"কে বলে তুমি নেই?"
আব্দুল হাকিম মিয়া
তুমিতো চলে গেছো-নাফেরার দেশে-
জানি কোনো দিন ফিরে আসবে না আর।
তবুও, তোমার ফেলে যাওয়া হাজারো স্মৃতি -
তোমাকে -মনে করিয়ে দেয় বাব বার।
স্কুলে এসেই মৃদু হেসে, বাড়িয়ে দুটি হাত-
বুকের মাঝে টেনে নিয়ে,করতে মোলাকাত।
সন্তান স্নেহে আদর করে, হাত মাথায় দিতে তুলে-
এসকল স্মৃতি বলো,কেমনে যাবো ভুলে?
তারপর চলে যেতে, তোমার প্রতিটি মায়ের দ্বারে দ্বারে-
জিজ্ঞাসিতে জনে জনে, পড়াশুনা কেমন করে?
আরো বলতে,ভালভাবে লেখাপড়া করে যেইজন
জ্ঞানীগুণী এ-জগতে হয় সেইজন।
সকলের সাথে বলতে কথা মৃদু হেসে হেসে-
স্কুলে এলেই সকল স্মৃতি চোখে চোখে ভাসে।
তুমি আছো,স্কুলের আঙ্গিনার গাছ আর দূর্বাঘাসে-
ইট-বালি-সিমেন্ট দিয়ে নির্মিতি দেয়ালে মিশে।
সকাল ৯টার পতাকা উত্তোলন আর সমাবেশ ক্লাসে
২১শের প্রভাতফেরি আর বিজয়ের র্যালিতে।
তুমি আছো-২৮ ফেব্রুয়ারির শুভ জন্মদিনে,
২০শে জুলাই বিষাদ মননে আলোচনা অনুষ্ঠানে।
এলাকার শিক্ষাবঞ্চিত নারীর কণ্ঠধ্বনিতে।
কে বলে তুমি নেই? তুমি আছো- তুমি থাকবে,
যতোদিন স্কুলে সকাল বেলা ঠুংঠং শব্দে বেল বাজবে,
তোমার মায়েরা দলবেঁধে স্কুলে আসবে,
আর এই স্কুলের আঙ্গিনায় কোলাহলে মেতে থাকবে,
শিক্ষক, তোমার আদর্শের জ্ঞান বিতরণ করবে,
ততদিন তুমি মরেও অমর হয়ে বেচেঁ থাকবে।
তুমি বেঁচে থাকবে লাল সবুজের পতায়-
কারণ তুমি যে একজন বীর মুক্তিযুদ্ধা।
তাইতো তোমায় বাংলার মানুষ করে এতো শ্রদ্ধা।
তুমি একজন দানবারি, তুমি দাতা-
তুমি হচ্ছো,এই বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের,
সু-যোগ্য প্রতিষ্ঠাতা।
নিজের টাকা,নিজের জমি, নিজ এলাকায়-
শিক্ষা বঞ্চিত নারীদের জন্য গড়েছো তুমি,
এই বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়।
কে বলে তুমি নেই?তুমি আছো, তুমি থাকবে-
যতোদিন এ দেহে থাকিবে প্রাণ,
ততদিন থাকিবে তুমি হয়ে মহিয়ান।
--------------- ০ -------------
( অধ্যাপক ডা.মো.শাহজাদা চৌধুরী (পি.এইচ.ডি) স্যার এমন একজন মানুষ ছিলেন? যার সমন্ধে কিছু লেখার যোগ্যতা আমার নেই,তাই এই লেখার মাঝে যদি কোনো ভুলত্রুটি হয়,
তার জন্য আমি সকলের কাছে ক্ষমা চেয়ে নিচ্ছি,আর স্যার এর জন্য দোয়ার দরখাস্ত রাখছি,
দোয়া করবেন,মহান আল্লাহ যেনো স্যারকে জান্নাতুল ফেরদাউস দান করেন আমিন। ধন্যবাদ সবাই কে।
many many thanks for approved
You must be logged in to post a comment.