খামারী হতে বেছে নিন কাদাকনাথ মুরগি | খামারীদের সোনার হরিন,জেনে নিন বিস্তারিত।

আপনি যদি একজন সৌখিন খামারী হতে চান।তাহলে পোস্ট টি সম্পুর্ন পরুন।

খামার একটি উন্নয়নশীল শিল্প।খামার ব্যবসায়ে খামারীদের জন্য ভালোবাসাময় প্রানী যেনো কাদাকনাথ মুরগি। এর ব্যবসায়ে লাভের হার অনেক।চলুন এই পোস্টে জেনে নেই কিভাবে কাদাকনাথ মুরগির খামার করতে পারি-

কাদাকনাথ মুরগি:

ভারতের মধ্যপ্রদেশের পূর্বাঞ্চলীয় জেলা ঝাবুয়া  এবং ধার  এ জাতের উৎপত্তি স্থল। সেখানে এদেরকে  ‘কালি মাসি ‘ বলে।

এদের মাংসে আমিষ  বেশি কিন্তু  চর্বি কম  । তাই  মাংসের চাহিদা অনেক বেশি।

 প্রজাতিঃগ্যালাস  গ্যালাস ডোমেস্টিকাস

বছরে এরা ১২০ – ১৩০ টি ডিম দেয়।

১৭-১৮  সপ্তাহে ওজন ১.৫ -২কেজি  হয়।

ডিম ছাড়া সব কিছু কালো।

যে কোন পরিবেশে পালন করা  যায় ।

মাংস মানে ও গুণে অন্যান্য পাখির মাংস থেকে  ভাল, রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বেশি।

মাংসের  স্বাদ ও গন্ধ   অন্য পাখি থেকে ভাল।

এই মুরগির মাংস শুধু স্বাদের জন্যই না মেডিসিনাল  গুণ ও আছে।

এদের বাচ্চার মৃত্যুহার ১০-১৫% হয়।

পুস্টিগুণ: 

ডিম বয়স্কদের জন্য ভালো।  যাদের উচ্চ রক্তচাপ আছে।

১। এদের  মাংসে  কোলেস্টরেল  ০.৭৩ – ১.০৫% যা  অন্য পাখিতে ১৩ – ২৫%।

২। এদের  ১৮ টি এমাইনো এসিড আছে। যার মধ্যে ৮ টি  মানুষের জন্য খুব দরকায়।

কাদাকনাথ মুরগির মাংসে প্রোটিন ২৫ % । অন্য পাখিতে  ১৮ – ২০% ।

লিনোনেয়িক এসিড ২৪ আর অন্য মুরগিতে ২১%

৩।মাথা ব্যথা ও কিডনি রোগের জন্য ব্যবহার করা হয়।

৪। কাদাকনাথ মুরগির মাংসে ভিটামিন বি১,বি২,বি৬,বি১২,ভিটামিন-সি,ভিটামিন-ই ,নিয়াসিন ,ক্যালসিয়াম,ফসফরাস,আয়রন,নিকোটিনিক এসিড ইত্যাদি পর্যাপ্ত পরিমাণে রয়েছে।.

৫।মধ্যপ্রদেশের উপজাতি মুরগির রক্ত  ক্রোনিক রোগের চিকিৎসায় ব্যবহার করে এবং  হার্টে রক্ত প্রবাহ বৃদ্ধিতে ব্যবহার করে।
৬।কাদাকনাথ মুরগির মাংস মহিলাদের ক্ষেত্রে ম্যানোরেক্সিয়া ,বন্ধ্যাত্ত ও গর্ভপাত দূর করতে কাজে লাগে।

৭।হোমিওপ্যাথি চিকিৎসা ও স্নায়ু ত ন্ত্রের  চিকিৎসায়  কাদাকনাথ মুরগির মাংস ব্যবহা,র করা হয়।

মাংস ১৫০০টাকা কেজি

ডিম  ১৫০-২০০টাকা পিস

১ মাস বয়সী ১জোড়া কাদাকনাথ বাচ্চার দাম ১৫০০টাকা

১দিন বয়সী বাচ্চার দাম ৩৫০টাকা

ডিম পাড়া ১টি মুরগির দাম ৪০০০টাকা

৭-৮ মাসে ২কেজি ওজনের কাদাকনাথের দাম ২৫০০টাকা

কড়কনাথ মুরগি নামের এক প্রজাতির মুরগির পালক থেকে শুরু করে হাড়-মাংস সবই কালো। রক্ত যদিও লাল তবে তাতে আছে কালচে আভা। কেবল ডিমের রঙই সাদা। বাংলাদেশের অনেক জায়গায় এই মুরগিকে কাদাকনাথ মুরগি বলেও ডাকা হয়।

কড়কনাথ মুরগির বিশেষত্ব: 

এই মুরগির মাংসের প্রতি কেজির দাম হাজার টাকা। একজোড়া ডিম কিনতে লাগবে ৫০টাকার বেশি। কেন এত দাম এই প্রজাতির মুরগির ডিম আর মাংসের? কারণ, এই মুরগিতেই অসুখ থেকে মুক্তির জাদু দেখছেন বিশেষজ্ঞরা।

রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ থেকে শুরু করে রক্তের শর্করা নিয়ন্ত্রণ, পেশী শক্তি বৃদ্ধি থেকে শুরু করে ক্যানসার প্রতিরোধেও এটি বিশেষ ভূমিকা পালন করে বলে ধারণা চিকিৎসকদের।

এই মুরগিতে রয়েছে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট ও প্রচুর পরিমাণ আয়রন। কালো। খাদ্য তালিকায় এর মাংস সুস্বাদু, ওষুধি গুণসম্পন্ন ও দামি। এ মুরগির মাংসে রয়েছে মাত্র ১.৯৪ শতাংশ ফ্যাট; কিন্তু প্রোটিনের মাত্রা অন্য সব মুরগির মাংস থেকে কয়েক গুণ বেশি।

এ জাতের মুরগির আদি নিবাস ইন্দোনেশিয়ার জাভা দ্বীপ। সেখানে এটাকে বলা হয় ‘আয়্যাম কেমানি’। ভারতের মধ্য প্রদেশে কাদাকনাথ ‘কালোমাসি’ বা ‘কড়কনাথ’ নামে পরিচিত। এর ডিম ও বাচ্চা বিক্রি করেও বেশি লাভবান হওয়া যায়।

কড়কনাথের জাত: কড়কনাথ মুরগির তিনটি প্রজাতি রয়েছে। জাত ৩টি হলো- জ্যাড ব্ল্যাক, পেনসিল্ড এবং গোল্ডেন কড়কনাথ। জেড ব্ল্যাকের ডানা পুরোপুরি কালো, পেন্সিল কড়কনাথের আকার পেন্সিলের মতো। গোল্ডেন কড়কনাথের ডানাগুলিতে সোনালি বর্ণের দাগ রয়েছে।

কড়কনাথ মুরগী পালন পদ্ধতি: কড়কনাথ মুরগী পালন করে আপনি যথেষ্ট পরিমাণে আয় করতে পারেন। যদি আপনি ১০০ টি বাচ্চা নিয়ে ফার্ম শুরু করেন, তবে এর জন্য আপনার ১৫০ বর্গফুট জায়গা প্রয়োজন পড়বে। তবে বড় করে করতে হলে অর্থাৎ ১০০০ টি কালো মুরগির পালনের জন্য ১৫০০ বর্গফুট জায়গা প্রয়োজন হবে। মনে রাখবেন, পোলট্রি ফার্ম গ্রাম বা শহরের বাইরে এমন একটি জায়গায় হওয়া উচিত, যেখানে পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি এবং বিদ্যুৎ রয়েছে।

কড়কনাথ মুরগি এবং মুরগির জন্য একটি শেড তৈরি করা উচিত, যাতে পর্যাপ্ত আলো এবং বাতাস যেতে পারে। এর সাথে, খেয়াল রাখতে হবে, দুটি শেড একসঙ্গে যেন না হয় এবং একটি শেডে একটি প্রজাতির বাচ্চাই পালন করা উচিত। মনে রাখবেন, মুরগি এবং মুরগির ছানাকে গভীর রাতে খাবার দেওয়া উচিত নয়।

বাংলাদেশে নরসিংদী, রাজশাহীতে কিছু কিছু খামারে এই মুরগির চাষ হচ্ছে এবং কাদাকনাথ মুরগির ডিম ও বাচ্চা পাওয়া যাচ্ছে।তাই,হাতের কাছের এই ব্যবসায় সকলেই আত্ননিয়োগ করতে পারেন।এতে নিজেদের ও বেকারত্ব দূর হবে এবং অন্যকেও কাজের সুযোগ করে দিতে পারবেন।ধন্যবাদ সবাইকে।

তাই,হাতের কাছের এই ব্যবসায় সকলেই আত্ননিয়োগ করতে পারেন।এতে নিজেদের ও বেকারত্ব দূর হবে এবং অন্যকেও কাজের সুযোগ করে দিতে পারবেন।

ধন্যবাদ সবাইকে।

 

Enjoyed this article? Stay informed by joining our newsletter!

Comments

You must be logged in to post a comment.

Related Articles
Recent Articles