রেল ও বিমানে চলাচলের প্রয়োজন আজকে মানুষের নিত্যদিনের কাজ হয়ে দাড়িয়েছে। বিভিন্ন কাজে বিভিন্ন সময়ে মানুষের এক স্থান থেকে অন্য স্থানে যাওয়ার প্রয়োজন হয়ে থাকে।আর তার জন্য দূরপাল্লার যানবাহনে চলাচল করতে হয় তাদের কে।কিন্তু সব সময় প্রয়োজনীয় যানবাহনের টিকেট হাতের কাছে পাওয়া মুশকিল।
তাই কোন নির্ভরযোগ্য লোক বা প্রতিষ্ঠান থেকে সেই টিকেট বুকিং করা যায় খুব সহজেই।আমি যেই কাজের কথা বলছি তা হলো টিকেট বুকিং ব্যবসা।এই ব্যবসাতে আছে বড় নান্দনিক ধারনা ও এই ক্ষেত্রে মানুষের প্রয়োজনীয়তা দিন দিন বেড়েই চলেছে। আসুন এই পোস্টে আমরা জেনে নেই টিকেট বুকিং এর ব্যবসায় সম্পর্কে বিস্তারিত -
টিকেট বুকিং এর ব্যবসায় সাধারণত দূরপাল্লার যানবাহনের টিকেট বুকিং করা হয়।এই ব্যবসায় আমরা ট্রেন, বাস বা প্লেনের টিকেট বুকিং এর কাজ করতে পারি। আমাদের দেশে বিভিন্ন সময়ে দেখা যায় কোন একটি দল কোথাও ট্যুরে যাবে কিন্তু তারা সেখানে যাওয়ার জন্য সঠিক সময়ে তাদের টিকেট বুকিং করতে পারছে না।
তখন তাদেরকে কোন টিকেট এজেন্সি এর সাথে যোগাযোগ করতে হবে তাদের সেই প্রয়োজনীয় টিকেট সংগ্রহ করার জন্য।এই সময়ে তারা একটু বেশি মুল্যে হলেও তাদের সেই টিকেট গ্রহণ করে থাকে।
এই ব্যবসায়ে আপনার মূল কাজ হলো আপনি সেই টিকেট বুকিং করে দিবেন কোন একটি এজেন্সির এজেন্ট হয়ে।এর জন্য আপনাকে প্রথমেই কিছু এজেন্সির এজেন্ট হওয়ার জন্য তাদের সাথে চুক্তি করে নিতে হবে।এতে করে আপনার কিছু টাকা বিনিয়োগ করতে হবে।তবে এখান থেকেই আপনার ইনকাম শুরু হয়ে যাবে।তারপর আপনার বিভিন্ন ট্যুর গাইড এজেন্সি এবং বিভিন্ন সংগঠন এর সাথে যোগাযোগ ব্যবস্থা গড়ে তুলতে হবে।
কারন বিভিন্ন সংগঠন থেকে বিভিন্ন সময়ে ট্যুরে যাওয়া হয় এবং ট্যুর গাইড দের সাথে যোগাযোগ রাখলেও অনেক কাস্টমার পাওয়া যায়।
তারপর বিভিন্ন এন জি ও আর অফিসিয়াল সাইটের সাথে ও আপনার যোগাযোগ করতে হবে। কারন অফিসের স্টাফ দের কে অফিসিয়াল কাজে নানা সময় নানা জায়গায় যেতে হয়।তারা বিভিন্ন শহরে কিংবা বিভিন্ন দেশেও গিয়ে থাকে।আপনি তাদের সাথে যোগাযোগ রাখলে তাদের স্টাফ দের প্রয়োজনীয় টিকেট বুকিং করে দিতে পারেন।
আপনাকে এই ব্যবসায়ে সফল হতে হলে বা আপনি যদি এখান থেকে বড় পরিমান ইনকাম করতে চান তাহলে আপনাকে অবশ্যই গ্রাহকদের প্রয়োজনীয় টিকেট বুকিং করে দিতে হবে খুবই তাড়াতাড়ি।
যদি কোন গ্রাহক আপনার কাছে তাদের প্রয়োজনীয় টিকেট বুকিং করে নিতে চায় এবং আপনি যদি তা সঠিক সময়ে বুকিং করে দিতে না পারেন তাহলে আপনার কাস্টমার নষ্ট হবে।আপনার প্রতি মানুষের মনোভাব ভিন্ন হয়ে যাবে।তাতে করে আপনি এই ব্যবসায় থেকে ভালো ইনকাম করতে পারবেন না।তাই আপনাকে এই বিষয়ে আগে থেকেই সতর্ক থাকতে হবে।
আশা করি,যারা এই ব্যবসায়ের প্রতি আগ্রহ পোষণ করছেন তারা এখান থেকে ভালো একটা ধারণা নিয়ে আপনাদের নিজেদের ব্যবসায় শুরু করতে পারেন খুব অল্প পুজিতেই।এখান থেকে সকলেই ভালো ইনকাম করতে পারবেন অল্প পরিশ্রমেও।
ট্রাভেল আর ট্যুরিজম ব্যবসার গাইডলাইন
ট্রাভেল আর ট্যুরিজম এর ব্যবসায় সব খানেই ইনকামের একটি বিশ্বাসযোগ্য দিক।অল্প ব্যয় বা কোন ব্যয় ছাড়াই ইনকাম করা যায় অফুরন্ত।
ট্রাভেল এজেন্সির কাজে আছে সুখ,তৃপ্তি আর সাচ্ছন্দ্য।
ভোজনরসিক হওয়ার পাশাপাশি বাঙালি ভ্রমণপিপাসুও বটে, ফলে মানুষকে বেড়াতে নিয়ে যাওয়া কম খরচে লাভের ব্যবসা।
অল্প টাকায় ব্যবসার কথা ভাবলে এটিই হতে পারে আপনার জন্য সবথেকে সহজ উপায়। এই ব্যবসা শুরু করতে বিনিয়োগ বিশেষ লাগে না, লাগে শ্রম, অধ্যাবসায়, আর বেড়ানোর প্যাশন। টিকিট কাটা, হোটেল বুকিং, বেড়ানোর পরিকল্পনা তৈরি ইত্যাদি ঝক্কি এড়াতে অনেকই ভরসা করেন বিভিন্ন এজেন্সির ওপর। সন্তোষজনক অভিজ্ঞতা হলে তাঁরাই ফিরে ফিরে আসেন প্রতিবছর।
এই ব্যবসা শুরু করতে প্রথমেই ঠিক করে নিতে হবে বেড়ানোর জায়গা। কীধরণের জায়গায় নিয়ে যেতে চান, কোন ধরণের হোটেলে রাখবেন পরিকল্পনা করে নিতে হবে গোটাটা। বিভিন্ন সামাজিক অর্থনৈতিক অবস্থার মানুষের চাহিদা বিভিন্নরকম, আপনি কাদের পরিষেবা দিতে চান ঠিক করে নিতে হবে সেই বিষয়।
এই ব্যবসায় বিনা বিনিয়োগে আয় করা সম্ভব। নতুন নতুন জায়গা খুঁজে বের করলে ব্যবসা বাড়ার সম্ভাবনা বেশি, পাশাপাশিই জনপ্রিয় ট্যুরিস্ট স্পটগুলোকেও রাখতে পারেন তালিকায়। সেইসব জায়গাগুলোর হোটেলের সঙ্গে কথা বলে ঠিক করে নিন কত শতাংশ ছাড় বা এজেন্ট কমিশন দিতে প্রস্তুত তারা।
পাশাপাশিই বেড়াতে নিয়ে গিয়ে খাওয়ানোর ব্যবস্থা কী করবেন সেই নিয়েও ভাবনাচিন্তা করুন। হোটেলের খাবার না নিয়ে নিজেরা খাবার ব্যবস্থা করলে লাভ বেশি হবে। সেইমতো জোগাড়যন্ত্র করে এগোন।
ধন্যবাদ সবাইকে।
You must be logged in to post a comment.