়োগ করে। আপনি চাইলে সরকারী কসোভো কাজের ভিসা দেশে যেতে পারেন। তবে যাওয়ার আগে অবশ্যই জেনে নিন কসোভোর বেতন কত।

কারণ কসোভো কাজের ভিসার জন্য আবেদন করার সময়, বিভিন্ন প্রাইভেট এজেন্সি এবং দালালরা উচ্চ বেতনের কথা বলে ভিসার জন্য আপনার কাছ থেকে বেশি টাকা নিবে। এছাড়াও, আপনাকে জানতে হবে কসোভো কাজের ভিসা বর্তমানে উপলব্ধ। এটি বলকান উপদ্বীপের একটি ছোট দেশ।

সম্প্রতি দেশটি অভিবাসীদের জন্য একটি আকর্ষণীয় গন্তব্য হয়ে উঠেছে। উদীয়মান অর্থনীতি এবং ক্রমবর্ধমান কর্মসংস্থানের সুযোগ অনেক বিদেশী শ্রমিককে আকৃষ্ট করছে। আপনি যদি কসোভোতেও কাজ করার পরিকল্পনা করেন, তাহলে আপনার একটি কসোভো ওয়ার্ক পারমিট ভিসা প্রয়োজন। কসোভো কাজের ভিসা সম্পর্কে সমস্ত তথ্য পেতে শেষ পর্যন্ত এই পোস্টটি পড়ুন।

কসোভো কাজের ভিসা আবেদন প্রক্রিয়া

একটি কসোভো কাজের ভিসা পাওয়া সহজ হয় যদি আপনার দেশের একজন নিয়োগকর্তার কাছ থেকে চাকরির অফার থাকে। এই অফারটি অবশ্যই লাইসেন্সপ্রাপ্ত নিয়োগকর্তার কাছ থেকে প্রাপ্ত হতে হবে। অফার লেটারে স্পষ্টভাবে আপনার পদবী, বেতন এবং কাজের শর্ত উল্লেখ করতে হবে।

কসোভো কাজের ভিসার জন্য আবেদন করার জন্য আপনাকে নিম্নলিখিত পদক্ষেপগুলি অনুসরণ করতে হবে:

  • আপনি কসোভো মন্ত্রণালয়ের ওয়েবসাইট থেকে আবেদন ফর্ম ডাউনলোড করে সঠিকভাবে পূরণ করবেন। প্রয়োজনে অভিজ্ঞদের সহযোগিতা নিন।
  • ভিসার আবেদন করতে প্রয়োজনীয় কিছু কাগজপত্র লাগবে সেগুলো আপনাকে আগে থেকে সংগ্রহ করতে হবে।
  • আপনার নিয়োগকর্তার মাধ্যমে আপনাকে কসোভো মন্ত্রণালয়ে আবেদনটি জমা দিতে হবে। আপনি প্রয়োজনীয় কাগজপত্র এবং পূরণকৃত আবেদন ফরম নিয়োগকর্তার কাছে জমা দিবেন।
  • আপনার নিয়োগকর্তা আপনার ফি পরিশোধ করে দিবে। যদি এজেন্সির মাধ্যমে কসোভো কাজের ভিসার আবেদন করেন তাহলে তারা প্রদান করবে।
  • ভিসা প্রসেসিং হতে কয়েক মাস সময় লাগতে পারে। ‌ এই সময় আপনাকে অপেক্ষা করতে হবে। আপনি ভিসার জন্য অনুমোদিত হলে আপনাকে কসোভো ওয়ার্ক পারমিট ভিসা দেওয়া হবে। সঙ্গে আপনার জমাকৃত পাসপোর্ট ফেরত দেওয়া হয়।

কসোভো কাজের ভিসা করতে কি কি লাগে

ই-পাসপোর্ট
লাইসেন্সকৃত নিয়োগকর্তা কর্তৃক কাজের অফার
মেডিকেল সনদ
কাজের অভিজ্ঞতার প্রমাণ
কাজের দক্ষতার সার্টিফিকেট
পাসপোর্ট সাইজের রঙিন ছবি
পুলিশ ভেরিফিকেশন সার্টিফিকেট

কসোভো কাজের ভিসা কত টাকা

কসোভো ওয়ার্ক পারমিট ভিসা আবেদন ফি মাত্র $60। তবে আনুষঙ্গিক খরচসহ মোট খরচ পড়ে কয়েক লাখ টাকা। দূতাবাসের মাধ্যমে কসোভো কাজের ভিসার জন্য আবেদন করতে খরচ হয় ৫ থেকে ৬ লাখ টাকা। তবে কেউ সরকারের কাছে গেলে অগ্রিম খরচ হয় ৪ থেকে ৫ লাখ টাকা।

কিন্তু বেসরকারিভাবে বিভিন্ন সংস্থার সহায়তায় গেলে ৬ থেকে ৭ লাখ টাকা লাগবে। ব্রোকারের মাধ্যমে যেতে কম বা বেশি খরচ হতে পারে। তবে দালালের সহায়তায় গেলে জীবনের ঝুঁকি থাকবে। উপরের খরচ সবকিছু অন্তর্ভুক্ত. কম খরচে ইউরোপের এই দেশটি ঘুরে আসতে পারেন।

কসোভো বেতন কত

ইউরোপীয় ইউনিয়নের দেশগুলোতে শ্রমিকদের বেতন বাংলাদেশের তুলনায় অনেক বেশি। সাধারণত 1,00,000 থেকে 3,00,000 টাকা বেতন হয়। কিন্তু কসোভো এক্ষেত্রে ব্যতিক্রম। ইউরোপের অন্যান্য দেশের তুলনায় কসোভোতে বেতন অনেক কম। কিন্তু আপনার যোগ্যতা, দক্ষতা এবং অভিজ্ঞতা বাড়ার সাথে সাথে আপনার বেতনও বাড়বে।

কসোভোতে কাজ করতে গেলে আপনার ন্যূনতম বেতন হবে ৩৫ হাজার থেকে ৫০ হাজার টাকা। আপনার দক্ষতা অনুযায়ী বেতন ৫০ হাজার থেকে ৫৫ হাজার টাকা পর্যন্ত হতে পারে। উল্লেখ্য, এই বেতন স্থানীয় মুদ্রায় (ইউরো) দেওয়া হয়। বাংলাদেশী টাকায় রূপান্তর করলে বেতনের পরিমাণ বেশি হবে। তবে বাংলাদেশের তুলনায় কসোভোতে বসবাসের খরচ অনেক কম। তাই কম বেতনেও ভালোভাবে বাঁচতে পারবেন।

কসোভো কোন কাজের চাহিদা বেশি

বাংলাদেশ থেকে অনেকেই কাজের উদ্দেশ্যে কসোভো যেতে চান। তাদের মনে প্রশ্ন, কসোভোতে কোন কাজের চাহিদা বেশি? কসোভোতে বর্তমানে নির্মাণ ও উৎপাদনের চাকরির চাহিদা সবচেয়ে বেশি। দেশ দ্রুত উন্নয়ন করছে। তাই নতুন ভবন, রাস্তা ও অন্যান্য অবকাঠামো নির্মাণের জন্য অনেক শ্রমিকের প্রয়োজন হয়।

এছাড়া দেশে পোশাক, ইলেকট্রনিক্স ও অন্যান্য পণ্য তৈরির কারখানা রয়েছে যেখানে শ্রমিকের ব্যাপক চাহিদা রয়েছে। রেস্তোরাঁয় কাজের চাহিদাও আছে তবে তা মৌসুমে। গ্রীষ্মকালে যখন অনেক পর্যটক কসোভোতে যান, তখন রেস্টুরেন্টে কর্মীদের চাহিদা বেশি থাকে। কিন্তু শীতকালে পর্যটকের সংখ্যা কমে যাওয়ায় চাহিদা কমে যায়।

Enjoyed this article? Stay informed by joining our newsletter!

Comments

You must be logged in to post a comment.

Related Articles
Recent Articles