বউ :- আচ্ছা তুমি অফিসে দুপুরের খাবার কার সাথে শেয়ার করো?
আকাশ:- কারো সাথেই না তো!
বউ:- তোমার পাশের সিটে কে বসে?
আকাশ:- কে আবার রাফি আর আমিই তো।
বউ:- অফিস থেকে রিক্সায় আসো কে কে?
আকাশ:- উফঃ কি শুরু করলে? এত এত প্রশ্ন করছো কেনো?
বউ:- না, না, রাগলে হবে না। আমাকে বলতেই হবে। কে থাকে তোমার সাথে বলো আমাকে?
আকাশ:- থাকে আমাদের অফিসের সবচেয়ে সুন্দরী মেয়েটার সাথে রিক্সায় বের হই। একটু চেপেচেপে বসি! রিক্সায়ালা মামা ব্রেক চাপলে মেয়েটা আমার গায়ে এসে পড়ে। এবার খুশি?
বউ:- খুশি না বেজার সেটা পরে! আর মূল কথা কিভাবে বেড়িয়ে আসে এখন সেটা দেখছি।
আকাশ:- (মুখের উপর মুখ নিয়ে) আর এখন মেয়েটা অপেক্ষা করছে একসাথে রিক্সায় অফিসে যাবো।
বউ:- ............................. (চুপ করে আছে কিন্তু গায়ে আগুন ৯০+ | দুইবার তাকালো আমার দিকে তারপরও চুপচাপ)
আকাশ:- আচ্ছা,, বের হচ্ছি। বাই ভালো থেকো.....
যাবার আগে প্রিয় কাজটা করলাম। বউটা বেশ রেগে আছে অভিমানও করেছে সামনে থেকে জড়িয় ধরলে আবার মাইর দিতে পারে তাই পিছন থেকে জড়িয়ে ধরে তারপর বউয়ের কপালে একটা চুমু খেয়ে বের হলাম। ( অবশ্য বউ আমার থেকে দূরে সরে যেতে চাইছিলো কিন্তু পারতেছিলো না)
অফিসে এসে কাজ আর কাজ দুপুরে পাগলী বউটা নিজেই কল দেই লাঞ্চ করেছি কিনা! কিন্তু আজ আর কল দিলো না। তাই নিজেই বউটারে কল দিলাম, কল ধরলো না। আবার কল দিলাম,,, এবারও ধরলো না।
ভাবলাম ব্যস্ত হয়তো বা! নিজেই লাঞ্চ করলাম। আর একটা মেসেজ দিলাম,, "তুমিও লাঞ্চ করে নিও"।
]
৫ টায় অফিস থেকে বের হলাম। বাসায় আসবো একটা যদি কিছু পাই,,, সব কিছু গেলো কই? কপালে কি শনি লাগছে? কাহিনী কি??
গদগদ করে দাঁতে দাঁত চেপে বলছি এসব! তারপর মিললো একটা সি-এন-জি। বাসায় ফেরা হলো।
বাসায় এসেই দেখি রুম ফাঁকা। বউকে ডাকাডাকি করেও লাভ হলো না। কি ব্যাপার বউ আমার গেলো কই?? ভাগলো নাকি? ছিঃ ছিঃ,, কি ভাবছি! আমার বউ ভাগবে কোন দুঃখে? এসব ভেবেই আমি কূলছাড়া। এবার ফ্রেশ হয়ে ছাদে গেলাম।
ছাদে গিয়ে দেখি মহারানী ছাদে বসে চুপ করে বসে আছে। আমি বউয়ের কাছে যেতেই অন্যদিকে মুখ ঘুরিয়ে নিলো। (বউ আমার রাগ করে আছে দেখছি! এখন বউয়ের রাগ ভাঙাবো কিভাবে?)
আমি নিজেই কথা বললাম.................
আকাশ:- ছাদে কি একাই?
বউ:- ........................ (নিশ্চুপ)
আকাশ:- না মানে আর নিচে কেউ আছে নাকি?
বউ:- ....................... (নিশ্চুপ)
আকাশ:- ভালো ভালো। আচ্ছা, কথা বলছো না কেন?
বউ:- কি কথা বলবো? যাও ঐ সুন্দরী মেয়ের কাছে যাও। আমি তোমার কে?
আকাশ:- ইশঃ রে! আমার বউ'টা কতোই না রাগ করেছে রে। রাগ করে না লক্ষ্মী সোনা।
বউ:- এসবে কাজ হবে না। আর শুনো তুমি আমাকে বউ ডাকবা না।
আকাশ:- তাইলে কি বাবুর আম্মু ডাকবো?
বউ:- এ! তুমি এতো নির্লজ্জ বেহায়া কেন?
আকাশ:- আম্মু বলেছে আপন ঘরে লজ্জা করতে নেই, এজন্য।
বউ:- আমি কিছু শুনতে চাই না। যাও ভাগো তো।
আকাশ:- যাবো কই?
বউ:- জাহান্নামে।
আকাশ:- তাইলে সুন্দরী মেয়ের বাসায় যাই?
বউ:- কিহ?
আকাশ:- তুমিই তো বললে!
বউ:- আমি বলছি? আচ্ছা মনে মনে যেহেতু ঐ মেয়েকে নিয়েই ভাবনা তাইলে আর কি যাও।
আকাশ:- আচ্ছা যাই! তুমি কি যাবা কি কি করি দেখতে?
বউ:- আমার বয়েই গেছে দেখার জন্য!
আকাশ:- তাইলে পরে কি বলে খোঁচা মারবা? পুরাতন আইটেম বাদ, নতুন কিছু চায়।
বউ:- ফাজিল,
আকাশ:- সবসময় ছিলাম!
বউ:- শয়তান, বান্দর, হনুমান, কলাগাছ, বিড়াল,
আকাশ:- মিষ্টি বউ, বাবু, সোনা,
বউ:- হুহহ
আকাশ:- আচ্ছা চলো খাবার দিবা।
বউঃ- সেটা যে হবার নয় গো,
আকাশঃ- কেন সেটা হবার নয় বল
বউঃ- কি আর বলব, যেমন ভাব করছ যেন তুমি কিছু জানো না,
আকাশ - না আমি সত্যি বুঝতেপারতেছিনা তুমি এত আভিমান করছ কেন,আভিমান কি তুমি সুধু একা করতে পার আভিমান আমি ও করতে পারি।
বউঃ- কর তোমার আভিমান তুমি তাতে লাভ হবে না কোনো।
আকাশঃ - আচ্ছাআমার আপর যে তুমি এত আভিমান করে আছ তেমার আভিমান আমি কিভাবে কমাতে পারি, আমাকে তুমি বল কি করলে তোমার রাগ কমানো যাবে।
বউঃ- তুমি মনে মনে ভেবে দেখ কি করলে আমার রাগ কমবে সেই জিনিস গুলো তুমি আমার জন্য কর দেখবে আমার রাগ এমনি তে কমে যাবে।
আকাশঃ- আচ্ছা বউ এখন আমি যেটা বলব তুমি সেটা শুন বা?
বউঃ- কি বল বা তুমি বল
আকাশঃ- আমি বলতে চাই তুৃি আমার সাথে এখন ছাদে থেকে বাসায় চল।
বউঃ না, আমি যাব না আমার রাগ এখনো কমে নি, আমার রাগ করলে একা ছাদে বসে থাকতে ভালো লাগে।
আকাশঃ- তো আর কি করব আমি, তুমি যদি বাসায় যাই তা তাহলে তোমার আভিমানভঙানোর চেষ্টা করতাম , এখন যখন তুমি বাসায় যাবে না আর তোমার আভিমানআমি ভাঙাতে পারলাম না, থাকো তোমার আভিমাননিয়ে তুমি।
আসলে একটামেয়ের আভিমান করলে কোনো কিছু নিয়ে তাহলে তার আভিমান ভাঙা নো সহজ বলে আমার মনে হয় না, এই সব মেয় দের এই রকম আভিমান গুলো তারা নিজে রা ভাঙাতে পারে,
You must be logged in to post a comment.