হোস্টিং কি? কেন হোস্টিং ব্যবহার করবেন? আপনি যদি হোস্টিং সম্পর্কে কিছু জানতে চান। তারপর আপনি সঠিক জায়গায় এসেছেন। কারণ আজকের আর্টিকেলে আমি ধাপে ধাপে হোস্টিং সংক্রান্ত সকল বিষয় নিয়ে আলোচনা করব।
আপনি যদি একটি ওয়েবসাইট তৈরি করার কথা ভাবছেন তবে এটি পরীক্ষা করে দেখুন। তাই প্রথমে আপনাকে একটি ডোমেইন কিনতে হবে। তারপর আপনাকে হোস্টিং কিনতে হবে এবং হোস্টিংটিকে ডোমেনের সাথে সংযুক্ত করতে হবে।
তারপর আপনি একটি ওয়েবসাইট তৈরি করতে পারেন। যাইহোক, এমন কিছু প্ল্যাটফর্ম রয়েছে যেখানে আপনি হোস্টিং না কিনে শুধুমাত্র একটি ডোমেন কিনে একটি ব্লগ বা ওয়েবসাইট তৈরি করতে পারেন। তো চলুন এবার জেনে নেই হোস্টিং সম্পর্কে বিস্তারিত।
ওয়েব হোস্টিং কি ?
সাধারণভাবে বলতে গেলে, আপনি যখন একটি ওয়েবসাইট তৈরি করেন। সেই ওয়েবসাইটের সমস্ত তথ্য যেমন: ফাইল, অডিও, ভিডিও, ফটো ইত্যাদি সংরক্ষণ করার জায়গাকে হোস্টিং বলে। ওয়েব সিস্টেম মূলত মেমরি অর্থাৎ অনলাইন মেমরি হিসেবে কাজ করে।
যদি কোনো কারণে এই তথ্যটি আপনার ওয়েবসাইট থেকে হারিয়ে যায় বা মুছে ফেলা হয়। তারপর আপনি আবার হোস্টিং থেকে সেই ডেটা পুনরুদ্ধার করতে পারেন। তবে ব্যাপারটা আরেকটু ক্লিয়ার করলে বুঝতে সুবিধা হবে।
দেখুন হোস্টিং হল এক ধরনের বিশেষ কম্পিউটার। তাই এই কম্পিউটার সবসময় ইন্টারনেট সংযোগের সাথে সংযুক্ত থাকে। মজার ব্যাপার হল, এই কম্পিউটার চিরকাল চালু থাকে। তাহলে এখন প্রশ্ন হল, এই কম্পিউটার কি?
এই কম্পিউটারে রয়েছে বিশাল স্টোরেজ এবং কিছু উন্নত বৈশিষ্ট্য। যার মাধ্যমে ওয়েবসাইট হোস্ট করা সম্ভব। এখন আপনি আপনার ওয়েবসাইট হোস্ট করতে চান.
তারপর আপনাকে এই বিশেষ কম্পিউটার থেকে কিছু পরিমাণ স্টোরেজ কিনতে হবে। স্টোরেজের পরিমাণ আপনি কিনছেন। আপনি সেই স্টোরেজে আপনার ওয়েবসাইটের সমস্ত তথ্য সংরক্ষণ করতে পারেন।
আর এই স্টোরেজের মাধ্যমে আপনি আপনার ওয়েবসাইট সচল রাখতে পারেন। এখন প্রশ্ন হল, হোস্টিং কি শুধুমাত্র একটি ওয়েবসাইটের তথ্য সংরক্ষণ করে? - না, হোস্টিং তথ্য সঞ্চয় করার পাশাপাশি আপনার ওয়েবসাইট চালু রাখতে সাহায্য করে।
হোস্টিং কেন প্রয়োজন ?
আপনার যদি একটি ওয়েবসাইট থাকে। তাহলে আপনাকে অবশ্যই হোস্টিং ব্যবহার করতে হবে। কারণ যখন কেউ আপনার ওয়েবসাইটে প্রবেশ করে। তারপর আপনার ওয়েবসাইট হোস্টিং এর মাধ্যমে প্রথমে লোড হবে।
তাহলে যেকোনো ভিজিটর আপনার ওয়েবসাইট অ্যাক্সেস করতে পারবে। আমার দৃষ্টিকোণ থেকে হোস্টিং প্রধানত 3 টি কারণে ব্যবহৃত হয়। যথা:
- সিকিউরিটি
- স্টোরেজ
- একটিভ পারপাস
আমার স্বল্প জ্ঞান অনুযায়ী এই তিনটি কারণে হোস্টিং ব্যবহার করা হয়। এবার জেনে নেওয়া যাক এই কারণগুলো সম্পর্কে বিস্তারিত।
(Security) সিকিউরিটি কি?
অনলাইনে কাজ করার সময় কী নিরাপত্তা সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ তা দেখুন। আপনার ওয়েবসাইটে প্রয়োজনীয় তথ্য থাকবে। সেই ডেটা সংরক্ষণ করার পাশাপাশি, হোস্টিং সেই ডেটার নিরাপত্তাও প্রদান করবে।
(Storage) স্টোরেজ কি
হোস্টিং ব্যবহার করার প্রধান কারণ হল স্টোরেজ। কারণ আপনার ওয়েবসাইটের তথ্য কোথায় সংরক্ষণ করবেন। যে স্টোরেজ স্পেস আসলে কত বড় হবে?
এটি একমা হোস্টিং দ্বারা নির্ধারণ করা যেতে পারে। এবং আপনি আপনার চাহিদা অনুযায়ী এই স্টোরেজ বাড়াতে পারেন।
(Active Purpose) একটিভ পারপাস
হোস্টিং একটি ওয়েবসাইটকে সচল রাখতে এবং সচল রাখতে একটি মূল ভূমিকা পালন করে। এর মানে, একজন ব্যক্তি যখনই তাদের প্রয়োজন অনুযায়ী আপনার ওয়েবসাইট অ্যাক্সেস করতে পারে। আর হোস্টিং মূলত এই সুবিধা প্রদান করে।
মনে রাখবেন, হোস্টিং সার্ভার হল একটি বিশেষ ধরনের কম্পিউটার। যা সবসময় ইন্টারনেটের সাথে সংযুক্ত থাকে। এবং সেই নির্দিষ্ট কম্পিউটার সবসময় চালু থাকে।
হোস্টিং কি এবং কেন হোস্টিং ব্যবহার করা হয়। আশা করি এই সংক্ষিপ্ত আলোচনার মাধ্যমে বুঝতে পেরেছেন।
ওয়েব হোস্টিং কত প্রকার?
ব্যবহারগত দিক থেকে হোস্টিং ২ প্রকারের হয়ে থাকে। যথা,
- পেইড হোস্টিং এবং
- ফ্রি হোস্টিং
আপনি চাইলে উপরে উল্লেখিত যেকোনো হোস্টিং ব্যবহার করতে পারেন। কিন্তু এই 2 ধরনের হোস্টিং এর কিছু পার্থক্য আছে। যা আপনার জানা উচিত।
(Free Hosting) ফ্রি হোস্টিং কি?
আজকাল এরকম অনেক ওয়েবসাইট আছে। যারা আপনাকে সম্পূর্ণ ফ্রি হোস্টিং সুবিধা দিতে প্রস্তুত। আপনি ওয়েবসাইট বা অনুশীলন সম্পর্কে জানতে চান.
তাহলে আপনি এই ফ্রি হোস্টিং ব্যবহার করতে পারেন। যাইহোক, এই ধরনের হোস্টিং ব্যবহার করার সময় আপনি বেশ কিছু অসুবিধা লক্ষ্য করতে পারেন। উদাহরণ স্বরূপ,
- বেশিরভাগ ফ্রি হোস্টিং প্রভাইডার Custom Domain যুক্ত করতে দেয়না।
- লিমিটেড ব্যান্ডউইথ
- লিমিটেড ইমেইল একাউন্ট
- নরমার সিকিউরিটি
- লোডিং স্পিডের সমস্যা
- সবচেয়ে বড় সমস্যা হলো,Free Hosting এ কোনো প্রকার Backup system নেই।তাই ভুলবশত আপনার ওয়েবসাইটের কোনো গুরুত্বপূর্ণ তথ্য মুছে গেলে।তা কোনোভাবে আর ফিরিয়ে আনতে পারবেন না।
- যেহুতু আপনি সেই হোস্টিং ব্যবহার করার জন্য কোনো টাকা দিবেন না। সেহুতু তারা আপনাকে কোনো প্রকার Support প্রদান করবে না।
- এছাড়াও ফ্রি হোস্টিং এ সিকিউরিটি খুব দুর্বল হয়ে থাকে। যার কারনে যেকোনো সময় আপনার ওয়েবসাইট হ্যাক হওয়ার সম্ভাবনা অনেক বেশি থাকে।
এছাড়াও আরও অনেক সমস্যার সম্মুখীন হতে হয়। তাই আপনি যদি প্রফেশনাল ওয়েবসাইট নিয়ে কাজ করতে চান তাহলে ফ্রি হোস্টিং ব্যবহার করা থেকে বিরত থাকার চেষ্টা করুন।
তবে আপনি যদি শিখতে চান তবে আপনি এই ধরণের হোস্টিং ব্যবহার করে অনুশীলন করতে পারেন। এতক্ষণে আপনি জেনে গেছেন ফ্রি হোস্টিং কি এবং ফ্রি হোস্টিং এর কিছু অসুবিধা। এখন আমরা জানবো ফ্রি হোস্টিং এর কিছু সুবিধা সম্পর্কে।
ফ্রি হোস্টিং এর সুবিধা
অসুবিধার পাশাপাশি ফ্রি হোস্টিংয়ের বেশ কিছু সুবিধা রয়েছে। উদাহরণ স্বরূপ,
- আপনি খুব সহজেই বিজনেস Email Account তৈরি করতে পারবেন।
- ওয়েবসাইট অনুযায়ী বিভিন্ন ধরনের ডিস্ক স্পেস পাবেন।
- খুব সহজেই আপনার ওয়েবসাইটকে Host করতে পারবেন।
- হোস্টিং নেয়ার জন্য কোনো প্রকার টাকা দিতে হবে না।
এছাড়াও ফ্রি হোস্টিং এর বেশ কিছু সুবিধা ও অসুবিধা রয়েছে। যখন আপনি এটি ব্যবহার করবেন, আপনি নিজেই বুঝতে পারবেন। এখন আমরা কিছু ওয়েবসাইট সম্পর্কে জানবো যেগুলো ফ্রি হোস্টিং প্রদান করে।
ফ্রি হোস্টিং এর ওয়েবসাইট
বর্তমানে, অনেক ওয়েবসাইট আছে যেগুলি বিনামূল্যে হোস্টিং প্রদান করে। এর মধ্যে কিছু ওয়েবসাইট আছে, যাদের হোস্টিং সার্ভিস একটু ভালো। আমি আপনার সুবিধার জন্য সেই ওয়েবসাইটগুলির একটি তালিকাভুক্ত করেছি। উদাহরণ স্বরূপ,
- Googiehost
- AtSpace
- ProFreeHost
- 000WebHost
- FreeWebHostingArea
এগুলো ছাড়াও আরও বেশ কিছু ফ্রি হোস্টিং ওয়েবসাইট রয়েছে। একটু সার্চ করলেই সেসব ওয়েবসাইট সম্পর্কে জানতে পারবেন। শুধু মনে রাখবেন আপনার পেশাদার কাজের জন্য এই হোস্টিং ব্যবহার করবেন না,
(Paid Hosting) পেইড হোস্টিং কি ?
আপনি যখন অর্থের জন্য হোস্টিং ব্যবহার করেন। সেই হোস্টিংকে পেইড বা প্রিমিয়াম হোস্টিং বলা হয়। এই পেইড হোস্টিং আবার ৬ (ছয়) ভাগে বিভক্ত। উদাহরণ স্বরূপ,
- ক্লাউড হোস্টিং (Cloud Hosting)
- ভিপিএস হোস্টিং (VPS Hosting)
- ডেডিকেটেড হোস্টিং (Dedicated Hosting)
- শেয়ারড হোস্টিং (Shared Hosting)
- ওয়ার্ডপ্রেস হোস্টিং (WordPress Hosting)
- রিসেলার হোস্টিং (Reseller Hosting)
বিশ্বে সব ধরনের প্রিমিয়াম হোস্টিং রয়েছে। তারা প্রধানত এই চারটি শ্রেণীতে বিভক্ত। এবার আসুন এই চার ধরনের হোস্টিং সম্পর্কে বিস্তারিত জেনে নেই।
(Cloud Hosting) ক্লাউড হোস্টিং কি?
যে সময় আপনার ওয়েবসাইট আর লোড হচ্ছে না আপনার সাইটের ভিজিটর বাড়ানোর জন্য। সেই সময় আপনার ক্লাউড হোস্টিং নেওয়া উচিত।
ক্লাউড হোস্টিং অন্য সব হোস্টিং থেকে দ্রুত কাজ করবে। কারণ ওয়েবসাইটের সকল ফাইল ক্লাউডে অর্থাৎ ইন্টারনেটে সংরক্ষিত থাকবে। যেমন আমরা গুগল ড্রাইভে ফাইল রাখি। এটির দাম ন্যায্য নয় কারণ আপনি গাড়ি চালানোর সময় আপনাকে বিল করা হবে।
(VPS Hosting) ভিপিএস হোস্টিং কি?
VPS হোস্টিং শেয়ার্ড হোস্টিং থেকে কিছুটা আলাদা। VPS এর সমতুল্য ভার্চুয়াল প্রাইভেট সার্ভার। আমি নিবন্ধের শুরুতে একটি পয়েন্ট তৈরি করেছি।
হোস্টিং হল এক ধরনের বিশেষ কম্পিউটার। যেখানে আপনার ওয়েবসাইটের সকল তথ্য সংরক্ষিত থাকে। যখন এই বিশেষ কম্পিউটারকে বিভিন্ন সার্ভারে ভাগ করা হয়।
প্রতিটি ভাগ করা সার্ভার একটি VPS (VPS)। এবং আপনি যখন এই VPS সার্ভারের অধীনে কোন হোস্টিং প্ল্যান কিনবেন। তারপর সেই পরিকল্পনাটিকে VPS হোস্টিং বলা হয়।
যাইহোক, ভিপিএস হোস্টিং সাধারণত শেয়ার্ড হোস্টিং থেকে কিছুটা আলাদা। শেয়ার্ড হোস্টিং-এ, একাধিক ওয়েবসাইট একটি সার্ভারে হোস্ট করা হয়।
অন্যদিকে, ভিপিএস হোস্টিং ব্যবহার করে, আপনাকে আলাদাভাবে সবকিছু দেওয়া হবে। যেমন আপনার জন্য পার্সোনাল সিপিইউ দেওয়া হবে, আলাদা রাম দেওয়া হবে এবং হার্ড ডিস্কও আলাদা থাকবে।
এর ফলে আপনার ওয়েবসাইটে কোনো নিরাপত্তা সমস্যা থাকবে না। আর সাইটের লোডিং স্পিড হবে স্ট্যান্ডার্ড। তাই শেয়ার করা হোস্টিংকে খারাপ ভাববেন না। না, শেয়ার্ড হোস্টিং ভাল, তবে ভিপিএস হোস্টিং তার চেয়ে ভাল।
আশা করি আপনি বুঝতে পেরেছেন VPS হোস্টিং কি। এখন আমরা এই হোস্টিং প্ল্যানের কিছু সুবিধা এবং অসুবিধা সম্পর্কে জানব।
কিন্তু এর বিল প্রতি মাসে পরিশোধ করতে হবে। এর দাম প্রায় 4000-6000 টাকা।
ভিপিএস হোস্টিং এর সুবিধা
আপনি যখন আপনার যেকোনো ওয়েবসাইটের জন্য এই হোস্টিং ব্যবহার করেন। তাহলে আপনি বেশ কিছু সুবিধা উপভোগ করতে পারবেন। উদাহরণ স্বরূপ,
- দেখুন শেয়ারড হোস্টিং এ একটা সমস্যা হয় যে, আপনার ওয়েবসাইটের লোডিং স্পিড একটু কম থাকে। কিন্তুু যদি আপনি ভিপিএস হোস্টিং ব্যবহার করেন।
- ভিপিএস হোস্টিং এর সবচেয়ে বড় সুবিধা হলো,আপনার ওয়েবসাইট এর জন্য পারসোনালি একটি কম্পিউটার বরাদ্দ থাকবে।
- যেখানে শুধুমাএ আপনি একজন সেই কম্পিউটারের Ram, CPU, Hard Disk ব্যবহারের সুবিধা ভোগ করতে পারবেন।
- আরেকটি বড় সুবিধা হলো, সিকিউরিটি ইস্যু। যেহুতু আপনার জন্য পারসোনালি Hard Disk থাকবে।
- তাহলে সাইটের লোডিং স্পিড নিয়ে তেমন একটা ভাবতে হবে না। অর্থ্যাৎ আপনার ওয়েবসাইটে যথেষ্ট পরিমান লোডিং স্পিড থাকবে।
- সেহুতু সেই Hard Disk এ শুধুমাত্র আপনার ওয়েবসাইট এর ডাটা গুলো জমা থাকবে। এর ফলে আপনার ওয়েবসাইট এর কোনো প্রকার সিকিউরিটি ইস্যুর ভয় থাকবে না।
এছাড়াও আপনি আরও বেশ কিছু সুবিধা উপভোগ করতে পারেন। আপনি যখন এই হোস্টিং ব্যবহার করেন। তাহলে নিজেই বুঝতে পারবেন।
তাই এই VPS হোস্টিং এর সুবিধার পাশাপাশি বেশ কিছু অসুবিধাও রয়েছে। সবার এই অসুবিধা হবে না।
আমি এই বিষগুলি অসুবিধাজনক বলে মনে করি। তাই আমি তাদের এখানে উল্লেখ করেছি।
ভিপিএস হোস্টিং এর অসুবিধা
- এক্ষেত্রে যারা নতুন ওয়েবসাইট তৈরি করবেন কিংবা যারা স্টুডেন্ট। তাদের পক্ষে এই হোস্টিং ব্যবহার করা রিতীমতো বিলাসিতা ছাড়া কিছুই নয়।
- যদি আপনি ডেডিকেটেড হোস্টিং ব্যবহার করে থাকেন। তাহলে আপনার জানা থাকবে যে, এই হোস্টিং প্ল্যানে আপনাকে একটি কম্পিউটার এর পুরোটাই আপনার পারসোনালি সার্ভারের জন্য বরাদ্দ থাকবে।
- দেখুন শেয়ারড হোস্টিং এর দাম অনুযায়ী, ভিপিএস হোস্টিং এর মূল্য আমার কাছে একটু বেশি মনে হয়েছে।
- সেদিক থেকে যদি বিবেচনা করি, তাহলে হোস্টিং এর মূল্য অনুযায়ী ডেডিকেটেড হোস্টিং এর মতো ভিপিএস হোস্টিং এ সেরকম সুযোগ সুবিধা দেয়া উচিত ছিলো। যা আমার কাছে মনে হয়েছে।
আশা করি এই সংক্ষিপ্ত আলোচনায়, আপনি VPS হোস্টিং কি এবং এর সুবিধা এবং অসুবিধা বুঝতে পেরেছেন। এখন আমরা জানবো কেন আপনার ভিপিএস হোস্টিং ব্যবহার করা উচিত।
কেন ভিপিএস হোস্টিং ব্যবহার করবেন?
আপনি যখন আপনার ওয়েবসাইটে প্রচুর ভিজিটর পাবেন। এবং আপনি সেই ওয়েবসাইট থেকে একটি ন্যায্য স্তরের আয় তৈরি করতে পারেন।
তারপর আপনি VPS হোস্টিং এ আপনার ওয়েবসাইট হোস্ট করতে পারেন। অথবা আপনি স্ক্র্যাচ থেকে পেশাগতভাবে আপনার ওয়েবসাইটে কাজ করতে চান.
আপনি এখনও এই হোস্টিং ব্যবহার করতে পারেন. তবে আমি সুপারিশ করব, যারা একেবারে নতুন তাদের শেয়ারড হোস্টিং ব্যবহার করুন।
(Dedicated Hosting) ডেডিকেটেড হোস্টিং কি?
আপনি যখন আপনার ব্যক্তিগত সার্ভার হিসাবে একটি হোস্টিং কোম্পানির সম্পূর্ণ কম্পিউটার ব্যবহার করেন। তখন তাকে ডেডিকেটেড হোস্টিং বলা হবে।
এই হোস্টিং প্ল্যানের সবচেয়ে ভালো সুবিধা হল। আপনি একটি সম্পূর্ণ সার্ভার নিজের কাছে নিতে পারেন। এই ডেডিকেটেড হোস্টিং এর দাম অনেক বেশী।
আমাদের দেশে ডেডিকেটেড হোস্টিংয়ের জন্য প্রতি মাসে 15000-25000 টাকা দিতে হয়।
ডেডিকেটেড হোস্টিং এর সুবিধা
যদি আপনি এই হোস্টিং প্ল্যান ব্যবহার করে থাকেন। তাহলে আপনি অনেক রকমের সুবিধা ভোগ করতে পারবেন। যেমন,
- এই হোস্টিং প্ল্যানে আপনার চুল পরিমান সিকিউরিটি ইস্যু থাকবে না। কারন এই পুরো Server টিকে আপনি একাই পরিচালনা করবেন।
- যেহুতু পুরো একটি সার্ভার আপনার নিজের দখলে থাকবে।
- সেদিক থেকে বলা যায়, আপনার ভুলের কারনে যদি কোনো ক্ষতি না হয়। তাহলে ডেডিকেটেড হোস্টিংয়েও কোনো প্রকার সিকিউরিটি ইস্যু খুজে পাবেন না।
আর এই হোস্টিং এর কোন সমস্যা নেই। তবে সুবিধা অনুযায়ী দাম একটু বেশি। কিন্তু আপনাকে মেনে নিতে হবে। অন্য কোন উপায় নেই।
(Shared Hosting) শেয়ারড হোস্টিং কি?
যখন একটি হোস্টিং সার্ভার বিভিন্ন ব্যক্তি দ্বারা কেনা এবং ব্যবহার করা হয় তখন একে বলা হয় শেয়ার্ড হোস্টিং। অর্থাৎ এই পদ্ধতিতে একই সার্ভারে বিভিন্ন ওয়েবসাইট হোস্ট করা হয়।
ধরুন, আপনি একটি নতুন ওয়েবসাইট তৈরি করেছেন। সেই ওয়েবসাইট খুব কম ভিজিটর পায়। এখন 1 জিবি বা 2 জিবি হোস্টিং আপনার জন্য যথেষ্ট। সেক্ষেত্রে আপনি শেয়ার্ড হোস্টিং ব্যবহার করতে পারেন।
তবে শেয়ার্ড হোস্টিং ব্যবহারের বেশ কিছু সুবিধা ও অসুবিধা রয়েছে। এবার চলুন বিস্তারিত জেনে নেওয়া যাক।
শেয়ারড হোস্টিং এর সুবিধা কি কি?
- ফুল কন্ট্রোল পাবেন।
- SSL এর সুবিধা পাবেন।
- যেহুতু অনেকজন মিলে একটি হোস্টিং সার্ভার কিনবেন। সেহেতু আপনাকে খুব কম টাকা ব্যয় করতে হবে।
- শেয়ারড হোস্টিং এ আপনি আপনার ওয়েবসাইটের জন্য সাবডোমেইন যুক্ত করতে পারবেন।
- আপনার ওয়েবসাইটের জন্য প্রয়োজনীয় বিজনেস ইমেল Create করতে পারবেন।
- দেখুন প্রত্যেকটি পেইড হোস্টিং এ কন্ট্রোল প্যানেলের সুবিধা দিয়ে থাকে। তাই আপনি শেয়ারড হোস্টিং এ C-panel
শেয়ারড হোস্টিং এর অসুবিধা কি?
- শেয়ার্ড হোস্টিংয়ের মাঝে মাখে Site Down হতে পারে। এর মূল কারন হলো, একটিমাত্র Hosting Server এ একাধিক ওয়েবসাইট কে হোষ্ট করা হয়ে থাকে।
- সবচেয়ে বড় ইস্যু হলো, Loading Speed. যেহুতু একটি সার্ভারে একাধিক ওয়েবসাইট হোস্ট করা থাকে। সেহুতু আপনার ওয়েবসাইট এর লোডিং স্পিড কম হবে। এটা স্বাভাবিক বিষয়।
আশা করি শেয়ার্ড হোস্টিং কি এবং এর সুবিধা ও অসুবিধাগুলো বুঝতে পেরেছেন। এখন আপনি জানেন কখন আপনার এই হোস্টিং ব্যবহার করা উচিত।
কেন শেয়ারড হোস্টিং ব্যবহার করবেন?
আপনি যদি একজন নতুন ব্লগার হন। অথবা আপনি একটি নতুন ওয়েবসাইট আছে. তারপরে আপনি শেয়ার্ড হোস্টিং ব্যবহার করতে পারেন কারণ নতুন ওয়েবসাইটগুলিতে সাধারণত খুব কম ভিজিটর থাকে।
আর কম ভিজিটরের কারণে আপনার ওয়েবসাইটের ডাটা ট্রান্সফার এবং ওয়েবসাইট লোড তুলনামূলকভাবে কম হবে।
এমন মানুষও আছে অনেক। যারা শুরুতে তেমন বিনিয়োগ করতে চান না। শেয়ার্ড হোস্টিং হবে তাদের জন্য সবচেয়ে উপযুক্ত হোস্টিং।
এর পর আপনার ওয়েবসাইট ধীরে ধীরে বাড়তে শুরু করবে। আপনার ওয়েবসাইটে ভিজিটরের সংখ্যা বাড়বে।
তারপর আপনি আপনার হোস্টিং পরিকল্পনা আপগ্রেড করতে পারেন. শেয়ার্ড হোস্টিং আমাদের দেশে 1000 থেকে 3000 টাকায় কেনা যায়।
(WordPress Hosting) ওয়ার্ডপ্রেস হোস্টিং কি
ওয়ার্ডপ্রেস হোস্টিং শেয়ার্ড হোস্টিং এর থেকে কিছুটা ভালো। কিন্তু ওয়ার্ডপ্রেস হোস্টিং শেয়ার্ড হোস্টিং এর চেয়ে দ্রুত এবং নিরাপদ। এর ফলে আপনার ব্লগ বা ওয়েব দ্রুত হবে। হোস্টিং সার্ভার ডাউন হলে অনেক কিছু ঘটে না।
এখানে আপনি শুধুমাত্র ওয়ার্ডপ্রেস স্ক্রিপ্ট ব্যবহার করতে পারেন। আর আলাদা স্ক্রিপ্ট ব্যবহার করা যাবে না। শেয়ার্ড হোস্টিং এর চেয়ে ওয়ার্ডপ্রেস হোস্টিং এর খরচ বেশি। এর দাম 1500 থেকে 4000 টাকার মধ্যে।
(Reseller Hosting) রিসেলার হোস্টিং কি?
রিসেলার শব্দের অর্থ হল রিসেল করা। যখন একজন ব্যক্তি, একটি হোস্টিং প্ল্যান কেনার পরে, সেই হোস্টিংটি পুনরায় বিক্রি করে। তারপর একে বলা হয় রিসেলার হোস্টিং। বিষয়টি পরিষ্কার করি। যাতে আপনার বুঝতে সহজ হয়।
ধরুন আপনি একটি 2GB হোস্টিং প্ল্যান কিনছেন। তারপর আপনি 1GB + 1GB দুই জনের মধ্যে ভাগ করুন। আপনার শেয়ারিং পদ্ধতি হল রিসেলার হোস্টিং।
অন্যান্য হোস্টিং এর মত, রিসেলার হোস্টিং এর বিভিন্ন সুবিধা এবং অসুবিধা আছে। এখন আমরা এটি সম্পর্কে বিস্তারিত জানব।
রিসেলার হোস্টিং এর সুবিধা
- রিসেলার হোস্টিং এ আপনি কাস্টমারের চাহিদা অনুযায়ী আপনার Plan কে যে কোনো সময় আপগ্রেড করতে পারবেন।
- আপনি আপনার ইচ্ছামতো C-Panel, Name Server এবং গ্রাহকের একাউন্ট মনিটরিং করতে পারবেন।
- যেহেতু আপনি নিজেই একটা Hosting Plan কিনবেন। সেহুতু আপনি নিজের মতো করে সেটিকে ভাগ করতে পারবেন। অর্থ্যাৎ, আপনার পছন্দমতো Storage Plan সাজিয়ে নিতে পারবেন।
- এছাড়াও আপনার কাছে Server restart এবং SSL ইনস্টল করার ক্ষমতা থাকবে। তাই আপনি যেকোনো সময় এই গুলোর ব্যবহার করতে পারবেন।
রিসেলার হোস্টিং এর অসুবিধা
- যদি আপনি রিসেলার হোস্টিং কে শেয়ারড হোস্টিং এর সাথে তুলনা করেন। তাহলে আপনি দেখতে পারবেন যে, রিসেলার হোস্টিং অনেক ব্যয়বহুল।
- অর্থ্যাৎ এখানে আপনাকে বেশি পরিমান টাকা ব্যয় করতে হবে।
- আরেকটা বিশেষ অসুবিধা হলো, যখন আপনি রিসেলার হোস্ট করবেন ৷ তখন আপনাকে আপনার গ্রাহকের সকল প্রকার দায়িত্ব নিতে হবে।
- রিসেলার হোস্টিং এর বেশ কিছু সুবিধার পাশাপাশি বেশ কিছু অসুবিধাও রয়েছে। উদাহরণ স্বরূপ,
- কাস্টমারের বিভিন্ন সমস্যা, তারা আপনার হোস্টিং ব্যবহার করার কারনে কোনো অসুবিধা হচ্ছে কিনা, সাপোর্ট ভালো পাচ্ছে কিনা ইত্যাদি বিষয়গুলো আপনাকে মেইনটেইন করতে হবে।
- যখন আপনার গ্রাহক বাড়বে, তখন আপনাকে আপনার হোস্টিং প্ল্যানকে প্রতিনিয়ত আপগ্রেড করতে হবে।
কেন রিসেলার হোস্টিং ব্যবহার করবেন?
সাধারণত এই হোস্টিং আপনার নিজস্ব ব্যবসা প্রতিষ্ঠার জন্য ব্যবহার করা হয়। উদাহরণস্বরূপ, আপনার নিজের ব্লগ বা ওয়েবসাইট ব্যবহার করার পাশাপাশি, যখন আপনি নিজের একটি ছোট ব্যবসা সেট আপ করতে চান।
তারপর আপনি এই হোস্টিং ব্যবহার করতে পারেন.
তবে মনে রাখবেন, অন্যান্য হোস্টিং প্রদানকারীদের মতো আপনার নিজস্ব গ্রাহক থাকবে। তারা প্রায়ই বিভিন্ন সমস্যার সম্মুখীন হবে। তাদের জন্য এই সমস্যা সমাধানের মানসিকতা থাকতে হবে। এবং সেই গ্রাহকদের যথাসময়ে যথাযথ সমর্থন পাওয়া উচিত। সেই দিকে যথেষ্ট দায়িত্বশীল হোন।
কোথায় হোস্টিং কিনবেন?
এখন মূল বিষয়ে আসি, আপনি এতদিন হোস্টিং সম্পর্কে জেনেছেন। কিন্তু প্রশ্ন হল, আপনি এই হোস্টিং কোথা থেকে কিনতে পারবেন।
তাহলে শুনুন, হোস্টিং কেনার জন্য অনেক দেশি-বিদেশি প্রোভাইডার আছে। আপনি তাদের পর্যালোচনা এবং সমর্থন উপর ভিত্তি করে কিনতে পারেন.
তবে মনে রাখবেন, হোস্টিং কেনার আগে আপনাকে বেশ কিছু বিষয় মাথায় রাখতে হবে। অন্যথায় পরবর্তীতে বিভিন্ন সমস্যার সম্মুখীন হতে হবে। যা কখনোই কাম্য নয়। আপনি কোথা থেকে হোস্টিং কিনবেন তা আমরা জানব।
তবে তার আগে আপনাকে জানতে হবে হোস্টিং কেনার আগে আপনাকে কী কী বিষয়ে সতর্ক থাকতে হবে।
হোস্টিং কেনার আগে যা জানতে হবে
মনে রাখবেন, হোস্টিং হল আপনার ওয়েবসাইটের প্রাণশক্তি আপনার ওয়েবসাইটের কাস্টমাইজেশন ছাড়াও, অন্যান্য জিনিস রয়েছে যেমন:
- রিনিউ ফিস কত
- কি রকম সাপোর্ট দেয়
- মাসে ব্রেন্ডউইথ কত
- আপনার ওয়েবসাইট এর স্পিড কেমন হবে
- কি পরিমান ভিজিটরের লোড নিতে পারবে ইত্যাদি বিষয়গুলোর সম্পূর্ণ নির্ভর করবে হোস্টিং এর উপর।
তাই আপনাকে হোস্টিং কেনার আগে বেশ কিছু বিষয় মাথায় রাখতে হবে।
হোস্টিং এর দাম
এটা হল সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। আপনি আপনার ওয়েবসাইটের জন্য উপযুক্ত হোস্টিং কিনবেন। এখন আপনাকে গুরুত্ব সহকারে বিবেচনা করতে হবে এর দাম কত হবে।
এই দিকটি বিবেচনা করার জন্য প্রথমে আপনাকে আপনার ওয়েবসাইটটি ভালভাবে বিশ্লেষণ করতে হবে। আপনি প্রতিদিন কি ধরনের ভিজিটর পাচ্ছেন, কত ব্যান্ডউইথ খরচ হচ্ছে, সাইটের কি ধরনের লোডিং স্পিড দরকার ইত্যাদি বিষয়গুলো আগে ভালোভাবে বিশ্লেষণ করতে হবে।
আপনি যখন সঠিকভাবে এই কাজ. তাহলে আপনি নিজেই বুঝতে পারবেন আপনার কোন ধরনের হোস্টিং নেওয়া উচিত। তারপর আপনার চাহিদা অনুযায়ী হোস্টিং প্ল্যান কিনুন।
তবে কেনার আগে অবশ্যই এর দামের কথা মাথায় রাখবেন। কারণ মূল্য প্রদানকারীর উপর নির্ভর করে পরিবর্তিত হয়। অনেক প্রোভাইডার আছে যারা সাশ্রয়ী মূল্যে ভালো হোস্টিং অফার করে।
আবার, অনেক প্রদানকারী উচ্চ মূল্য চার্জ করে কিন্তু মানসম্পন্ন হোস্টিং প্রদান করে না। তাই এই দিকটা মাথায় রাখুন।
ব্যান্ডউইথ ও স্পেস
আপনি যে প্রোভাইডার থেকে হোস্টিং কিনছেন। আপনার প্রাপ্যতা অনুযায়ী তারা আপনাকে ব্যান্ডউইথ ও স্পেস দিচ্ছে কিনা। আপনার cPanel এ গিয়ে এটি সাবধানে পরীক্ষা করুন।
অনেক প্রদানকারী আছে যারা সীমাহীন ব্যান্ডউইথের বিজ্ঞাপন দেয়। কিন্তু হোস্টিং কেনার পর দেখা যায় কথা ও কাজে মিল নেই। তাই অবশ্যই এই বিষয়ে সতর্কতার সাথে নজর রাখুন।
উপযুক্ত কাস্টমার সাপোর্ট
এই দিকটি সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ এক। হোস্টিং কেনার পর আপনি যখন আপনার ওয়েবসাইট হোস্ট করেন তখন থেকে আপনি অনেক ধরনের সমস্যার সম্মুখীন হতে পারেন।
এই সমস্যাগুলি সমাধানের জন্য তারা আপনাকে কী ধরণের সহায়তা দেয়? যত তাড়াতাড়ি আপনি আপনার সমস্যা রিপোর্ট করবেন, তারা এটি সমাধান করছে কি না আগে থেকে একটি ধারণা পান।
সি-প্যানেল এক্সেস
আমরা সবাই জানি যে হোস্টিং কেনার পর একটি সি-প্যানেল দেওয়া হয়। এখন প্রশ্ন হচ্ছে এই সি-প্যানেলে তারা আপনাকে পূর্ণ স্বাধীনতা দেবে কিনা। আপনি এটি আপনার ইচ্ছা মত ব্যবহার করতে পারেন কিনা, ইত্যাদি খুঁজে বের করুন।
সেই হোস্টিং এ আপনি কত ডোমেইন যোগ করতে পারবেন, কতগুলো ইমেইল ফিচার থাকবে তাও জেনে নিন।
জনপ্রিয়তা ও বিশ্বস্ততা
আপনি যে কোম্পানি বা প্রোভাইডার থেকে হোস্টিং কিনছেন। এগুলো সম্পর্কে আগে থেকেই ভালো ধারণা থাকা উচিত।
উদাহরণস্বরূপ, সেই কোম্পানিটি বিশ্বস্ত কিনা, এই কোম্পানিটি কতদিন ধরে এই ব্যবসার সাথে যুক্ত, তাদের অনলাইন পর্যালোচনা কেমন, তাদের সমর্থন কেমন ইত্যাদি।
আপগ্রেড করার সুবিধা
ধরুন আপনি প্রাথমিকভাবে একটি 2GB হোস্টিং প্ল্যান কিনছেন। কিন্তু এক সময় আপনার ওয়েবসাইটের ভিজিটর বেড়ে যায়। সেই সময়ে আপনার হোস্টিং প্ল্যান আপগ্রেড করতে হতে পারে।
এখন আপনি যে হোস্টিং কোম্পানি থেকে কিনবেন, তারা কি আপনাকে এই আপগ্রেড সুবিধা দেবে? এটা সম্পর্কে জানতে হবে।
হোস্টিং কেনার সেরা ওয়েবসাইট
বর্তমানে অনেক কোম্পানি হোস্টিং সেবা প্রদান করে। অনেক সময় আপনি খুব কম দামে হোস্টিং এর লোভনীয় বিজ্ঞাপন দেখতে পারেন। নিশ্চিত করুন যে আপনি এই প্রদানকারীদের ফাঁদে পড়েন না।
সর্বদা একটি স্বনামধন্য স্বনামধন্য কোম্পানি থেকে হোস্টিং নেওয়ার চেষ্টা করুন। বর্তমানে, কিছু জনপ্রিয় স্থানীয় এবং বিদেশী হোস্টিং প্রদানকারী হল:
- Namecheap
- Hostinger
- SiteGround
- Dreamhost
- Bluehost
- HostGator
- Exonhost
- HosterPlan
শুধু যে এই প্রোভাইডারগুলো ভালো তা নয়। এগুলো ছাড়াও আরও বেশ কিছু হোস্টিং প্রোভাইডার রয়েছে। কিন্তু আমার দৃষ্টিকোণ থেকে উল্লেখিত কোম্পানিগুলো জনপ্রিয় এবং বিশ্বস্ত,
শেষ কথা,
আশা করি আপনি এই সংক্ষিপ্ত আলোচনার মাধ্যমে হোস্টিং সম্পর্কে সবকিছু বুঝতে পেরেছেন। তবে হোস্টিং সংক্রান্ত কোন প্রশ্ন থাকলে কমেন্ট করুন।
আমি আপনাকে সাহায্য করার জন্য আমার যথাসাধ্য চেষ্টা করব, ধন্যবাদ ?
You must be logged in to post a comment.