জীবনে চলার পথে স্বাস্থ্য আমাদের অন্যতম হাতিয়ার। কেননা স্বাস্থ্য ঠিক না থাকলে সমাজে নানাভাবে অবহেলিত হতে হয় আমাদের। চাকরি বিয়ে সহ নানাবিধ সমস্যার সম্মুখীন হতে হয় আমাদের। কিন্তু আমরা কি একবারও ভেবে দেখেছি আমরা চাইলেই আমাদের চিকন স্বাস্থ্য কে বিদায় বলতে পারি।
তবে এটা করার আগে আমাদের জানতে হবে চিকন স্বাস্থ্য কেন হয়? চিকন স্বাস্থ্য হওয়ার পেছনে মূল কারন হচ্ছে শরীরে পর্যাপ্ত পরিমান খনিজ উপাদান এর অভাব।
আমাদের শরীরের মধ্যে খনিজ উপাদান গুলো পর্যাপ্ত পরিমাণ না থাকার কারণেই আমাদের স্বাস্থ্য খারাপ হয়। যার ফলে চিকন স্বাস্থ্য নিয়েই আমাদের বাকিটা জীবন কাটাতে হয়।
অনেকেই জন্মগতভাবে চিকন স্বাস্থ্যের অধিকারী হয়ে থাকে। এর পেছনে মূল কারণ হলো আমরা যখন মায়ের গর্ভে থাকি তখন আমাদের দেহের ভেতর পর্যাপ্ত পরিমাণ পুষ্টি উদয় না হওয়া।
তাহলে এটা পরিস্কার বুঝা যায় যে আমরা যদি আমাদের শরীর থেকে হারানো সেসব পুষ্টি ও খনিজ উপাদানগুলো আবার আমাদের শরীরে ফিরিয়ে আনতে পারি তবেই আমরা চিকন স্বাস্থ্য কে বিদায় বলতে পারবো।
আর তাইতো স্বাস্থ্যবান হতে প্রতিদিন নিয়মিত বাদাম ও কিসমিস খাওয়ার বিকল্প কিছু নেই বললেই চলে। কারন বাদাম ও কিসমিসে থাকে প্রচুর পরিমানে ক্যালরি।
যা আমাদের শরীরের ভিতর গিয়ে আমাদের ভিতর সকল খনিজ উপাদানগুলোর অভাব পূরন হতে থাকে। যে উপাদান গুলোর অভাবে আমাদের শরীর বেড়ে উঠা বন্ধ হয় তার সবগুলো উপাদানই নতুন করে তৈরি করতে সক্ষম এই বাদাম ও কিসমিস।
একটা উদাহরনের মাধ্যমে বিষয়টি আরও পরিস্কার হওয়া যাক- ধরুন আপনার একটি কম্পিউটার আছে। আপনার কম্পিউটার ঠিক মতো কাজ করে না।
নিজে থেকেই কম্পিউটারটি মাঝে মাঝে বন্ধ হয়ে যায়। মাঝে মাঝে কম্পিউটার হ্যাং করে ইত্যাদি সমস্যা। আপনি আপনার কম্পিউটারটি বিভিন্নভাবে মেরামত করেও সমাধান পাচ্ছেন না।
কিছু দিন ভালো থাকার পর কম্পিউটারটি আবার আগের মতোই হয়ে যায়। কারন এখানে সমস্যা হলো আপনার কম্পিউটারের মাদারবোর্ডে। যতক্ষণ না পর্যন্ত আপনি আপনার কম্পিউটারের প্রধান অংশ মাদারবোর্ড পরিবর্তন না করবেন ততক্ষণ পর্যন্ত এই সমস্যার সমাধানও হবে না।
মানব শরীরের ক্ষেত্রেও অনেকটা এরকম। আমাদের শরীরের ভিতর রয়েছে মাদারবোর্ডের মতো প্রধান অংশ। অবাক করা হলেও সত্যি বাদাম ও কিসমিস আমাদের শরীরের ভিতরের প্রায় সবকিছুই পরিবর্তন করে দিতে সক্ষম। যার ফলে স্বাস্থ্যবান হতে আমাদের আর কোনো বাধা থাকে না।
প্রতিদিন রাতে কিছু কাজু বাদাম,পেস্তা বাদাম ও কিসমিস এক গ্লাস পরিমান পরিস্কার পানিতে ভিজিয়ে রাখুন। সকালে ঘুম থেকে উঠে খালি পেটে প্রথমে ওই গ্লাসের পানি টুকু খেয়ে নিবেন। এরপর গ্লাসে থাকা বাদাম ও কিসমিস গুলো আস্তে আস্তে খেয়ে নিন। এভাবে প্রতিদিন খেতে থাকুন।
এক সপ্তাহ পর আপনি আপনার ভিতরের কিছু পরিবর্তন বুঝতে পারবেন। এক মাস পর দেখবেন আপনার শরীরটায় পুরো পরিবর্তন হয়ে গেছে। আপনারা চাইলে প্রতিদিন বাদাম ও কিসমিস এর সাথে কিছু কাচা ছোলা বুট ভিজিয়ে রেখে একসাথে খেতে পারেন।
এতে ফলাফল টা তারাতারি পেয়ে যাবেন। এই পদ্ধতির পাশাপাশি আরও একটি কাজ করতে পারেন প্রতিদিন রাতে ঘুমানোর আগে কিছু খেজুর এবং খিরা বা শশা একসাথে খাওয়ার চেষ্টা করবেন।
আমি গ্যারান্টি দিচ্ছি এই সবগুলো পদ্ধতি যদি আপনি প্রতিদিন অনুসরণ করেন তবে এক মাসের মধ্যেই আপনি হয়ে উঠবেন একজন স্বাস্থ্যবান পুরুষ।
You must be logged in to post a comment.