গল্প:#তুমি আমারি হবে
রাত প্রায় সাড়ে একারোটা মতো বাজে।তিশা যখন বলেছিল ইভাকে পাওয়া যাচ্ছে না তখন তিয়াশ গাড়ি নিয়ে বের হয়ে পরে।অবশ্য হোটেল টাতেও ওরা অনেক খুজাখুজি করে তাও কোথাও পায়না।
এক পর্যায়ে তিশা তো কেঁদেই দেয়।ওর জন্য নাকি সব হয়েছে ইভা আসতে চায়নি ও ইভাকে জোর করে নিয়ে এসেছে।তিয়াশ বিহানকে তিশা কে সামলাতে বলে ওখান থেকে বের হয়ে যায়।
তিয়াশ গাড়ি ড্রাইব করছে আর রাস্তার এদিক ওদিক দেখছে কিন্তু না ইভা নেই।তিয়াশ ওর ফোন দিয়ে ইভাকে ফোন করতে থাকে কিন্তু ফোন সুইচ অফ বলছে বারবার?
হঠাৎ ওর ইভার বাবার কথা মনে হয় তিয়াশ ইভার বাবাকে ফোন দেয়,
---হ্যালো আসসালামু আলাইকুম আঙ্কেল।
---ওয়ালাইকুম আসসালাম বাবা কেমন আছো।
---আলহামদুলিল্লাহ আঙ্কেল আপনি কেমন আছেন।
---এইতো আছি তা হঠাৎ ফোন দিলে এত রাতে।
---না মানে আঙ্কেল ইভা কি বাসায় আছে।
---না ও তো এখন বাসায় নেই তিশার সাথে কোথায় একটা গেছে।কেন ওর সাথে কি তোমার কোনো দরকার আছে তাহলে বলো আমি ওর নাম্বার দিচ্ছি তোমাকে।
---না আঙ্কেল ওই তেমন কোনো দরকার নেই।আর ওর নাম্বার আমার কাছেও আছে দরকার হলে আমি ফোন করে নিব।এখন রাখছি আঙ্কেল।
তিয়াশ ফোন কেটে দেয় ও ভাবে ইভা যদি বাসায় না যায় তাহলে ও কোথায় আছে।ওর আবার কোনো বিপদ হলো না তো।না না এসব কি ভাবছি??ইভার কোনো বিপদ হবে না??
হঠাৎ ফোনের আওয়াজে তিয়াশের ধ্যান ভাঙ্গে।ও ফোন হাতে নিয়ে দেখে বিহানের ফোন তিয়াশ ফোন রিসিভ করে,বিহান ওপাশ থেকে বলে ওঠে,
---হ্যালো ভাইয়া ইভাকে খুঁজে পেয়েছ।
---না এখনও পায়নি।খুঁজছি আমি।
তিয়াশ রাস্তায় ইভার মতো কাউকে দেখে বিহান কে বলে,
---বিহান ফোন রাখতো আমি তোর সাথে পরে কথা বলছি।
তিয়াশ গাড়ি থেকে নেমে মেয়েটিকে পিছন থেকে ইভা বলে কয়েকবার ডাকে কিন্তু মেয়েটি কোনো সারা দেয়না।
ও ভাবে হয়ত ও ভুল ভাবছে তাই চলে যেতে নেয় কিন্তু হঠাৎ ওর কিছু মনে হওয়ায় ও দৌড়ে মেয়েটির কাছে গিয়ে দেখে ও যেটা ভাবছিল সেটাই এটা ইভা।আসলে তিয়াশ চলে যেতে নিয়েছিল কিন্তু ও খেয়াল করে দেখে ইভা ও আজকে এরকম একটা জামা পড়েছিল।
হঠাৎ করে ইভার সামনে কাউকে চলে আসতে দেখে ইভা হকচকিয়ে যায়।কিন্তু পরে নিজেকে সামলে নিয়ে সামনে তাকিয়ে দেখে তিয়াশ।
ও ভাবতে পারেনা যতই এই ছেলেটার কাছ থেকে চলে আসতে চায়।তখনি ছেলেটা মাঝপথে এরকম ভাবে চলে আসে।তিয়াশ ইভাকে চুপ থাকতে দেখে ইভাকে জিজ্ঞেস করে,
---তুমি একা একা কোথায় যাচ্ছিলে আর কাউকে বলে আসোনি কেন।যদি কোনো বিপদ হতো।
---আমার বিপদ হবে কি হবে না সেটা নিয়ে আপনি কেন ভাবতে যাবেন আর আপনি এখানেই বা কি করছেন আপনার তো এখন নেহাকে প্রপোজ করার কথা।
---ওহহ রিয়েলি আমাকে ভাবতে হবে না আচ্ছা ভাবলাম না কিন্তু তুমি তো তিশা কে বলে আসতে পারতে ওকে কেন বলে আসোনি।
---আমার ইচ্ছা আমি বলিনি আপনার কোনো সমস্যা।
---না আমার কেন সমস্যা হতে যাবে কে হই আমি তোমার। আর তোমার ইচ্ছা তুমি যখন যা ইচ্ছে হবে তাই করবে একবারও ভেবে দেখেছ এত রাতে তুমি একা একটা মেয়ে যদি কোনো বিপদ হতো তখন কি করতে তুমি।
ইভার এই কথাটা তখন মাথাই আসেনি।আসলেই তো কোনো বিপদ হলে কি হতো।তখন তো রাগে কষ্টে ওখান থেকে চলে এসেছিল এমন কিছুই ভাবা হয়নি।
কিন্তু না আজকে তিয়াশ যতই বলুক ও তিয়াশের সাথে যাবেনা ওখানে নেহাকে প্রপোজ করছিল আমি কোথায় ছিলাম না ছিলাম তার খেয়াল আছে।
---দেখুন আমি একাই বাসায় চলে যাব আপনার চিন্তা করতে হবে না।আপনি যান নেহাকে প্রপোজ করা তো এখনো হয়নি আমার জন্য এখানে চলে এসেছেন আমার জন্য আপনাকে অনেক কষ্ট করতে হলো তারজন্য আমি সরি।
ইভা এসব বলে তিয়াশকে এড়িয়ে চলে যেতে নেয়।তখন তিয়াশ ওর হাত ধরে সামনে এনে বলে,
---এই মেয়ে কি সমস্যা তোমার।তুমি সত্যি বুঝবোনা না আমি কি চাই।আমি নেহাকে প্রপোজ করছি বলে তুমি ওখান থেকে চলে এলে।কেন চলে এলে আর আমি নেহাকে প্রপোজ করলেও বা তোমার কি।তুমি কেন কষ্ট পাচ্ছ।বলো?(চিল্লিয়ে)
---জানিনা আমি জানিনা কেন কষ্ট পাচ্ছি।কিন্তু নেহাকে আপনার সাথে দেখলে আমার কষ্ট হয়।কেন কষ্ট হয় বলতে পারেন।ওকে আপনার সাথে দেখলে আমার ভালো লাগে না।
কথাগুলো বলতে বলতে ইভা কেঁদে দেয়।তিয়াশ ইভাকে ওর কাছে এনে বলে,
---ভালোবাসো আমায়।
---জানিনা,
---জানোনা তাহলে কষ্ট কেন পাচ্ছ বলো,
---জানিনা,
---তাহলে জানোটা কি তুমি।আমি কি চাই সেটাও তো বুঝোনা না।
---কি চান আপনি।
---কিছুনা।আর বললেও বুঝবেনা চলো,,
বলে তিয়াশ চলে যেতে নেয় তখন ইভা ওকে জড়িয়ে ধরে বলে,
---প্লিজ আপনি নেহাকে প্রপোজ করবেন না।আপনাকে নেহার সাথে দেখলে আমার ভালো লাগে না কষ্ট হয়।প্লিজ।
ইভা তিয়াশকে জড়িয়ে ধরে কেঁদে দেয়।
---কেন আমি নেহাকে প্রপোজ করব না কেন আর তুমিই বা কেন কাঁদছ।
---কারণ,,(কেঁদে কেঁদে)
---কারণ,
---আপনি নেহাকে প্রপোজ করবেন না কারণ আমি আপনাকে ভালোবাসি।
#চলবে
বিদ্র:রি-চেইক করা হয়নি ভুলত্রুটি ক্ষমার দৃষ্টিতে দেখবেন।
Wow
You must be logged in to post a comment.