বর্তমানে পৃথিবী ঠিক কতো ধরনের সমস্যায় আছে তা সঠিক বলা মুশকিল, তবে পরিসংখ্যান যে অনেক বড়ো এটা বলা মুশকিল নয়।
একটা সময় মানুষ যুদ্ধ করেছে আধুনিক হওয়ার জন্য। খাদ্য অভ্যাসের পরিবর্তনের জন্য। পর্যাপ্ত সুযোগ সুবিধার বলয়ে প্রবেশ করার জন্য, অন্ধকার দূর করে আলোই প্রবেশ করার জন্য, এছাড়াও আরও অনেক, অনেক যুদ্ধ যেটা যৈবিকের চেয়ে জীবনের প্রয়োজনেই বেশি।
যেমন মানুষ পরিবর্তিত হয়েছে আদিম মানুষিকতা থেকে, অপরিস্কার জীবন যাপন থেকে,কুরুচিপূর্ণ মানুষিকতা থেকে,জৈবিক চাহিদা মেটানোর পরিবেশ তৈরিতে, জীবন এবং জীবিকার অসুস্থ্য বিপর্যয় থেকে, মূল্যহীন জীবনকে মূল্যবান ভাবতে সর্বোপরি সঠিক হিসাব নিকাশ করার ঠকবাজি কৌশল থেকে। আরও অনেক পর্যায়ে।
সময়ের পরিক্রমায় পৃথিবী এখন অতি আধুনিক। মানুষ একা থাকতে চাইলেও আধুনিক বলয়ে সে নিঃসঙ্গ নয়।হিসাব যন্ত্র আবিষ্কার হয়েছে, বিনোদন যন্ত্র আবিষ্কার হয়েছে, পরিশ্রমকে সহজতর করার জন্য আধুনিক যন্ত্রের শিল্প কলকারখানা তৈরি হয়েছে,পাশাপাশি সময়ের সাথে পাল্লা দিতে বৈজ্ঞানিক দক্ষতায় উন্নীত হয়েছে মানুষ। ছুটছে মানুষ সময়ের চেয়ে বেশি গতিতে। উৎপাদন হচ্ছে সময়ের আগে চাহিদার আগে।
আধুনিক হয়েছে মানবজাতি সেই আদিম চক্র থেকে।পরিবার পেয়েছে, জাতি পেয়েছে, সমাজ পেয়েছে,গোষ্ঠী পেয়েছে, রাষ্ট্র পেয়েছে আর একটি মস্তিষ্কের উন্নতি যার জন্য পৃথিবীতে সৃষ্টি হয়েছে প্রতিযোগিতার। যে প্রতিযোগিতা আদিম যুগে হয়েছে তা ছিলো খাদ্যের প্রতিযোগিতা। কারণ তখন মানুষের ব্যাবহারিক উৎপাদন ছিলো,শুধু প্রকৃতিগতউৎপাদনের প্রতি নির্ভর ছিলো মানুষ।
এখনও প্রতিযোগিতা, কিন্তু মস্তিষ্কের উন্নয়ন করে প্রতিযোগিতার রুপরেখার ধরনে পরিবর্তন এনে হয় প্রতিযোগিতা। আদিম যুগে পোশাকের ব্যাবহার ছিলোনা তায় উলঙ্গ হয়ে প্রতিযোগিতার মাঠে নামতো তারা।এখন মস্তিষ্কের উন্নয়ন করে পোশাক পরে প্রতিযোগিতা করে। খাদ্যের জন্য, পানির জন্য, আধিপত্য বিস্তারের জন্য, অতি আধুনিকতার পরিচয় দেবার জন্য প্রকৃতির নিয়মে আঘাত করার জন্য।
আর এর সবই হয় পোশাক পরে, পরিস্কার হয়ে, আধুনিক যন্ত্রের ব্যাবহার করে। আরও অনেক কিছু যেটা স্বল্প পরিসরে লেখা সম্ভবনয়।এবার মূল কথায় আশা যাক।
আদিম যুগে ধর্ষন শব্দের ব্যাবহার হতোনা কারন জৈবিক চাহিদার নিয়ম ছিলোনা তখন,এখন নিয়ম আছে ধর্ষন করা যাবেনা কিন্তু ধর্ষন হয় তাও আবার আধুনিকতার ছোয়ায়।এখন যা যা পৃথিবীতে ঘটে আদিম যুগেও ঘটতো কারণ নিয়ম ছিলোনা, মানুষের মনস্তাত্ত্বিক উন্নতি ছিলোনা।
এখন মনস্তাত্ত্বিক উন্নতি থাকা স্বত্বেও হানাহানির প্রতিযোগিতা, আধিপত্যের প্রতিযোগিতা আদিম যুগকেও ছাপিয়ে গেছে।
মানুষের সম্মান নেই, যেটা আছে তার অর্থের মাপকাঠিতে। জীবনের মূল্য নেই যা ক্ষমতার ব্যাবহারিক দিক থেকে।লজ্জা নেই তবুও পোশাক পরে মানুষ লজ্জাস্থান ঢেকে রাখতে। শৃঙ্খলা নেই পৈচিশকা আছে। তায় আদিম থেকে আধুনিক হয়েও নেই কোন সমাধানের পথ সবই যেন উলঙ্গ।
তায় হাহাকার আর চিৎকার নেই বুঝি কোন সমাধান।
পৃথিবীতে মানুষের চাহিদা যতোটা, তার চেয়ে অনুর্বর মানুষ। তায় এতো বত্যয়।
Eh
You must be logged in to post a comment.