ছোট ছেলের ক্যারিয়ার

ছোট ছেলের ক্যারিয়ার

এক ছেলে নাম তার সুইট। তার পরিবার মধ্যেবিত্ত । তার  পরিবার সদস্য ৩ জন । তার পরিবার খুব প্রয়োজনে এক আত্নীয়র বাড়িতে বেড়াতে যাওয়ার কথা । সে বেড়াতে যেতে চাচ্ছিলো না কারণ তার কিছু দিনে জেএসসি ফাইনাল পরিক্ষা।

কিন্তু তার বাব তাকে জ্বর করে ‍নিয়ে যাবে সিন্ধান্ত নিলো । এ কথা শুনে সুইট বললো ঠিক আছে আমি যাবো কিন্তু আমার একটা কনডিশন আছে । সুইটের বাবা বললো কি কনডিশন । সুইট বললো আমি বই নিয়ে যাবো ওখানে আামি পড়বো ।  সুইটের বাবা বললো  ।

সুইটের বাবা ঠিক আছে । সুইট অনেক খুশি হয়ে তার বাবাকে জড়িয়ে ধরলো তার বাবাও থাকে জড়িয়ে  ধরলো । এর পরের দিন সুইট ও সুইটের বাবা সব কিছু রেডি হয়ে বেড়াতে যাওয়ার জন্য গাড়িতে উঠলো ।

তারা গাড়িতে করে বের হয়ে চলে গেলো । তাদের জানি করার সময গাড়ির ভেতর থেকে অনেক সুন্দর সুন্দর প্রাকৃতিক পরিবেশ দেখা যাচ্ছে । এতে সুইট অনেক খুশি হয়ে তার বাবাকে বললো তার মোবাইল দিতে । কারণ সুইটি তার মোবাইল ‍দিয়ে সুন্দর পরিবেশের ছবি তুলবে । এরপর সে ছবি তুলতে ব্যস্ত হয়ে পরে এভাবে ১ দিন জানি করার পর তাদের গন্তবে পৌছে গেলো ।

সুইটের বাবাদের আসা দেখা তাদের আত্নীয় অনেক খুশি হলো এবং তারা সুইটের পরিবারকে অনেক যত্ন করলো । সুইটের পরিবার অনেক জানি করায় তাদের অনেক ক্লান্ত হয়ে যাওয়াই তাদের কে রেস্ট নেওয়ার জন্য বললো এবং তাদের কে রুম দেওয়া হলো । সুইট অনেক ক্লান্ত বোধ করায় সে ঘুমিয়ে গেলো । যখন সুইট চোখ খুললো তখন দেখলো বিকেল হয়ে গেছে ।

সুইট উঠে হাত মুখ ‍দিয়ে বের হতেই তার বাবা বললো কিছু খেয়েনে । তার পর সুইট খেয়ে বাইরে তার পরিবারে সাথে ঘুরতে বের হলো । তারা সারা বিকেল ঘুরাঘুরি করে সন্ধ্যার ‍দিকে তারা বাড়িতে ফিরে আসলো ।

এসে সুইট কিছুখন রেস্ট নিয়ে পড়তে বসে । এভাবে তারা ঘুরাঘুরি করে আর পড়া শোনার মধ্যে অনেক দিন কেটে গেলো । আর এর মাঝে সুইটের পরিক্ষা তারিখ ঠিক হয়ে গেছে । এতে সুইট তার বাবাকে বললো তারও বাবাও বললো আমরা কিছুখন পর বের হবো । এ কথা শুনে সুইট আনেক খুশি হয়ে । তার জামা কাপড় বই  গুছিয়ে তারা বাড়ির ‍দিকে রইনা দিলো ।

কিন্তু সুইট যখন রাতে পড়তে বসবে তখন তার একটা বই পাচ্ছে না । তারপর অনেক খোজা খোজি করে তার বই না পাওয়াতে টেনশনে পড়ে গেলো । হঠাৎ তার মনে পড়লো যে তার আত্নীয় বাসাই রেখে আসছে । তার বাবাকে সে কথা জানালে তার বাবা  তাকে বললো আমি নতুন একটা বই কিনে দিবোন টেনশন করো না । কিন্ত সুইট বললো না বাবা আমার সেই বইটা লাগবে ।

তার বাবা তাকে অনেক বুঝালো কিন্তু সুইট তা মানলো না । পরে সুইট সব কুড়িয়ার সাভিস অফিসে ফোন ‍দিয়ে বললো তাকে কেউ  এক দিনের মধ্যে কেউ বই এনে  দিতে পাবে কি না । কেউ কেউ বললো এনে দিতে পারবে তবে অনেক টাকা ‍দিতে হবে।

এ কথা শুনে সুইটের অনেক মন খারাপ হলো যে কেউ এক দিনের মধ্যে বই এনে দিতে পারবে না । তাকে একথাটা আনেক কষ্ট দিলো । সে ভাবলো সে কুরিয়ার সাভিস ব্যবসা করবে ।

কিন্তু সুইটের বাবা রাজি হলো না । কিন্তু সুইট হারার পাত্র না । সে এক জেদ মনের মধ্যে নিয়ে চলে গেলো । সে কোরো মতে পরিক্ষা দিলো কিন্তু তার মন অন্য দিকে সে ভাবে আামাদের দেশে কত ব্যাচেলার ও অফিস আছে । তাদের খাবার ও অনেক কিছু প্রয়োজন হয় ।

এসব ভাবতে শুরু করে সুইট । সে তার বাবার কাছে টাকা চাইলো যে আমি বিজনেস করবো । কিন্তু তার বাবা না দিতে চাইলে সে তার বাবাকে ভয় দেখায় যে সে বাড়ি থেকে চলে যাবে । এ কথা শুনে সুইটর বাবা অনেক ভয় পেয়ে গেলো কারণ তার একমাত্র সন্তান সে যদি বাড়ি থেকে চলে যাই তাহলে তারা থাকবে কি করে ।

এসব ভেবে তার বাবা সুইটকে টাকা দিলো । তারপর সুইট অনেক খুশি হয়ে তার বাবাকে জড়িয়ে ধরলো তার সাথে তার বাবা তাকে বললো সে যেন কোনো খারাপ কাজ করে না । তারপর সুইট বললো না বাবা  আমি খারাপ কাজ করবো না । এ বলে সুইট একটা গাড়ি কিনলো আর ছোট একটা দোকান ভাড়া নিলো । এবং তার সাথে  একটা গাড়ির ডাইভার নিলো কম বেতনে ।

আর সে স্কুলের সবাইকে তার বিজনেসের কথা বললো আর সবাইকে যে কোনো প্রয়োজনে তার কাছে যেতে বললো । সে তার এলাকাতে কুরিয়ার সার্ভিস দেওয়া শুরু করলো ।

এভাবে কয়েক মাস যাওয়ার পর তার বিজনেস সবার কাছে পরিচিত হয়ে গেলো সাথে সুইট যে কোনো জিনিস ১ দিনে সবার কাছে পৌছে দিচ্ছে । এতে সবার আগ্রহ বাড়তে লাগলো সেই সাথে সুইটের আয় বাড়তে লাগলো । এতে সুইটের বাবা সুইটকে অনেক অভিন্দন জানাই ।

সে এভাবে অনেক পরিশ্রম করে । সে সাথে তার কুরিয়ার সার্ভিসের অর্ডার বাড়তে  থাকে । সে আরো দুজন লোক নিয়োগ দিলো । এভাবে যত দিন যেতে লাগলো  তার কুয়িার সার্ভিসের তত অর্ডার আসতে লাগলো ।

সে তার কুরিয়ার সার্ভিস আস্তে আস্তে সব জায়গায় তৈরি করতে লাগলো । এভাবে সে সারা বাংলাদেশে কুরিয়ার সার্ভিসের এজেন্ট তৈরি করে । তার সাথে সে খাবার হোটেল দেয় কম দামে হোম ডেলিভারি । তারেএ কাজে অনেক পরিশ্রম  করেতে থাকে । সুইট আসতে আসতে ৫ বছরের মধ্যে বাংলাদেশের একজন সফল বিজনেস হয়ে গেলো ।

এখন সুইটের কাজ দেখে অনেকে অবাক হোন যে ক্লাস ৯ পড়ুয়া  ছেলে আজ একজন সফল বিজনেসম্যান । সুইটের পরিবার অনেক খুশি সুইটের পরিশ্রম  দেখে ।

তারপর থেকে সুইটের জীবন ক্যায়িার শুরু হয় ।

Enjoyed this article? Stay informed by joining our newsletter!

Comments
MD Rana - Jul 15, 2021, 9:48 AM - Add Reply

Nice

You must be logged in to post a comment.

You must be logged in to post a comment.

Related Articles
Recent Articles