মাল্টা কাজের ভিসা একমাসের বেতন কত [বিস্তারিত]

মাল্টা ইউরোপীয় ইউনিয়নের একটি ছোট দেশ। যার কারণে এদেশে চাকরির সুযোগ সীমিত হতে পারে। তবে মাল্টার অর্থনীতি বাড়ছে। এখানকার জীবনযাত্রার মান উন্নত। আপনি বাংলাদেশের চেয়ে বেশি বেতনে কাজ করতে পারেন। এটি একটি শেনজেন দেশ। এদেশে অপরাধের হার কম।

এদেশে বিভিন্ন কাজের সুযোগ রয়েছে। তাই কাজের ভিসা নিয়ে এ দেশে যেতে পারেন। মাল্টা কাজের ভিসার মাসিক বেতন কত জানলে দেশ সম্পর্কে পরিষ্কার ধারণা পাওয়া যাবে। এজন্য আপনাকে এই পোস্টটি শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত পড়তে হবে। তাহলে বাংলাদেশ থেকে মাল্টায় কিভাবে যাবেন তার বিস্তারিত গাইডলাইন পাবেন।

মাল্টা কাজের ভিসা আবেদন প্রক্রিয়া

কাজের জন্য মাল্টা একটি ভালো দেশ হতে পারে। এখানে কাজ করার জন্য ভিসা লাগে। ভিসার জন্য আবেদন করার আগে আপনাকে চাকরির অফার লেটার পেতে হবে। এজন্য আপনাকে অনলাইনে চাকরি খুঁজতে হবে। নিয়োগকর্তা আপনার জন্য একটি ওয়ার্ক পারমিটের ব্যবস্থা করবেন।

ওয়ার্ক পারমিট অনুমোদিত হলে, আপনি মাল্টা কাজের ভিসার জন্য আবেদন করতে পারেন। তবে ভিসার জন্য আবেদন করার আগে কিছু প্রয়োজনীয় কাগজপত্র সংগ্রহ করতে হবে। ওয়ার্ক পারমিটের আবেদন প্রক্রিয়াটি প্রায় 4 থেকে 12 সপ্তাহ সময় নেয়। মাল্টা কাজের ভিসার আবেদন প্রক্রিয়া প্রায় 2 থেকে 5 মাস সময় নেয়।

মাল্টা কাজের ভিসা প্রক্রিয়াকরণে মোট 3 থেকে 5 মাস সময় লাগে। অনলাইন ভিসার আবেদন পূরণ করার পর আপনার সাক্ষাৎকার নেওয়া হবে। আপনার ভিসার আবেদন অনুমোদিত হলে আপনাকে ভিসা দেওয়া হবে। ভিসা সাধারণত এক বছরের জন্য বৈধ। তবে তা দুই বছরের জন্যও বাড়ানো যেতে পারে। মাল্টা কাজের ভিসা পেতে প্রয়োজনীয় কাগজপত্র:

সিভি
পাসপোর্ট সাইজের রঙিন ছবি
পাসপোর্ট
মেডিকেল সনদ
ভিসা আবেদন ফরম
শিক্ষাগত যোগ্যতার সনদ
কাজের দক্ষতার সার্টিফিকেট
ওয়ার্ক পারমিট
কাজের অভিজ্ঞতার সার্টিফিকেট

মাল্টা কাজের ভিসা একমাসের বেতন কত

মাল্টায় বেতন ইউরোপের অন্যান্য দেশের তুলনায় কম। তবে জীবনযাত্রার খরচও তুলনামূলক কম। মাল্টায় এক মাসের কাজ বর্তমানে প্রায় €835 থেকে €2,000 আয় করে। যা বাংলাদেশী টাকায় প্রায় 1,10,000 টাকা থেকে 2,70,000 টাকা হবে।

তবে মাল্টায় বেতন নির্ভর করে কাজের ধরন, যোগ্যতা, দক্ষতা ও অভিজ্ঞতার ওপর। নতুন মাল্টা কাজের ভিসার জন্য বেতন সাধারণত কম হয়। ধীরে ধীরে কাজ করে অভিজ্ঞতা ও দক্ষতা বাড়লে মাল্টার বেতন বেশি হবে। এই বেতন প্রাক ট্যাক্স. তবে ট্যাক্স কাটলে বেতন কমবে।

মাল্টার বেতন কত

ক্রমিক নম্বর কাজের নাম মাসিক বেতন (টাকায়)
1. ওয়েটার ১,১০,০০০-২,০০,০০০
2. রিসেপশনিস্ট ১,২০,০০০-২,৫০,০০০
3. প্লাম্বার ১,৫০,০০০-৩,০০,০০০
4. ক্লিনার ১,১০,০০০-১,৫০,০০০
5. ডেলিভারি ম্যান ১,৫০,০০০-৩,০০,০০০
6. গার্মেন্টস শ্রমিক ১,১৫,০০০-১,৮০,০০০
7. শেফ ১,২০,০০০-২,৫০,০০০
8. ইলেকট্রিশিয়ান ১,৫০,০০০-২,৫০,০০০
9. কনস্ট্রাকশন শ্রমিক ১,২০,০০০-২,০০,০০০
10. ড্রাইভার ১,৫০,০০০-৩,০০,০০০

মাল্টায় কোন কাজের চাহিদা বেশি

মাল্টায় চাকরির ব্যাপক চাহিদা রয়েছে। যদিও এটি বিশ্বের ক্ষুদ্রতম দেশগুলোর একটি। তবে, মাল্টায় প্রবাসীদের কাজের পরিবেশ সাধারণত ভালো। নীচে মাল্টায় চাহিদা রয়েছে এমন কিছু কাজের তালিকা রয়েছে:

  1. ক্লিনার
  2. ওয়েটার
  3. প্লাম্বার
  4. এসি টেকনিশিয়ান
  5. ইলেকট্রিশিয়ান
  6. ফুড ডেলিভারি
  7. ফুড প্যাকেজিং
  8. কারখানার কাজ
  9. কন্সট্রাকশন
  10. সুপার শপ
  11. হাউজ কিপিং

মাল্টা যেতে কত টাকা লাগে

সাধারণত বাংলাদেশ থেকে মাল্টা যেতে পারেন চারটি উপায়ে। যথা:

বেসরকারিভাবে এজেন্সির মাধ্যমে
দালালের মাধ্যমে
পরিবার, আত্মীয়-স্বজন ও পরিচিতদের মাধ্যমে
সরকারিভাবে

বর্তমানে বাংলাদেশ থেকে সরকারিভাবে মাল্টায় যেতে প্রায় ৪ থেকে ৫ লাখ টাকা লাগে। তবে বেসরকারিভাবে গেলে খরচ পড়বে আনুমানিক ৮ থেকে ১২ লাখ টাকা। দালালের মাধ্যমে গেলে খরচ বেশি বা কম হতে পারে। কিন্তু জীবনের ঝুঁকি থাকবে। এছাড়া মাল্টায় যেতে যে পরিমাণ অর্থের প্রয়োজন তা ভিসার ক্যাটাগরি এবং ভিসার মেয়াদ অনুযায়ী পরিবর্তিত হয়।

Enjoyed this article? Stay informed by joining our newsletter!

Comments

You must be logged in to post a comment.

Related Articles
Recent Articles