যে কাউকে প্রেমের জন্য রাজি করানোর নিনজা টেকনিক আপনি কি কাউকে মনে মনে অনেক পছন্দ করেন। এবং আপনি যেন আপনাকে পছন্দ করুক তার বুকের ভিতরের কিছু জায়গা আপনার নামে দলিল করে দিক । যদি তাই হয় তাহলে আপনি সঠিক ঠিকানাটা এসেছেন না এটা দলিল অফিস নয় ।
তবে আজ আমি একটা কৌশল শেখাতে যাচ্ছি আপনি যদি এই কৌশলটি আজ থেকে ফলো করেন তো আমি কথা দিলাম আপনি যার জমি দখল করতে চান আইমিন যাকে পাঠাতে চান সে আজ থেকে আপনাকে একটু একটু করে ভালবাসতে শুরু করবে ।
এবং আশা করা যায় খুব অল্প সময়ের মাঝে সে পুরোপুরি আপনার প্রেমে পড়ে যাবে আর সবচেয়ে মজার ব্যাপার হলো এই কাজটি করার জন্য আপনাকে বেশি কিছুই করতে হবে না জাস্ট কৌশলটি জেনে রাখলে হবে তো তাহলে আর দেরি কেন চলুন শুরু করা যাক?
তো আপনি যদি সেই মানুষটিকে এখনো এটা না জানিয়ে থাকেন যে আপনি তাকে পছন্দ করেন বা ভালবাসেন তাহলে যত তাড়াতাড়ি সম্ভব। যেকোনোভাবে আগের সেই মানুষটিকে এটা জানেন যে আপনি তাকে পছন্দ করেন বা ভালবাসেন না ভুলেও প্রপোজ করে সেটা জানাতে যাবেন না । ভুলেও এই কাজটি করতে যাবেন না তাহলে কিভাবে জানাবেন আর কেনই বা তাকে এটা জানাতে হবে।
সেটা বুঝিয়ে বলতেছি দেখেন ভাই যতদিন পর্যন্ত আপনি সেই মানুষটিকে না জানাচ্ছেন যে আপনি তাকে ভালবাসেন ততদিন পর্যন্ত আপনি তার সাথে যতই ফোনে কথা বলেন যতই চ্যাট করেন তার যতই কেয়ার করেন তাকে দেখলে ।
তার দিকে যত তাকিয়ে থাকেন তার জন্য যত যাই করেন না কেন এগুলোর পেছনে যে আপনার অগাধ ভালোবাসা লুকিয়ে আছে। সেটা হয়তো সেই মানুষটি খেয়ালী করবে না সে বুঝতেই পারবে না। যে আপনি যে তাকে দেখলে তার দিকে হা করে তাকিয়ে থাকেন সেটা তার বডির সাইজ দেখার জন্য না বরং তার চেহারাটা প্রাণ ভরে দেখার জন্য করেন।
তাকে অনলাইনে পেলেই আপনি যে তাকে ম্যাসেজ করেন সেটা টাইম পাস করার জন্য নয় বরং এটা তার প্রতি আপনার ভালোবাসাটা না করেন। আপনি যে তার এত কেয়ার করেন সে খাইছে কিনা এত খোঁজ খবর নেন সেটা আপনার ভাই জান হিসেবে নয় বরং জান হিসেবে করেন। তো এটা গেলো প্রথম কথা যে তাকে আগে জানাতে হবে।
যে আপনি তাকে পছন্দ করেন বা ভালবাসেন যাতে করে আপনি তার সাথে যা যা করবেন সেগুলোর মাঝে যেন সেসব সময় একটা ভালোবাসার গন্ধ পায় তাকে দেখলেই বা তার সাথে কথা বললে আপনার চোখেমুখে বা ভয়েসে যে ভালোবাসার ছাপ ফুটে ওঠে সেটা যেন সে খেয়াল করতে পারে। তাছাড়া তো মুশকিল রে ভাই তাকে দেখলে ভালোবাসায় আপনার চোখ লাল হয়ে উঠবে অথচ সে ভেবে নিতে পারে আপনি গাজা খেয়ে হয়তো চোখ লাল করেছেন।
তো যাইহোক এবার আসি কিভাবে ভালোবাসার কথা জানাতে হবে আই লাভ ইউ আমি তোমাকে ভালবাসি তুমি আমাকে ভালোবাসো কিনা সেটা জানি ও আমি ও তোমার জবাবের অপেক্ষায় রইলাম এমন বালের স্টাইল এ জীবনেও জানাবেন না। এভাবে জানানোর চেয়ে বরং বাজার থেকে একটা কুড়াল কিনে এনে নিজের পায়ে চট মেরে পা কাটবে কিনা সেটা চেক করে দেখার ঝুঁকি নেয়া তার চাইতে অনেক ভালো তাই ।
এভাবে না বলে বরং এভাবে বলুন ''তোমার সাথে কথা বলতে আমার অনেক ভালো লাগে তোমার সাথে কথা বললে কেমন যেন একটা শান্তি অনুভব করি একদিন তোমার সাথে কথা না বললে বা তোমাকে না দেখতে পেলে সেই পুরো দিনটিই আমার মন খারাপ হয়ে থাকে আমার মনে হচ্ছে আমি তোমাকে ভালোবেসে ফেলেছি''
না টেনশন নিয়েন না,
''আমি তোমাকে বলব আমার সাথে রিলেশন করো কারণ আমি তোমাকে ভালবেসেছি তার মানে এই নয় যে তোমাকেও আমাকে ভালোবাসতেই হবে। তোমাকে আমার ভালো লাগে তাতে কি আমাকে হয়তো তোমার ভালো নাও লাগতে পারে অথবা তোমার অন্য কাউকে পছন্দ থাকতে পারে।
তাই আমার সাথে রিলেশন করো বা না করো সেটা অন্য ব্যাপার শুধু এখন তুমি আমার সাথে যেভাবে কথা বলো এভাবে সবসময় কথা বলিও তাহলেই হবে আর তুমি আমাকে ভালো না। বাসো শুধু তোমাকে ভালোবাসার অধিকার টুকু আমাকে দিও তাহলেই হবে তাহলে আমি খুশি'' অনেকেই ভাবতেছে এটা আমি কি সর্বনাশ করলাম যে গাড়ি কি আপনি ড্রাইভার হয়ে চালানোর স্বপ্ন দেখতে ছিলেন।
সে গাড়িতে আমি আপনাকে প্যাসেঞ্জার বানিয়ে দিয়ে বসিয়ে দিলাম আরে মশাই আগে এটা তো বোঝার চেষ্টা করুন আমি কেন এমন টা করলাম। যখন আপনি কোন মেয়েকে বলবেন আমি তোমাকে ভালোবাসি তোমার সাথে রিলেশন করতে চাই তখন মেয়েটির কাছে মাত্র দুইটি অপশন থাকে। এক আপনাকে গ্রহন করা দুই আপনাকে আজ থেকে এড়িয়ে চলতে শুরু করা আইমিন গ্রহণ না করা মেয়েদের প্রপোজ।
রাজি হলে তো ভালো আর রাজি না হলে আপনার পিছনে বাঁশ গেল আর এখানে সবচেয়ে দুঃখের ব্যাপার হলো এমন প্রপোজের ৯০ পার্সেন্ট ক্ষেত্রেই বাঁশি যায় আর এমনটা হলে মেয়ে যখন আপনাকে এড়িয়ে চলা শুরু করবে। আপনার নাম্বার ব্লক করে দিবে তখন আপনার এক ব্যাগ ভালোবাসা আপনার কাছেই পড়ে থাকবে।
মেয়েটিকে সেগুলো আর কোনদিন চেইন খুলে দেখানোর সুযোগ পাবেন না ব্যাগের চেইন এর কথা বলতেছি কিন্তু উল্টোপাল্টা ভাবলে খবর আছে। আপনার তো আপনি আপনার ভালোবাসার তাকে বোঝানো রাস্তাটা একদম ফেভিকল দিয়ে বন্ধ করে দিলেন কিন্তু আপনি যদি আমার কৌশলটা অবলম্বন করেন।
আই মিন তাকে এভাবে বোঝান যে আপনি তাকে ভালোবাসেন ঠিক আছে কিন্তু আপনি তাকে রিলেশন করার জন্য বলছেন না সেজন্য আপনার সাথে এভাবে কথা বলে আপনাকে সময় দেয় তাহলেই হবে এতে করে কি হবে জানেন।
মেয়ের মনে আপনার প্রতি ভালোবাসা থাকে তো হয়ে গেল আপনি তাকে ভালোবাসেন এটা জানার পর মেয়ে নিজেই আপনার সাথে রিলেশন করা শুরু করে দেবে। আর মেয়ের মনে আপনার প্রতি ভালোবাসা না থাকলেও সে আপনার সাথে এতদিন যেভাবে কথা বলত তার সাথে আপনার যেমন, সম্পর্ক ছিল সেটা থেকেই যাচ্ছে মেয়ে নিয়মিত আপনার সাথে কথা বলছে।
আপনাকে সময় দিচ্ছে এক কথায় বয়ফ্রেন্ড হলে যে চুল ছিড়তেন সেগুলো ঠিক হচ্ছে তবে হ্যাঁ বয়ফ্রেন্ড হলে মাঝরাতে যে রসের আলাপ করতে পারতেন। আর ঘুমানোর আগে প্লিজ জান একটু চুমু দাও তাহলে ঘুমিয়ে যাব বলেছি ন্যাকামো করতে পারতেন সেটা এখন করতে পারছেন না। এটা ঠিক আছে কিন্তু মেয়েটি যেহেতু জেনে গেছে যে আপনি তাকে ভালোবাসেন কাজেই এখন থেকে মেয়েটা আপনার প্রতিটি আচরনে ভালোবাসা দেখতে পাবে।
আপনার প্রতিটি কথার মাঝে এ সে ভালোবাসার স্বাদ পাবে আপনি যখন তার কেয়ার করবেন তখন সে তার প্রতি আপনার ভালোবাসাটা ঠিক হয়। ফিল করতে পারবে তাই মেয়েটি আপনার প্রেমে পড়ে যেতে খুব বেশি দিন লাগবে না আচ্ছা এটাও কল্পনা করে নিলাম। যে আপনার চেহারা হিরো আলমের মতো অথবা আপনার বাবার টাকার গাছ নেই।
তাই মেয়েটি সেদিন আপনার প্রপোজোলে রাজি হয়নি অথবা মেয়েটির অলরেডি একটা বাবু আছে তাই সেদিন সে আপনার প্রপোজোলে রাজি হয়নি। কিন্তু আপনি যখন এভাবে তার সাথে বন্ধুর মতো মিশে থাকবেন স্বার্থহীন ভাবে তাকে ভালোবেসে যাবেন। সে আপনাকে গাছের মালিক বানালো না এর পরও আপনি যখন ফল খাওয়ার আশা ছাড়া এ গাছের নিয়মিত পানি দিয়ে যাবেন।
তখন মেয়ের মন বলতে কয়দিন লাগবে বলুন আর এদিকে আপনিও যদি একটু একটু করে মেয়েটির মনের দরজা খোলার চেষ্টা চালিয়ে যেতে থাকেন। তবে এটি থেকে বয়ফ্রেন্ডের সার্টিফিকেট পেতে বেশি দিন লাগবে না কারণ আজকাল সঠিক লাইন ঘাট জানা থাকলে চেয়ারম্যানের থেকে চারিত্রিক সার্টিফিকেট পেতে আর মেয়েদের থেকে বয়ফ্রেন্ডের সার্টিফিকেট পেতে বেশি সময় লাগে না।
তো এই ছিল আজকের ভিডিওটি কেমন লেগেছে কমেন্ট করে একজনকে পিটিয়ে তক্তা বানিয়ে দিব রাস্তাঘাটে মেয়েদের কে ফলো না করে আমার ফেসবুক পেজ টি তে ফলো করুন মজা পাবেন সাথে টিপস পাবেন তো ভালো থাকবেন সবাই?
Hm
Hm
You must be logged in to post a comment.