ইসলামের প্রথম রুকুন হচ্ছে দুইটি বিষয়ের সাক্ষ্য দান।
প্রথম বিষয়: আশহাদু আল্লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ। অর্থাৎ আল্লাহ ছারা কোন উপাস্য নাই। এর হ্যা - বাচক ও না বাচক অর্থ জেনে, দৃঢ় বিশ্বাস, ইখলাস, সততা, ভালোবাসা, পূর্ণ আনুগত্য ও কবুল সহকারে এ সাক্ষ্য দেয়া যে, আল্লাহ ব্যতীত ইবাদতের উপযুক্ত কোন সত্য মাবুদ নেই।
এই সাক্ষ্য আল্লাহ পাক নিজে দিয়েছেন । আল্লাহ পাক বলেন:
`` আল্লাহ সাক্ষ্য দেন যে, নিশ্চয় তিনি ব্যতীত কোন সত্যিকারের ইলাহ নেই।`` ( সূরা আল ইমরান ৩:১৮)
এই সাক্ষ্য প্রবিত্র কুরআনে সবচেয়ে বড় সাক্ষ্য হিসেবে আখ্যায়িত করা হয়েছে। আল্লাহ পাক প্রবিত্র কুরআনে আরো বলেছেন:
`` বলো, সাক্ষ্য হিসেবে সবচেয়ে বড় বস্তু কী` বলো, ` আল্লাহ আমার ও তোমাদের মধ্যে সাক্ষী। আর এ কুর আমার কাছে ওহী করে পাঠানো হয়েছে যেন তোমাদেরকে ও যার কাছে এটা পৌঁছাবে তাদেরকে এর মাধ্যমে আমি সতর্ক করি।
বলো, ` তিনি কেবল এক ইলাহ আর তোমরা যা শরীক কর নিশ্চয় তা থেকে মুক্ত। `` ( সূরা আন`আম ৬:১৯)
দ্বিতীয় বিষয় : ওয়াশহাদু আন্না মুহাম্মাদান আবদুহু ওয়া রাসুলুগু `` মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আল্লাহর বান্দা ও রাসূল"।
অর্থাৎ পূর্ণ আনুগত্য , সত্যায়ন, আদেশ - নিষেধ মেনে নেয়া ও শরিয়াহ অনুসারে ইবাদত করার মানসিকতা নিয়ে এ সাক্ষ্য দেওয়া যে, মুহাম্মদ সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আল্লাহর বান্দা ও তা পেরিত রাসূল। শুধু মৌখিকভাবে সাক্ষ্য দিলেই তা গ্রহনযোগ্য হবে না।
কেননা মুনাফিকরাও নিজেদেরকে মুসলিম জাহির করার জন্য এই সাক্ষ্য দিত আল্লাহ পাক রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম সে ব্যাপারে সাবধান করে দিয়েছেন ।
যেহেতু এখানে দুটি বিষয় সাক্ষ্য প্রদান করতে হয় এজন্য একে `শাহাদাতাইন" বলা হয়।
You must be logged in to post a comment.