" করালগ্রাসি ঘুর্ণিঝড় "
আব্দুল হাকিম মিয়া
১৯৯৬ সালের ১৩ই মে রোজ সোমবারে-
কেড়ে নিয়েছে শত শত ভাই বোনের প্রাণ,
করালগ্রাসি এক ঘুর্ণিঝড়ে।
সকাল বেলায় যারা ছিলো,সুস্থসবল মানুষ?
বিকাল বেলায় হলো তারা-কেউবা মরা লাশ আর,
কেউবা ব্যাথায় বেহুঁশ।
কাউলজানী,বাদিয়াজান,কলিয়া,আর পুর্বে মিরিক পুর,
ঝড়ের পরে চারিদিকে ছিলো শুধু,লাশে ভরপুর।
ঝড়ের আগে যেথায় ছিলো,সুন্দর বাড়ী ঘর,
ঝড়ের পরে সেথায় শুধু ধুধু ধুধু বালু চর।
খড়ের ঘর থেকে শুরু করে ইটের বাড়ী-
করালগ্রাসি ঘুর্ণিঝড়ে সব নিয়েছে কারী।
হায়রে নিষ্ঠুর নিয়তি,
এ কেমন রিতিনীতি।
মায়ের বুকে ছিলো ছোট্ট শিশু,সে আর নেই,
শিশু হারা মা-কে বলো,কেমনে শান্তনা দেই।
হাজারো শিশু ছিলো মা-বাবার বুকে-
ম-বাবাকে হারিয়ে সেই শিশু গুলি,কাঁদছে ধুকে ধুকে।
কাজের শেষে টাকা নিয়ে ফিরবে বাড়ী-
সন্তান আর বউ এর জন্য নিয়ে যাবে নতুন শাড়ী।
এই স্বপ্ন মনে নিয়ে-
ধান কাটতে এসেছিলো শত শত কাজের লোক,
তারা আর ফিরতে পারেনি বাড়ী,
করালগ্রাসি ঘুর্ণিঝড়ে তাদের প্রাণও নিয়েছে কাড়ী।
এই কথা ভাবতেই মনে লাগে দুখ-
তারা আর দেখতে পারেনি স্ত্রী সন্তানের মুখ।
নদিনালা,খালবিল,পুকুর পাড় আর গাছের ঢালে লাশ,
ত্রাণ কর্মিরা দেখেই বলছে-
হায় আল্লাহ,একি সর্বনাশ।
আল্লাহ,এ কেমন খেলা তোমার বুঝিনাতো আমরা-
এক বাড়ীর সবই আছে,অন্য বাড়ী সর্বহাড়া,
হে আল্লাহ, কি অপরাধ করেছিলো ঐসব লোকগুলি?
তাদের উপর ছেড়ে দিলে তুমি-
ঘুর্ণিঝড় নামের এই গজবের ঝুলি।
thank you so much for approved
You must be logged in to post a comment.