ইমতিয়াজ এর জীবন কাহিনী | Imtiaz Ahmed

আমি ইমতিয়াজ আমার বাসা রংপুর বিভাগে আমি যখন ক্লাস নাইনে পড়ি তখন অসম্ভব বখাটে ছিলাম বন্ধুবান্ধবের সঙ্গেও দিয়ে নিজের জীবনটাকে খারাপ পথের দিকে নিয়ে গেছিলাম।

কোন একদিন বন্ধুদের সাথে অনেক রাতেই মোটরসাইকেল করে কোথাও যাওয়ার পথে আমাদের একটা অ্যাক্সিডেন্ট হয় আর সেদিন আমাদের মধ্যে একজন মারা যায়।

এবং সেদিন থেকে আমার পড়াশোনা লাইফটাই শেষ হয়ে যায় এবং আমি মিথ্যা মামলা এবং হয়রানির কারণে নিজ এলাকায় ছেড়ে ঢাকায় গিয়ে একাকীত্ব জীবন যাপন শুরু করতে থাকি,

এরমধ্যে আমার এরকম কার্যকলাপের জন্য আমার বাবা আমার মাকে ডিভোর্স দিয়ে অন্য একজনকে বিয়ে করে ফেলে সম্পূর্ণ আমাকে এবং আমার মাকে আমার বাবা অস্বীকার করে ফেলে আমি যখন খুব কঠিন কন্ডিশনে জীবনের সাথে যুদ্ধ করতে ছিলাম।

ঠিক ওই মুহূর্তে কোন ব্যক্তির সাথে আমার ফেসবুকে টুকিটাকি কথা বলা শুরু হয় প্রথমাবস্থায় মেয়েটার কাছে আমি সবকিছু আড়াল করি আমার জীবনের সমস্ত কিছু এরপর আস্তে আস্তে বন্ধুত্ব হয়,

এরপর আমরা সম্পর্কে যাই তারপর আমি তাকে আমার জীবনের সমস্ত বিষয় গুলো তুলে ধরি বিশ্বাস করেন ভাই আমি বেঁচে থাকার মানুষগুলো হারিয়ে ফেলেছিলাম এই মেয়েটা যখন আমার জীবনে আসে।

জীবনটা আনন্দে ভরে যায় জীবনে কেয়ার বলতে কি আমি এটা কখনো বুঝতে পারিনি এই মেয়েটাকে দেখার পর বুঝতে পেরেছি। আমি যখন নিঃসঙ্গ জীবন যাপন করতেছিলাম মেয়েটা আমার জীবনে এসে কিভাবে খাইতে হবে কখন খাই তো হবে কিভাবে চলতে হবে,

সমস্ত কিছু দিক নির্দেশনা দিচ্ছিল ধ্বংসস্তূপ থেকে আমাকে তুলে নিচ্ছিল আমার বাবা আমাদের ফ্যামিলি থেকে আলাদা হয়ে গেছে আমাদের একটা থাকার জায়গাও নাই এমনটা জানার পরেও এই মেয়েটা কখনো আমাকে ইগনোর করে নি আমাদের সম্পর্কটা এতটাই গভীর হয়ে গিয়েছিল।

যে কয়েক মিনিট পর পর একে অপরের খোঁজ না,পেলে পাগল হয়ে যেতাম আমি আমার কাজের ফাঁকে মেয়েটার জন্য সব সময় সময় বের করার চেষ্টা করতাম এবং তাকে সময় দিতাম আমি যখন প্রথম অবস্থায় জব করি তখন আমার দিন এবং রাত 24 ঘন্টা ডিউটি থাকতো এর পরেও এটা কখনো বুঝতে পারেনি আমি অনেক ব্যস্ত আছি আমার ঘুমের প্রয়োজন কেননা আমি অনেক ক্লান্ত থাকলেও তার প্রত্যেকটা মেসেজ তাতখানি রিপ্লাই দিতাম।

আমাদের মধ্যে চাওয়া পাওয়া গুলো খুব ছোট ছোট ছিল এক একটা মেসেজ আমাদের জীবনের সবথেকে বড় সুখ এবং ভালোলাগা ছিল আমি যেখানে চাকরি করতাম সেখান থেকে মেয়েটার কাছে আসতেই আমার স্যালারি ফিফটি পার্সেন্ট টাকা চলে যেত এবং আমি এসে মেয়েটার সাথে থাকার কয়েকঘন্টা সুযোগ পেতাম,

এবং সেখান থেকে চলে যেতাম কারন আমার যাওয়ার মতো কোন জায়গা ছিল না বাবা অন্য একটা বিয়ে করার কারণেএভাবে কয়েক বছর চলে গেল রিলেশন টা অনেক বেশি গভীর ছিল এবং আছে এর মধ্যে আমি তাকে হারানোর ভয় সবার চোখের আড়ালে আদালতের মাধ্যমে বিয়ে করি।

এরমধ্যে আবার তার ফ্যামিলির লোকজন আমাদের সম্পর্কটা ব্যাপারে জানার পর মেয়েটার উপর অনেক নির্যাতন করে যা বলে বুঝানোর মতো না এত নির্যাতন সহ্য করার পরও মেয়েটা কখনো আমাকে আলাদা করে দেয় নিবেশ কিছুদিন আগে আমাদের কথা বলতে বলতে একসময় ওর আম্মু দেখে ফেলেন মেসেজগুলো ফোনের এরপর শুরু হয়ে যায়,

আরো অমানুষিক নির্যাতন মেয়েটার বাবা তার মাথায় কোরআন শরীফ রেখে মেয়েকে দিয়ে কসম করাই যেন আমার সাথে কথা না বলে বাবার এই জুলুমের শিকার হয়ে আমার প্রিয় মানুষটা আমার সাথে মন খুলে কথা বলতে পারতেছে।

নাবিশ্বাস করেন ভাই আমি আমার প্রিয় মানুষটার থেকে কখনো এক বিন্দু পরিমাণ কষ্ট পাইনিআজ তার বাবার এরকম জোর করে কসম এর কারনে আমাকে অনেক কষ্ট করতে হচ্ছে কিন্তু সে আমাকে ছেড়ে যায়নি সে আমাকে বলতেছে আমরা কিছুদিন একটু অল্প স্বল্প করে কথা বলি এর মধ্যে আমরা এক হয়ে যাব,

কেননা সে মেডিকেল স্টুডেন্ট সামনে তার পরীক্ষা রয়েছে সে চাচ্ছে না এর আগে কোন প্রকার ঝামেলা হোক এবং তাকে পড়াশোনা থেকে সম্পূর্ণ বাহিরে রাখুক মেয়েটাকে আমি অসম্ভব ভালোবাসি সে এরকম চাপের মুখে পড়ে চেয়েছিল।

আমার সাথে কিছুদিন কথা সম্পূর্ণ না বলে থাকতে আমি নিজেকে অনেক ভাবে আঘাত করেছি নিজেকে রক্তাক্ত করে দিয়েছি শুধুমাত্র কে ভয় দেখেছি যেন আমার সাথে একটা ঘন্টা কথা না বলে না থাকেযেই মেয়েটা আমাকে না খাওয়ায়ে কখনো খাইনি আমাকে গোসলে না,

পাঠায় কখনো গোসল করেনি আমাকে নামাজে না পাঠায় কখনো নিজে নামাজ পড়েনি ঈদে আমাকে জামা কিনে দিয়েছে পরিবার না থাকার কারণে সে মেয়েটাকে ছাড়া কিভাবে একটা ঘন্টা থাকা সম্ভব আমার জানা নেই আমি চাই আমার এই প্রিয় মানুষটা এবং আমার জন্য সবাই আপনারা দোয়া করবেন।

যেন এই ভালোবাসাটা পরিপূর্ণ রূপ নেয় বিশ্বাস করেন ভাই আমরা একে অপরের সাথে শারীরিক মেলামেশা করার অনেক সুযোগ পেয়েছি কিন্তু কখনো করিনি আমরা শুধু একে অপরকে ভরসা দিয়েছি সারা জীবন একসাথে থাকব মৃত্যু ছাড়া অন্য কিছু আমাদেরকে আলাদা করতে পারবে না আজকে মা-বাবার দেওয়া এরকম অযুক্তিক কারণ?

Enjoyed this article? Stay informed by joining our newsletter!

Comments

You must be logged in to post a comment.

Related Articles
Recent Articles